ত্রাণ দেয়ার নামে নরীকে ধর্ষণ করলেন বিএনপি কর্মী, জনমনে ক্ষোভ

দেশে উদ্ভূত করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকার যখন নিরলসভাবে জনকল্যাণে কাজ করছে, তখন বিএনপি নেতাকর্মীরা একের পর এক অপকর্ম করে বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে। যারই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) বরগুনার তালতলীতে এক বিএনপি সমর্থক ত্রাণ দেয়ার কথা বলে এক দিনমজুরের মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। এ নিয়ে এলাকায় ছি ছি রব পড়ে গেছে, সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে তুমুল সমালোচনাও। বিশিষ্টজনরা বলছেন, সংকটময় এই মুহূর্তে বিএনপি জনগণের পাশে না থেকে বরং তাদের ক্ষতিসাধনে ব্যস্ত। এ কারণে ত্রাণ দেয়ার নামে তারা এমন ঘৃণিত কাজ করেছে।

দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, বরগুনার তালতলী উপজেলার বাদুরগাছা গ্রামের দিনমজুর সোবহান দেশে উদ্ভূত করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বেকার হয়ে পড়ায় তার পরিবার খাদ্য সঙ্কটে পড়ে। বিষয়টি তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানালে তিনি সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বলেন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। পরবর্তীতে সোবহান সংশ্লিষ্টদের কাছে গেলে তারা বলেন ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে আসতে। সেসময় (৭ এপ্রিল) তার মেয়ে আইডি কার্ড আনতে গেলে পথিমধ্যে বিএনপির সাবেক এমপি মতিউর রহমান তালুকদারের একদল সমর্থক তার গতিরোধ করে বলে, ওদের কাছ থেকে এতো কষ্ট করে ত্রাণ নেয়ার কী দরকার! আমাদের সঙ্গে আসুন আমরা কোন ঝামেলা ছাড়াই, আইডি কার্ড ছাড়াই ত্রাণ দেবো। সরল বিশ্বাসে দিনমজুরের বিবাহিত কন্যা তাদের সঙ্গে গেলে, তাকে জোরপূর্বক একটি ঘরের ভেতর ঢোকানো হয়। বলা হয়, এখানেই ত্রাণ দেয়া হবে। পরে মুখোশ পরা অবস্থায় বিএনপির এক স্থানীয় কর্মী দিনমজুরের ওই কন্যাকে ধর্ষণ করে। সেসময় বাকীরা বাইরে থেকে পাহারা দেয়। একপর্যায়ে মেয়েটির চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে সংঘবদ্ধ বিএনপি চক্রটি পালিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ছি ছি রব পড়ে গেছে।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে বাংলানিউজ ব্যাংকের এই প্রতিবেদক যোগাযোগ করে সাবেক এমপি মতিউর রহমান তালুকদারের সঙ্গে। তিনি জানান, ধর্ষণের কোন খবর তার কানে আসেনি। আর ধর্ষণ কে বা কারা করেছে সে সম্পর্কেও তিনি অবহিত নন। তবে এই কাজ যদি তার কোন কর্মী-সমর্থক করে থাকে, তবে তার বিরুদ্ধে অচিরেই সমুচিত ব্যবস্থা নেবেন তিনি। যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ তার বা দলের নাম ভাঙিয়ে এমন অপকর্ম করতে না পারে।

এ বিষয়ে দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির লোকজন দেশের এই দুর্যোগের সময় মানুষের পাশে নেই। অথচ এতে তাদের মধ্যে লজ্জা বা অপরাধবোধ নেই। যারই অংশ হিসেবে তারা ত্রাণ দেয়ার কথা বলে বরগুনার তালতলীতে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ থেকে সহজেই প্রমাণিত, তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ কতোটা অস্বচ্ছ ও জনবিরোধী।