ব্রেকিং:
চার বছর পর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গে প্রবাসীর মৃত্যু! লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে করোনা রোগী ৩৭ জন : নতুন করে শিশুসহ আক্রান্ত ৩ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের মারা যাওয়া তরুণের করোনা নেগেটিভ, তিন ভাই বোনের পজেটিভ লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল এডভোকেট নয়ন লক্ষ্মীপুরে ত্রাণের সাথে ঘরও পেল লুজি মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ সুপারের ভিডিও কনফারেন্স লক্ষ্মীপুরে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? লক্ষ্মীপুরে ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ লক্ষ্মীপুরে ২০০০ পরিবার পেল উপহার সামগ্রী
  • শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

এক হাসিনায় উন্নয়নের ছোঁয়া, বিএনপি-জামায়াত জোটে ‘তলা বিহীন ঝুঁড়ি’

আলোকিত লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮  

স্বাধীনতার ৪৭ বছরের মধ্যে বিশ বছরই পাকিস্তানের তাবেদারিতে দেশের শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট করেছে বিএনপি-জামায়াত। বিশেষ করে ২০০১ সাল থেকে বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সময়টাতে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ পরিচিতি পেয়েছিল ‘তলা বিহীন ঝুঁড়ি’ হিসেবে। দল দুটি স্বাধীনতার পর থেকে যখনই সুযোগ পেয়েছে পাকিস্তানের পরাজয়ের ক্ষোভ ঝেড়েছে দেশের সাধারণ মানুষের ওপর। বাংলাদেশ ধ্বংসের লক্ষ্যে পাকিস্তানের অর্থায়ন ও ইশারায় দেশের অভ্যন্তরেই গড়েছে নিজেদের প্রশিক্ষিত জঙ্গি ও রগকাটা সন্ত্রাসী বাহিনী। পেট্রোল বোমার স্রষ্টা হিসেবে জনগণের কাছে পরিচিতি পাওয়া বিএনপি বিভিন্ন সময়ে জীবন্ত মানুষকে নিষ্ঠুরভাবে পুড়িয়ে মারার ভয়ঙ্কর ইতিহাসও রচনা করেছে।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিএনপি-জামায়াত তাদের অপকর্মগুলো স্বীকার না করলেও জনগণ বিএনপি-জামায়াতের আক্রমাণাত্মক চরিত্র সম্পর্কে অবগত ও ভীত থাকেন সবসময়। আসন্ন নির্বাচনেও এর প্রভাব পড়বে।

শেখ মুজিবুর রহমানের তীক্ষ্ণ বুদ্ধির জন্যই ’৭১ এ পাকিস্তানকে বিতারিত করে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। যেখানে ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের দোসর ও দেশদ্রোহী শক্তি। কিন্তু ১৯৭৫ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর সেই স্বাধীন বাংলাদেশকেই আবারো পরোক্ষভাবে পকিস্তানিদের হাতে তুলে দিয়েছে বিএনপি। যেখানে দলটিতে থাকা পাকিস্তানপন্থি নেতারা একাত্তরের আলবদর-রাজাকার বা যুদ্ধাপরাধীদের সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসিয়েছিল চিহ্নিত রাজাকারদের।

১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত ‍বিএনপি জামায়াতের নেতৃত্বে অর্থ-সম্পদের লুটপাটের পাশাপাশি অনেকটা পাকাপাকিভাবেই পাকিস্তানি দালালের ঘাঁটিতে রূপান্তরিত হয়ে দেশ।

জাতির দুর্দিনে পিতার অপূর্ণ স্বপ্নকে বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে রাজনীতিতে নাম লিখান বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ক্লিন ইমেজের সেই হাসিনা শত নির্যাতন সহ্য করে ১৯৯০ সালে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার নেতৃত্ব দেন সামনে থেকে।

১৯৯১ সাল থেকে পরবর্তী পাঁচটি বছর দেশে লুটেরাদের রাজত্ব ফিরিয়ে আনে বিএনপি। প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে গোপনে চালাতে থাকে পাকিস্তানি জঙ্গি তৈরির মিশন।

১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জনগণের ‍রায় সঠিক পথে গেলে শেখ হাসিনা হন প্রধানমন্ত্রী। জাতির পিতার স্বপ্নপূরণে একে একে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেন তিনি। দেশের উন্নয়নের চাকা আবারো সচল হয়।

আবারো অস্তিত্ব হারাতে থাকে পাকিস্থানের দোসররা। ফলে বাংলাদেশের মাটিতে পুনঃরায় পাকিস্তানের অস্তিত্ব ফিরিয়ে আনতে সক্রিয় হয় বিএনপির আশ্রয়ে থাকা সেই জঙ্গিরা। আবারো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার কুট-কৌশলের আশ্রয় নেয় বিএনপি-জামায়াত জোট। পাকিস্তানের অর্থায়ন ও পরোক্ষ সহযোগিতায় ২০০১ সালে পুনঃরায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে তারা।

সেসময় বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জনগণের ওপর গত নির্বাচনে পরাজয়ের শোধ নিতে থাকে দলটির অনুসারিরা।

