ব্রেকিং:
চার বছর পর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গে প্রবাসীর মৃত্যু! লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে করোনা রোগী ৩৭ জন : নতুন করে শিশুসহ আক্রান্ত ৩ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের মারা যাওয়া তরুণের করোনা নেগেটিভ, তিন ভাই বোনের পজেটিভ লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল এডভোকেট নয়ন লক্ষ্মীপুরে ত্রাণের সাথে ঘরও পেল লুজি মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ সুপারের ভিডিও কনফারেন্স লক্ষ্মীপুরে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? লক্ষ্মীপুরে ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ লক্ষ্মীপুরে ২০০০ পরিবার পেল উপহার সামগ্রী
  • বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

শীতের আগেই মুলা চাষির মুখে হাসি

আলোকিত লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ৫ নভেম্বর ২০১৯  

কুমিল্লার বরুড়ায় এবার মূলার ব্যাপক ফলন হয়েছে। ফলন ভাল হওয়ায় মুলা চাষিদের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে তৃপ্তির সাদা হাসি। চাষিরা মূলা সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে। কয়েক বছর এ উপজেলায় মূলার ফলন তেমন ভাল হয়নি। কিন্তু এবার বাম্পার ফলন হওয়ায় আগামীতে এ উপজেলায় মুলার ব্যাপক চাষাবাদ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে কৃষকরা। 

বরুড়ার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, ১৫টি ইউপির বিভিন্ন গ্রামে মূলার ব্যাপক চাষাবাদ হয়েছে। বছরের আগস্ট মাসের দিকে বীজ বপন করা হয়। অক্টোবরের শেষে মাঠ থেকে ফলন সংগ্রহ করে বাজারে তোলা শুরু হয়।

 

 

বরুড়ার আদমপুর, হরিপুর, খোশবাস, মুগুজি, রামমোহন, নবীপুর, বাসতলী, মহেশপুর, শরাফতি, বিজয়পুর, রাজাপুর, আগানগর, মধুপুর, জালগাও, এগারোগ্রাম, বাতাইছড়ি, আরিফপুর, অলিতলাসহ বিভিন্ন গ্রামে মূলার বাম্পার ফলন হয়।

মুলা চাষি সফিকুল ইসলাম মজুমদার জানান, এ বছর তিনি এক বিঘা জমিতে মূলার চাষ করেন। এতে তার উৎপাদন বাবদ খরচ হয় আট থেকে নয় হাজার টাকা। বিক্রি হয় ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা। প্রতি বছরেই তিনি মুলা চাষ করেন। মুলা তোলার আগে অনেক কৃষক শাক বিক্রি করেও ব্যাপক লাভবান হন।

বরুড়ার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রবিউল আলতাফ (রবি) জানান, কুমিল্লার ১৭টি উপজেলার মধ্যে বরুড়ায় তুলনামূলক মুলার চাষ কম হয়। তার ওপর আবার কয়েক বছর মুলার ফলন আশানুরূপ হয়নি। তবে মুলা উৎপাদন আনুপাতিক হারে কয়েক বছর ধরেই এ উপজেলায় বেড়ে চলছে। 

এ বছর উপজেলায় মুলার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮০ থেকে ৯০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু কয়েক বছর ভাল ফলন না হওয়ায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা থেকে মুলার চাষাবাদ কম হয়।

বাতাইছড়ি এলাকার কৃষক খোরশেদ আলম জানান, আগের বছল ফলন কিছুটা কম হলেও তার লস হয়নি। এবার ভাল ফলন হয়েছে। পোকামাকড়ের আক্রমণও অনেক কম ছিল। মূলার আকারও বড় হয়েছে। দেখতেও সুন্দর লাগছে। যার কারণে পাইকাররা মুলা দেখেই বায়না করে যাচ্ছে। 

রাজাপুর, আগানগর, মধুপুর, জালগাও, এগারগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার একাধিক কৃষক জানান, এবার মুলাতে তাদের উৎপাদন খরচের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ লাভ হয়েছে। আগামীতে তারা আরো বেশি করে মূলাচাষ করবেন।

খোশবাস এলাকার কৃষক জামিল জানান, আমরা মৌসুম ভিত্তিক ধার দেনা করে সবজি উৎপাদন করি। সরকার যদি আমাদের মৌসুম ভিত্তিক ঋণ দিতো সহজ শর্তে কম সুদে তাহলে আমরা অনেক বেশি সবজি উৎপাদন করতে পারতাম। 

তিনি আরো বলেন, মুলা চাষে কখনো লস হয় না। লস হয় তখন যখন আমরা মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে চাষ করি। পরে ফসল উঠলে সুদে আসলে ঋণ দিতে গেলেই দেখা যায় আমাদের বেশি কিছু থাকে না।

আলোকিত লক্ষ্মীপুর
আলোকিত লক্ষ্মীপুর
//