‘এক লাখ শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে প্রত্যাহার করা হবে’

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ২০২১ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম এবং ২০২৫ সালের মধ্যে সব ধরনের শিশুশ্রম বন্ধে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনে সরকার ২৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে এক লাখ শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে প্রত্যাহার করা হবে।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি এডওয়ার্ড বিগবেডারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি এসব কথা বলেন। 

সাক্ষাতের সময় শ্রম প্রতিমন্ত্রী ঝুঁকিপূর্ণ শিশু শ্রম নিরসনে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন।

এসময় জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প মালিক সমিতি সম্প্রতি ওই খাতে শিশুদের শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় না বলে যে প্রত্যায়ন দিয়েছে, সে বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে।  

চা বাগান এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চা শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য সরকার হোস্টেল নির্মাণ করবে বলে প্রতিমন্ত্রী প্রতিনিধি দলকে অবহিত করেন। প্রতিনিধি দল আইএলও ও ইউনিসেফের যৌথ উদ্যোগে সিলেট অঞ্চলের চা বাগান এলাকায় স্কুলের বাইরে থাকা শিশুদের কারিগরি শিক্ষার জন্য নেয়া একটি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন। 

এ প্রেক্ষিতে আগামীতে ইউনিসেফের সঙ্গে বাংলাদেশের সর্ম্পক আরো জোরদার হবে বলেও উভয় পক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করে। 

এতে জানানো হয়, আগামী ২৪ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা এইচ ফোর বাংলাদেশ সফর করবেন। সফরের অংশ হিসেবে তিনি ২৬ ফেব্রুয়ারি শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।   

সাক্ষাতে মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, ইউনিসেফের চিফ অব এডুকেশন ড. পাওয়ান কুচিতা, চৌধুরী মুফাদ আহমেদ এবং সোশ্যাল পলিসি স্পেশিয়ালিস্ট মো: আজিজুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।