ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৮ সদস্যের অনাস্থা

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন রানার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে বুধবার জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অনাস্থা প্রস্তাব করেছেন পরিষদের ৮ ইউপি সদস্য। একই সঙ্গে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জকে অনুলিপি দেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন রানার মুঠোফোনে অনাস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে তার বিরুদ্ধে সদস্যরা যে অভিযোগ করেছেন তা গভীর ষড়যন্ত্র বলে জানান।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন রানা তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনকে দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সরকারী উন্নয়ন কর্মকান্ডের টাকা লুটপাট করছেন। চলতি অর্থ বছরে একটি পাকা ঘর তার বোনকে দিয়েছেন বাকি একটি ঘর অন্য জনের নিকট ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। বিধবা, বয়স্ক, প্রতিবন্ধি, মাতৃত্বকালিন ভাতা সহ বিভিন্ন ভাতার কার্ড নিজের ইচ্ছেমত বিতরন করেন। ওয়ান পার্সেনের টাকা উন্নয়ন কাজ তো দুরের কথা মেম্বারদের সাথে কোন পরামর্শ না করে তা তিনি নিজে ভোগ করেন। প্রতিটি ইজিপি প্রকল্পের ৩০% সহ বিভিন্ন টিআর, কাবিখা, কাবিটা প্রকল্পের লুটপাট করারও অভিযোগ রয়েছে। 

জেলা প্রশাসনের নিকট দায়ের করা অনাস্থাতে স্বাক্ষর করেছেন ইউপি মেম্বার মোস্তাফিজুর রহমান, মোঃ নুরনবী, মোঃ শেখ ফরিদ, নুরুল আমিন, আবুল কাসেম, মোহাম্মদ হোসেন বাবুল, সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার হোসনেয়ারা বেগম। এব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন রানা বলেন বলেন, আমার পরিষদের মেম্বারগন বিভিন্ন ভাতা, উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ড থেকে অনৈতিক সুবিধা নিতে পারছে না। পাশাপাশি স্থানীয় এমপির ব্যক্তিগত ফান্ড থেকে অসহায়,দরিদ্র, চিন্নমুল মানুষদের মাঝে শীতের কম্বল সহ বিভিন্ন অনুদান বিতরনে মেম্বারগন লুটপাট করতে না পারায় আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়েছে। রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসিন জাহান জানান, অনাস্থার একটা অনুলিপি পেয়েছি। অধিকাংশ সদস্যরাই তার বিরুদ্ধে। বিষয়টি আমার উপরস্থ কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।