ব্রেকিং:
চার বছর পর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গে প্রবাসীর মৃত্যু! লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে করোনা রোগী ৩৭ জন : নতুন করে শিশুসহ আক্রান্ত ৩ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের মারা যাওয়া তরুণের করোনা নেগেটিভ, তিন ভাই বোনের পজেটিভ লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল এডভোকেট নয়ন লক্ষ্মীপুরে ত্রাণের সাথে ঘরও পেল লুজি মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ সুপারের ভিডিও কনফারেন্স লক্ষ্মীপুরে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? লক্ষ্মীপুরে ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ লক্ষ্মীপুরে ২০০০ পরিবার পেল উপহার সামগ্রী
  • শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অবহেলিত নোয়াগাঁও বাজারের উন্নয়ন নেই ১৪ বছর

আলোকিত লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

 লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ২নম্বর নোয়াগাঁও ইউনিয়নের নোয়াগাঁও বাজারে গত ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে কোন উন্নয়ন কর্মকান্ড না থাকায় বর্তমানে বেহাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

প্রতি মঙ্গলবার ও শুক্রবার সাপ্তাহে ২দিন হাঁট বসার কারনে হাজার হাজার মানুষের মিলন কেন্দ্রে পরিনত হয়। প্রায় ১শ বছরের পুরোনো এতিহ্যবাহী এই বাজার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের সর্বসাধারনের মিলন কেন্দ্র হলেও বিগত ১৪ বছরে সরকারী কোন উন্নয়ন কর্মকান্ড না থাকায় বাজারের সাবির্ক উন্নয়ন কর্মকান্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারনে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
২০০৬ইং সালে তৎকালীন এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী রামগঞ্জে জিয়াউল হক জিয়া সরকারী ভাবে নোয়াগাঁও বাজারে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যায়ে মাছ বাজার,কাঁচা বাজার, ড্রেন, টয়লেট ও গভীর নলকুপ স্থাপন করেন।

দীর্ঘ ১৪ বছর পার হয়ে গেলেও সরকারী ভাবে কোন উন্নয়ন কাজ না হওয়ায় বর্তমানে ডাষ্টবিনে পরিনত হয়েছে। এর পরেও বাজারের কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা স্থানীয় কিছু নামধারী রাজনীতিবিদদের মুষ্টিময় বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজনদের দিয়ে প্রতিবছর বাজার ইজারার নাম করে ৬গুন পর্যন্ত টাকা বৃদ্ধি করে ঐতিহ্যবাজী এই বাজারটিকে ধংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিচ্ছে।

এতে করে বাজারের ব্যবসায়ী, নোয়াগাঁও গ্রামসহ আশপাশের কয়েক গ্রামের জনসাধারনের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
নোয়াগাঁও বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন জানান, আমরা প্রতিবছর বাজার ইজারার মাধ্যমে সরকারের কোষাঘারে লাখ লাখ টাকা দিচ্ছি এবং ইউনিয়ন পরিষদ প্রত্যেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান টেক্স নিচ্ছে। এর বিনিময়ে সরকার কিংবা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন উন্নয়ন কর্মককান্ডমূলক কোন বরাদ্ধ দেওয়া হচ্ছে না। এজন্য বাজারের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।

বাজার কমিটির সভাপতি মোঃ মোজাম্মেল হোসেন পলাশ জানান, ঐতিহ্যবাহী নোয়াগাঁও বাজারে একটি উচ্চ বিদ্যালয়, একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি ব্যাংকসহ গুরুত্বপূর্ন বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

১৩সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে আমরা দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে সমাজসেবক মুনছুর আহম্মেদ এবং সাহিদ হোসেনসহ সাথে নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে বাজারের উন্নয়নের জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সম্প্রতি এমপি আনোয়ার হোসেন খান এই বাজারের ইসলামী ব্যাংক উদ্বোধনের সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকা কালেও বাজারের বিভিন্ন সমস্যা উপস্থাপন করলে উনিও সমাধানে আশ্বাস দিলেও উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য অদ্যবধি পর্যন্ত দৃশমান কোন উন্নয়নমূলক বরাদ্ধ পাওয়া যায়নি।

২নং নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন রানা জানান, প্রতি বছরে সরকার থেকে পুরো নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের জন্য ৩৮ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ পেয়ে থাকি। এ কারনে আসলে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে বাজারের উন্নয়নের জন্য কোন ফান্ড দেওয়া সম্ভব হয়না। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুদৃষ্টি দিলে বাজারের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব।

আলোকিত লক্ষ্মীপুর
আলোকিত লক্ষ্মীপুর
//