আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র

গত ১০ জুন, বৃহস্পতিবার সকালে যখন দেশব্যাপী একযোগে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা; ঠিক তখনি ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে চলছে এক নিখোঁজ নিখোঁজ ষড়যন্ত্র। রংপুর মহানগরীর বাসিন্দা, ৩১ বছর বয়সী এক ইসলামি বক্তা যার নাম- মো. আফছানুল আদনান ত্ব-হা, তবে মাওলানা ত্বহা নামেই যে কিনা সর্বাধিক পরিচিত—তাকে নাকি পাওয়া যাচ্ছে না, এই মর্মে অভিযোগ পেশ করা হচ্ছে সোশাল মিডিয়া জুড়ে।
সাথে সাথে পুলিশের অনিচ্ছা, মামলা নেয় না কেউ, সরকার তাকে গুম করেছে এসব অপপ্রচারে ছেয়ে যায় সোশাল মিডিয়া। এবং মুক্তিযুদ্ধের অপশক্তির অর্থায়নে পুষ্ট অনলাইন গোষ্ঠীটিও সারা দেশব্যাপী প্রতিষ্ঠিত মডেল মসজিদ ও ইসলামিক কেন্দ্রগুলোর বিরুদ্ধে সরব হয়ে ওঠে।
বস্তুত, বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিদের যথাযথ ইসলাম শিক্ষা, প্রসার-প্রচার, ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদীদার বিরুদ্ধে বক্তব্য ও শিক্ষা প্রচার পাশাপাশি আধুনিক ধর্মীয় রীতিনীতি চর্চায় যখন বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিতে চেষ্টা করছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, তখনি এই মাওলানা ত্বহার নিখোঁজ ষড়যন্ত্র ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। 
সাবিকুন নাহারের সাথে মাত্র ৩ মাস আগে বিয়ে হয় মাওলানা ত্বহার। যখন হেফাজত তান্ডবে এবং মামুনুলের রিসোর্ট কান্ডে জঙ্গী দলটি কার্যত অচল বাংলাদেশে। অর্থাৎ এই যে গত ১০ জুন, মাওলানা ত্বহা নিখোঁজ এবং তার পরবর্তী সময়ে দেশজুড়ে, ফেসবুকে ও সংসদে এ বিষয়ে তর্ক-বিতর্ক তা স্পষ্টতই একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। মূলত ত্বহার মত কোন ইসলামিক বক্তা হঠাৎ উধাও করে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ সরকারকে বিব্রত করতেই এই বিশাল ষড়যন্ত্র সাজানো হয়েছে।