ইমেজ তৈরিতে ব্যস্ত চেয়ারম্যানরা

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ১০ ইউপির চেয়ারম্যানরা আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ইমেজ তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এলাকাঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

চেয়ারম্যানরা দলমত নির্বিষেশে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি এলাকার সমস্যাগুলো দূর করতে কাজ করে যাচ্ছেন। এতে ভোটাররা সরকারে সব উন্নয়নের সুবিধা পাচ্ছেন।

উপজেলার ভাদুর ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদ হোসেন ভুইয়া দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়নে রূপান্তরিত করেছেন। এতে করে তিনি পুরস্কার হিসেবে দুটি দেশ ভ্রমণ, লক্ষ্মীপুর জেলা ও বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হওয়ার পাশাপাশি দুই বছরে তিনটি স্বর্ণপদকসহ ৪৩টি পদকে ভূষিত হন। এছাড়া করপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুল হক মজিব টানা দুইবার চেয়ারম্যান হওয়ার সুবাধে এলাকাতে অধিকাংশ সড়ক পাকা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ প্রতিটি স্তরে উন্নয়নের রোল মডেল তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এতে করে তিনি জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পাশাপাশি ২৫টি পদকে ভূষিত হয়েছেন। 

লামচর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্যাহ নিহত হওয়ায় তার স্ত্রী মাহেনারা পারভিন পান্না গৃহবধূ থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। চেয়ারম্যান হওয়ার পরে মানবসেবায় প্রসংশিত হওয়ায় সরকারিভাবে দুটি দেশ ভ্রমণের পাশাপাশি ৫টি পদকে ভূষিত হয়েছেন। 

চন্ডিপুর ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ভুইয়া শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে বিশেষ অবদান রাখায় জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন থেকে একাধিক পদতে ভূষিত হন। 

ভাট্টা ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন মিঠু সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজানের সহযোগিতায় এলাকাতে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করলেও অধিকাংশ সড়ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন এমনকি ইউনিয়ন পরিষদের ভবনটির বেহাল দশা। তবে উন্নয়ন কাজে দলের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি প্রতিপক্ষের লোকজনদের মূল্যায়ন করায় গ্রহণ যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে অবস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। 

ইছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সহিদ উল্যাহ এলাকার কয়েকজন সুশীল সমাজের ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় এমপি ড.আনোয়ার খানের সহযোগিতায় ব্যাপক উন্নয়ন করছেন। 

ভোলাকোট ইউপি চেয়ারম্যান বশির আহমেদ মানিক চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরে নারীঘটিত ঘটনায় জড়িয়ে পড়ায় শীর্ষস্থানীয় নেতা, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের ঘৃনারপাত্রে পরিণত হওয়ায় তার নির্বাচনী এলাকায় তেমন উন্নয়ন করতে পারেননি। 

দরবেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমানের বড় ভাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান থাকার সুবাদে দরবেশপুর ইউপিতে ব্যাপকভাবে উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় নিজ দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে সুসংগঠিতভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। 

নোয়াগাও ইউপি চেয়ারম্যান মো. হোসেন রানা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরেই এলাকাচ্যুত হয়ে ঢাকাতে গার্মেন্ট ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় পরিষদকে অকার্যকর করে রেখেছে। 

কাঞ্চনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আ. করিম মাস্টার মারা যাওয়ার সুযোগে তার ছেলে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান হয়ে ঢাকাতে চলে যায়। ফলে ওই ইউনিয়নবাসী সব নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।