ব্রেকিং:
চার বছর পর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গে প্রবাসীর মৃত্যু! লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে করোনা রোগী ৩৭ জন : নতুন করে শিশুসহ আক্রান্ত ৩ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের মারা যাওয়া তরুণের করোনা নেগেটিভ, তিন ভাই বোনের পজেটিভ লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল এডভোকেট নয়ন লক্ষ্মীপুরে ত্রাণের সাথে ঘরও পেল লুজি মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ সুপারের ভিডিও কনফারেন্স লক্ষ্মীপুরে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? লক্ষ্মীপুরে ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ লক্ষ্মীপুরে ২০০০ পরিবার পেল উপহার সামগ্রী
  • শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

রাবড়ির কারণে বদলে গেছে এক আস্ত গ্রামের নাম!

আলোকিত লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারি ২০২০  

দরজা ঠেলে হেঁশেলে পৌঁছালেই দেখা মিলবে ইয়া বড় বড় কড়াই। মস্ত বড় কড়াইয়ে ভর দুপুরেও ফোটানো হচ্ছে সাত থেকে দশ লিটার দুধ। অল্প আঁচে ফুটিয়ে তা দেড় থেকে দুই লিটার করা হয়। দুধ ফুটে কমে এলেই তালপাতার পাখা দিয়ে জোরে জোরে বাতাস করা হয়। যাতে দুধের ওপরে ভালোভাবে সর পড়তে পারে। এবার সেই সর শলার কাঠি দিয়ে সুনিপুণ কৌশলে তা তুলে নিয়ে জমিয়ে রাখা হচ্ছে কড়াইয়ের গায়ে। একটু ঠাণ্ডা হলে কড়াইয়ের গায়ে লেগে থাকা পুরু সর কেটে তা ভিজিয়ে রাখা হয় ক্ষীরে।

নানা মাপের পাত্রে এভাবেই রোজ রাতে সাজিয়ে রাখা হয় রাবড়ি। যে দোকানের যত চাহিদা, সেই মতো আলাদা আলাদা মাপের পাত্র। ভোর না হতেই বাড়ির পুরুষ সদস্যরা বেড়িয়ে পড়বেন শহরের উদ্দেশ্যে।

 

রাবড়ি গ্রাম

রাবড়ি গ্রাম

গ্রামের কেউ কেউ দু’প্রজন্ম ধরে রাবড়ি বানাচ্ছে, কেউ আবার তিন প্রজন্ম। বড়দের দেখে দেখেই হাত পাকিয়েছেন এ প্রজন্মের কারিগররা। নারীরা এ কাজ বেশি করে। তবে চাষবাদের ফাঁকে অথবা দুপুরে খাবার খেতে বাড়ি এসে ছেলেরাও হাত লাগায় রাবড়ি বানানোর কাজে। সকাল থেকে সন্ধ্যা এভাবেই গ্রামের প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে তৈরি হয় রাবড়ি।

 

রাবড়ি

রাবড়ি

এ গ্রামটি হচ্ছে ভারতের হুগলীর চন্ডীতলার আইয়া। পোশাকি নাম আইয়া হলেও লোকমুখে এখন রাবড়ি গ্রাম নামেই বেশি পরিচিত। আইয়া এবং তার পাশের গ্রাম গাংপুরে এ রাবড়ি তৈরি শুরু হয়েছিল ২০ থেকে ২৫ বছর আগে। সত্তর-আশিটা ঘর মিলিয়ে ছোট্ট গ্রাম। চল্লিশ থেকে পঞ্চাশটা পরিবারই এখানে রাবড়ি বানায়। চাষবাসের পাশাপাশি রাবড়ি বানিয়েই হয় এদের রোজগার।

আর এখান থেকেই কলকাতাসহ আশেপাশের সব মিষ্টির দোকানে রাবড়ি সরবরাহ করা হয়। এখানকার রাবড়িই বহু বছর ধরে কলকাতা এবং এর আশেপাশের মিষ্টিপ্রেমীদের স্বাদ মেটাচ্ছে।

 

রাবড়ি গ্রাম

রাবড়ি গ্রাম

গ্রামের প্রায় প্রতিটি ঘরেই তৈরি হয় রাবড়ি। একেক কড়াইতে সাত লিটার পর্যন্ত দুধ দেয়া হয়। মিষ্টির পরিমাণ বাড়াতে এরসঙ্গে দেয়া হয় ৫০০ গ্রাম চিনি। রাবড়ির জন্য প্রয়োজনীয় দুধ আসে আশেপাশের গ্রাম থেকেই। ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি গ্রামে রাবড়ি বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু শহরের দোকানে এলেই অবশ্য সেই রাবড়ি বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে। নিয়মিত ৬০ থেকে ৭০ লিটার দুধের রাবড়ি হয় গ্রামের প্রতিটা বাড়িতে। স্থানীয় অনুষ্ঠান, বিয়ে বাড়ি মুখেভাতে রাবড়ি সরবরাহ করে এই আইয়া গ্রাম। আশেপাশের মফঃস্বলেও বাড়িতে জামাই অথবা অতিথি এলে গৃহস্থের একমাত্র ভরসা রাবড়ি গ্রামের রাবড়ি।

 

রাবড়ি তৈরি করা হচ্ছে

রাবড়ি তৈরি করা হচ্ছে

তবে রাবড়ি কারিগরদের দাবি, সরকার তাদের পাশে দাঁড়ালে একদিন দেশের বাইরেও পৌঁছে যাবে আইয়া গ্রামের রাবড়ি। এছাড়া শীত পড়লে বাড়ে রাবড়ির চাহিদা। বর্ষাকালে মাঝে মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায় এ ব্যবসা। কলকাতার দোকান বন্ধ মানে এ গ্রামের মানুষেরও ব্যবসা বন্ধ।

আলোকিত লক্ষ্মীপুর
আলোকিত লক্ষ্মীপুর
//