করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত

করোনা পরিস্থিতিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের সংকট মোকাবিলায় ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

রোববার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে করোনা পরিস্থিতি নি‌য়ে এক জরুরি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তি‌নি এ কথা জানান।

রেজাউল করিম ব‌লেন, করোনা পরিস্থিতিতে মৎস্য, পোল্ট্রি ও ডেইরি সংকট মোকাবিলায় এক সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে একটি নীতিমালা প্রস্তুত করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয় ও দপ্তর-সংস্থার চলমান কার্যক্রম গতিশীল করা এবং যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে প্যাকেজ কর্মসূচি নেওয়া করা হয়েছে। এ মুহূর্তেই শুধু নয় আগামীতেও যাতে করোনা প্রতিক্রিয়া হিসেবে ক্ষয়-ক্ষতির মধ্যে এ সেক্টর না পড়ে সেটি সবচেয়ে গুরুত্বের সঙ্গে আমরা বিবেচনায় রাখছি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন ও শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকারসহ মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের আর্থিক ঋণ সহায়তা প্রকল্প এলডিডিপি-এর আওতায় ইমার্জেন্সি রেসপন্স হিসেবে পোল্ট্রি ও ডেইরিখাতের জন্য প্রায় একশ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক মূল্যের পোল্ট্রি ও ডেইরি খাদ্য, দুধের ক্রিম সেপারেটর মেশিন, কুলিং ভ্যান ও জীবাণুনাশক স্প্রে ক্রয়সহ নগদ প্রণোদনার জন্য বিশ্বব্যাংকে প্রস্তাব পাঠানো করা হচ্ছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তা এবং খামারিদের আর্থিক ক্ষতি মোকাবিলায় ব্যাংক বা এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তি ও সুদ একব ছরের জন্য মওকুফ, ২ হাজার কোটি টাকা নগদ প্রণোদনা এবং বিনা সুদে ও সহজ শর্তে ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ প্রদানের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে ইতোমধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, করোনা সংকটে কোনোভাবেই মুরগির বাচ্চা, মাছ ও পোল্ট্রি খাদ্য, ভ্যাকসিন উৎপাদন, পরিবহন ও আমদানিতে ঘাটতি রাখা যাবে না। চিংড়িসহ অন্যান্য মাছের পোনা উৎপাদন, সরবরাহ ও বিপণন স্বাভাবিক রাখতে হবে।