যেমন ছিল বিএনপির ক্ষমতার দিনগুলো

২০০১ সালে সরকার গঠনের পর থেকে সরকারি দফতরগুলোতে ঘুষের বিনিময়ে কাজ আদায়ের প্রবণতা সহ্যসীমা ছাড়িয়ে যায়। বিরোধী পক্ষের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ওপরও বিনা উষ্কানীতে হতে থাকে হামলা-মামলা।

হাওয়া ভবনে বসে করা তারেক রহমানে পরিকল্পনায় জঙ্গিদের সাথে আঁতাত করে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আহত হয়ে বেঁচে গেলেও আ.লীগের অনেক নেতা প্রান হারান।

বিএনপির ওই সময়টিতে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ যতক্ষণ থাকতো তার থেকেও বেশি সময় থাকতো লোডশেডিং। বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের বদলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিদ্যুতের নিম্নমানের খাম্বা কিনার ছুতোয় হাজার কোটি টাকা সরিয়েছে বিএনপি। ছিলনা কোনো খাদ্য উৎপাদনে অগ্রগতি। আয়ের তুলনায় খাদ্য কেনার খরচ ছিল দ্বিগুণ।

দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মানুষ গুম ও হত্যা, চাঁদাবাজিসহ নানান অপকর্ম মিলিয়ে বিএনপির সরকার বিশ্বের মধ্যে টানা পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। লুটে পুটে খেয়েছে সাধারণ মানুষকে।

বিএনপি-জামায়াতের দেশ বিরুদ্ধ কার্যক্রমে বিরক্ত হয়ে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ বিপুল ভোটের ব্যবধানে শেখ হাসিনার মহাজোটকে ক্ষমতায় আনে। ২০০৯ সালে আ.লীগ সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিএনপি নেতাদের একের পর দুর্নীতির প্রকাশ্যে আসে। দুর্নীতির মামলায় সাজা পেয়ে জেল খাটছেন খালেদা জিয়া। পাশাপাশি দুর্নীতির আঁতুর ঘর ‘হাওয়া ভবনে’র গডফাদার তারেক রহমানও পেয়েছেন দুর্নীতির সাজা। জেলে যাওয়ার ভয়ে দীর্ঘ এক যুগের মতো হলো পলাতক রয়েছেন যুক্তরাজ্যে। এসময়ের মধ্যে বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায়ও বাস্তবায়ন হয়।

সেসময়ে নিজেদের ও যুদ্ধাপরাধীদের সাজা রুখতে জনগণের ওপর বিএনপি, জামায়াত ও জঙ্গিরা এতোটাই ক্ষিপ্ত হয় যে জনবহুল এলাকাগুলোয় একের পর এক পেট্রোলবোমা হামলাসহ সন্ত্রাসবাদ চালাতে থাকে। ২০১২, ১৩ ও ১৫ সালে দেশে যে ধরনে অগ্নি সন্ত্রাস চালিয়েছিল ওই দল ও জোটটি, তা মনে করে এখনো সাধারণ মানুষ আঁতকে ওঠে। সে সময়ে একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও তাদের সহযোগীদের জঙ্গি হামলা, নাশকতা, বোমাবাজি, জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে নারকীয় পরিবেশ তৈরি করেছিল।

যেমন আ.লীগের ক্ষমতার দিনগুলো

জাতির পিতাকে হত্যার পর একমাত্র শেখ হাসিনার ক্ষমতার সময়েই মুক্তির পথ দেখতে পেয়েছে দেশবাসী। বঙ্গবন্ধুর দীক্ষা নিয়ে শেখ হাসিনা দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে একনিষ্ঠ শ্রম ও কর্মকুশলতায় নিমগ্ন হন।

গত ১৫ বছরের ক্ষমতায় তারই ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় হতদরিদ্র, হতশ্রী দেশটি ঘুরে দাঁড়ায়। বিএনপির রেখে যাওয়া ‘তলা বিহীন ঝুঁড়ি’ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পদার্পনের যোগ্যতা অর্জন করেছ। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ এখন ‘রোল মডেল’।

গ্রামগুলো নাগরিক সুযোগ-সুবিধার দিকে ধাবিত করেছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো জীবনধারাকে দিয়েছে বদলে। ডিজিটাল ব্যবস্থা বাঙালীর জীবনকে তথ্যপ্রযুক্তির দিগন্তে এগিয়ে নিয়ে গেছে। তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তরিত করেছে, হতদরিদ্র মানুষকে দেখিয়েছেন ন্যূনতম সচ্ছলতার স্বপ্ন, বাড়িয়েছেন খাদ্য শস্যের উৎপাদন, পোশাক শিল্পে বাড়িয়েছেন দেশের সুনাম, বিশ্বের বিরোধী পক্ষের চোঁখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন নিজেদের অর্থায়নে বড় বাজেটের পদ্মা সেতু প্রকল্পের অগ্রগতি, জয় করেছেন বছরের পর বছর ঝুলে থাকা সমুদ্রসীমা, বাড়িয়েছেন বিদ্যুৎ উৎপাদন, যানজট কমিয়ে আনতে করেছেন উল্লেখযোগ্য ইউলুপ ও ফ্লাইওভার।

আলোকিত লক্ষ্মীপুর
আলোকিত লক্ষ্মীপুর
//