ব্রেকিং:
চার বছর পর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গে প্রবাসীর মৃত্যু! লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে করোনা রোগী ৩৭ জন : নতুন করে শিশুসহ আক্রান্ত ৩ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের মারা যাওয়া তরুণের করোনা নেগেটিভ, তিন ভাই বোনের পজেটিভ লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল এডভোকেট নয়ন লক্ষ্মীপুরে ত্রাণের সাথে ঘরও পেল লুজি মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ সুপারের ভিডিও কনফারেন্স লক্ষ্মীপুরে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? লক্ষ্মীপুরে ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ লক্ষ্মীপুরে ২০০০ পরিবার পেল উপহার সামগ্রী
  • মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

তীব্র শীতে কাঁপছে নদীর তীর-চরাঞ্চলের মানুষ

আলোকিত লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯  

গতকাল গভীর রাইত (বুধবার) থেকে ঘরেত্তন (ঘর হতে) বারাই নাই (বাহির হই নাই) শীতেল্লাই (শীতের জন্য)। আমরা নদীর হারে বেড়ীর পাসে থাই (থাকি)। গত দুই দিন কাজে যাই নাই। কাজে ও নদীতে মাছ ধরতে না যাওয়ায় এক বেলা রাদন লাগবো (রান্না করতে হবে)। আমগোরে কে দেখতে আইয়ে।
বৃহস্পতিবার সকালে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চরবংশী ইউনিয়নের চরকাচিয়া গ্রামের আলাউদ্দিন মিয়া তীব্র শীতে জড়শড় হয়ে কথাগুলো বলছিলেন।
পৌষের শুরুতেই লক্ষ্মীপুরের পাঁচ উপজেলায় জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশায় আর হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে মেঘনা উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ (রায়পুর, রামগতি ও কমলনগর উপজেলা)। এতে নদীর পাড়ের চরাঞ্চলের লোকজন কাজে বের হতে না পেরে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিলেনি। ফলে প্রচন্ড ঠান্ডায় নাকাল হয়ে পড়েছে মেঘনা উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্ভোগে পড়েছেন নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চল এবং নিন্ম আয়ের শ্রমজীবিরা। শিশু, বয়ষ্ক ও এজমা রুগীরা পড়েছেন দুর্ভোগে। পাশাপাশি গবাদী পশুও শীতে কষ্ট পাচ্ছে। সড়কে গাড়ীগুলো হেডলাইট চালিয়ে চলাচল করছে।
সকাল থেকে গরম কাপড় গায়ে দিয়ে, কানটুপি ও গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শহরের মানুষ ঘর থেকে বের হলেও গ্রামের মানুষ এখনও বের হননি। অথচ একদিন আগেও তারা সাধারণ পোশাকেই ঘুরে বেড়িয়েছেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বাড়ছে ঠান্ডা জনিত রুগী। সদর হাসপাতালে প্রায় অর্ধ্ব শতাধিক নারী ও শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদেরকে যথাযথভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শহর ঘুরে দেখা যায়, লক্ষ্মীপুর পৌর কার্যালয় ও রায়পুর জেলা পরিষদ ডাক বাংলার সামনে ভ্রাম্যমান কাপড় বিক্রেতা ঘিরে আছে ছিন্নমূল ও দিন মজুর মানুষ। হঠাৎ করে শীতের তীব্রতা বাড়ায় গরম কাপড় কিনতে ভীড় করছেন রাস্তার পাশে থাকা ভ্রাম্যমান কাপড়ের দোকানগুলোতে। তারা ৫০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে শীতের গরম জামা ক্রয় করছেন।
চরবংশী গ্রামের উসমান মিয়া জানান, গত ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার নিয়ে বেড়ীবাধের পাশে আশ্রয় নিয়েছি। এখন পরিবারগুলো শীতে কাঁপছে। আমরা ছাড়াও বেড়ীবাধের পাশে আশ্রয় নেয়া পরিবারের গুলোর একই অবস্থা। তাদের জন্য শীত বস্ত্র খুবই প্রয়োজন।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল জানান, শীতার্ত মানুষের জন্য শীত বস্ত্র ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাঁচ উপজেলার নির্বাহী অফিসাররা শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ শুরু করেছেন।

আলোকিত লক্ষ্মীপুর
আলোকিত লক্ষ্মীপুর
//