ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইয়াবা সেবনকারী সেই চেয়ারম্যানর পদ শুন্য ঘোষনা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার কাউতলা উত্তর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আসলাম মৃধার বিরুদ্ধে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ইউপি সদস্যদের অনাস্থা প্রস্তাবটি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদিত হয় এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপসচিবের সাক্ষরযুক্ত পত্রে একটি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়।

প্রজ্ঞাপন পত্র উল্লেখ করা হয়, নবীনগর উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আসলাম মৃধার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ মাদক (ইয়াবা) সেবন, অত্র ইউনিয়ন পরিষদের ১নং,২ নং ও ৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য লিপি বেগমের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও জুতাপেটা করায়, ভিজিডির টাকা তার নিকট গচ্ছিত রাখা, সরকারি ভাতাভোগীদের থেকে সরকারি ফি’র  অতিরিক্ত টাকা আদায় সহ নানান অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে তদন্ত করে এবং উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আহ্বানে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের বিশেষ বৈঠকে অনাস্থা প্রস্তাবে গোপন ব্যালটে ১২ টি ভোটে তথা দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ভোট অনাস্থা প্রস্তাব পড়ে৷ এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার(ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৯(১৩) ধারায় আসলাম মৃধার পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে  নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রজ্ঞাপনটি গেজেট আকারে প্রকাশ করার নির্দেশ প্রদান করা হয়।

উক্ত প্রজ্ঞাপনটি স্মারক নং ৪৬.০০.১২০০.০১৭.২৭.০০১.১৬.৫৭৮ এ অত্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোঃ আবুজাফর রিপন পিএএ এর সাক্ষার যুক্ত পত্রে গত বৃহস্পতিবার অনুমোদিত হয়, এবং সোমবার ১৬ আগস্ট তা প্রকাশিত হয়।

এ বিষয় নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমার মনোনীত উপজেলা সমবায় অফিসারের করা তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্যারের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলাম। সেই প্রেক্ষিতে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হল। উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক চেয়ারম্যান আসলাম মৃধার পদটি শুন্য ঘোষনা করে ২-৩ দিনের মধ্যে গেজেট বিজ্ঞপ্তি আকারে জারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে এই পরিষদের সচিব কেও বদলি করা হয়েছিল। অন্যায়কারী যে-ই হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।

প্রসঙ্গত,নবীনগর উপজেলার কাইতলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসলাম মৃধার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার ইয়াবা সেবনের অভিযোগ এবং গণমাধ্যম মাদক সেবনের ভিডিও ভাইরাল হয়,অত্র ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা আসনের  সদস্যকে জুতা পেটা সহ নানন দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছিলো৷