ব্রেকিং:
চার বছর পর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গে প্রবাসীর মৃত্যু! লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে করোনা রোগী ৩৭ জন : নতুন করে শিশুসহ আক্রান্ত ৩ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের মারা যাওয়া তরুণের করোনা নেগেটিভ, তিন ভাই বোনের পজেটিভ লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল এডভোকেট নয়ন লক্ষ্মীপুরে ত্রাণের সাথে ঘরও পেল লুজি মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ সুপারের ভিডিও কনফারেন্স লক্ষ্মীপুরে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? লক্ষ্মীপুরে ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ লক্ষ্মীপুরে ২০০০ পরিবার পেল উপহার সামগ্রী
  • বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

উন্নয়নশীল দেশগুলোর ঋণ গ্রহণের মাত্রা বেড়েছে

আলোকিত লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯  

বিশ্বের উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলোর (ইএমডিই) ঋণ গ্রহণ ব্যাপক হারে বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির দেয়া তথ্যমতে, গত পাঁচ দশকে এ ঋণের পরিমাণ ৫৫ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

সম্প্রতি ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে উপর ভিত্তি করে এসব তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইএমডিইগুলোর ঋণের মাত্রা বৃদ্ধির একটা বড় অংশজুড়ে রয়েছে চীনের ঋণ। ১০০টি দেশ নিয়ে এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সরকারি ও বেসরকারি খাতের সংস্থাগুলোর ঋণের ওপর নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিংহভাগ দেশ ।

বিশ্বব্যাংকের ‘গ্লোবাল ওয়েভস অব ডেট’ শীর্ষক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০১০ সালে ঋণ গঠন শুরুর পর থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ঋণ-জিডিপি অনুপাত ৫৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৬৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। 
উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালের পর থেকে ঋণ প্রবৃদ্ধির চারটি গুরুত্বপূর্ণ পর্ব নিয়ে ‘গ্লোবাল ওয়েভস অব ডেট’ সমীক্ষাটি করা হয়েছে।

ভোক্তা, ব্যবসা ও সরকারি- মোট সব ধরনের ঋণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এই সমীক্ষায়। সেই সঙ্গে ঋণের অর্থ পরিশোধ, বিশেষ করে ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ তহবিলগুলোর ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে অর্থনীতির প্রতিটি অংশে যে পরিমাণ চাপ পড়ে তার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত ১০০টি দেশের ঋণ-জিডিপি অনুপাত প্রতি বছর গড়ে সাত শতাংশ পয়েন্ট করে বাড়তে দেখা গেছে, যা ১৯৮০ সালে লাতিন আমেরিকায় উদ্ভূত ঋণ সংকটের চেয়ে প্রায় তিন গুণ দ্রুত।

বিশ্বব্যাংকের ইকুইটেবল গ্রোথ, ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনস বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট চেয়েলা পাজারবাসিগলু বলেন, বড় আকারের ঋণ বৃদ্ধি প্রায়ই উন্নয়নশীল দেশগুলোর আর্থিক সংকটের সঙ্গে সংযুক্ত। 

ঋণ ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক সংকটগুলোর মুখে ঝুঁকির মাত্রা কমাতে এসব দেশের নীতি নির্ধারকদের অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৮ সালের বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের পর দুর্বল মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ব্যাপক মাত্রায় সুদহার সর্বনিম্নে নামিয়ে নেয়ার প্রবণতা ‘আপাতভাবে’ একটি সংকটের ঝুঁকি প্রশমিত করতে পেরেছে। কিন্তু গত ৫০ বছরের রেকর্ড সুদহার ও মূল্যস্ফীতি কম থাকার ঝুঁকি তুলে ধরছে।

১৯৭০ সালের পর থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলোয় জাতীয়ভাবে ৫২১টি দ্রুত ঋণ প্রবৃদ্ধির ঘটনা রয়েছে। যার প্রায় অর্ধেক ক্ষেত্রে আর্থিক সংকট সঙ্গী হয়েছে। আর এসব ঘটনা দেশগুলোতে উল্লেখযোগ্যভাবে মাথাপিছু আয় ও বিনিয়োগ দুর্বল করেছে।

ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস বলেন, সর্বশেষ ঋণ তরঙ্গের আকার, গতি ও বিস্তৃতি সবাইকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। ঋণ ব্যবস্থাপনা ও জবাবদিহিতার প্রয়োজনীয়তা কেন নীতি নির্ধারকদের শীর্ষ অগ্রাধিকার হিসেবে থাকা উচিত, প্রতিবেদনটি তা তুলে ধরেছে। এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে নীতি নির্ধারকরা প্রবৃদ্ধি ও বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি যেসব ঋণ গ্রহণ হচ্ছে সেগুলো যেন জনগণের সর্বোচ্চ উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে, তা নিশ্চিত করতে পারবে।

আলোকিত লক্ষ্মীপুর
আলোকিত লক্ষ্মীপুর
//