প্রেমিকাকে পেতে স্ত্রীকে খুন

বিয়ের আগে থেকেই সম্পর্ক। আর সেই প্রেমিকাকে পেতে স্ত্রীকে খুন করার নানা পরিকল্পনা করতে থাকে শেখ আজহার। হঠাৎ করেই স্ত্রীর শরীর খারাপ হয়। এতেই স্ত্রীকে সহজেই খুন করে আজহার শেখ।  
জানা গেছে, একান্তে গল্প করার কথা বলে স্ত্রী মর্জিনা খাতুনকে ডেকে পাঠায় আজহার। লোকালয় থেকে দূরে ধানখেতের পাশে গিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে গল্প করতে বসে। সেখানেই শরীর ভাল হবে বলে কৌশলে স্ত্রীকে ঘুমের ওই সিরাপ খেতে দেয় আজহার। 
 
এরপর ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে খুন করে। পরে ধানখেতে স্ত্রীর দেহ ফেলে রুকুন্দিপুরের বাড়িতে ফিরে যায় আজাহার। অত্যন্ত সুপরিকল্পিত এই খুনের কথা পুলিশের কাছে বলেছে আজহার।

রোববার তাকে নিয়ে ভারতের সামসি কলেজ লাগোয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণও করা হয়। সেখান থেকে ঘুমের ওষুধের শিশিটিও পুলিশ উদ্ধার করেছে। জেলার এসপি অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের আগে থেকেই এক তরুণীর সঙ্গে আজহারের সম্পর্ক ছিল। বাড়ির জোরাজুরিতেই বছরখানেক আগে খালাতো বোন মর্জিনাকে বিয়ে করে। তবে পাকাপাকিভাবে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন না মর্জিনা। স্বামী বাড়ি ফিরলে যেতেন। তবে পরে স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পেরে হতাশ হয়ে পড়েন মর্জিনা। তাই কিছুদিন ধরে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ি এড়িয়ে চলতেন মর্জিনা।

আজহার পুলিশকে জানিয়েছে, মর্জিনার সঙ্গে বিয়েটা সে মেনে নিতে পারেনি। তাই বিয়ের পরেও ওই তরুণীর সঙ্গে সে সম্পর্ক রেখেছিল। 
 
এদিকে ওই তরুণী জানিয়েছিল, মর্জিনার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হলেই তিনি আজহারকে বিয়ে করবেন। এরপরেই তরুণীকে বিয়ে করার সবরকম সম্ভাব্য উপায় খুঁজতে শুরু করে আজহার।

কিন্তু মর্জিনার সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক থাকায় বিবাহবিচ্ছেদ যে সম্ভব নয়, তা বুঝতে পেরেই মর্জিনাকে একেবারেই সরিয়ে দেয়ার ছক কষে আজহার।