ব্রেকিং:
চার বছর পর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গে প্রবাসীর মৃত্যু! লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে করোনা রোগী ৩৭ জন : নতুন করে শিশুসহ আক্রান্ত ৩ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের মারা যাওয়া তরুণের করোনা নেগেটিভ, তিন ভাই বোনের পজেটিভ লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল এডভোকেট নয়ন লক্ষ্মীপুরে ত্রাণের সাথে ঘরও পেল লুজি মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ সুপারের ভিডিও কনফারেন্স লক্ষ্মীপুরে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? লক্ষ্মীপুরে ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ লক্ষ্মীপুরে ২০০০ পরিবার পেল উপহার সামগ্রী
  • বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

করোনা টেস্ট কিট নিয়ে জাফরুল্লাহর নতুন স্ট্যান্টবাজি!

আলোকিত লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০২০  

করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট উদ্ভাবন করার ঘোষণা দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সংকট সময়ে যেকোনো ধরনের উদ্ভাবনই উৎসাহজনক। বর্তমান সরকারও করোনার কিট উদ্ভাবন ও প্রস্তুতের বিষয়ে পৃষ্ঠপোষকতা করছে। খোদ জাফরুল্লাহ চৌধুরী সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু কিট হস্তান্তর নিয়ে তিনি যেভাবে সরকারকে দোষারোপ করলেন সেটি গ্রহণযোগ্য নয়।

জানা গেছে, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর টেস্ট কিট নিয়ে যেসব কথাবার্তা বলেছেন তা স্ট্যান্টবাজির অংশ । শনিবার (২৫ এপ্রিল) তথাকথিত কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তা আরও স্পষ্ট হলো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারকে দোষারোপ করতেই কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি নানা মিথ্যাচার ও গুজব ছড়িয়েছেন।

তথ্যসূত্র বলছে, ডা. জাফরুল্লাহ দাবি করেছেন-আমন্ত্রণ করা সত্ত্বেও সরকারের পক্ষ থেকে কেউ যাননি এই অনুষ্ঠানে। সত্য হচ্ছে, এই পর্যায়ে সরকারের কেউ যেতেই পারেন না এই ধরনের কোনো অনুষ্ঠানে। টেস্ট কিটের কাজ এখন যেই পর্যায়ে সেখান থেকে প্রক্রিয়া অনুযায়ী তাদের ক্লিনিকাল ট্রায়াল করার কথা। যা হতে হয় একটি থার্ড পার্টির মাধ্যমে। বাংলাদেশে আইসিডিডিআর,বি, আইইডিসিআর সহ মোট নয়টি এমন থার্ড পার্টি প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে এই পরীক্ষা করানো যায়। এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল মানেও কিন্তু অনুমোদন না। ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করে তথ্য উপাত্ত পাঠাতে হয় বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের ন্যাশনাল রিসার্চ এথিকস কমিটিতে।

সেখান থেকে টেস্ট কিট যাবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ন্যাশনাল ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালস অ্যাডভাইসারি কমিটিতে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সকল ধাপ সম্পন্ন হলেই কেবল চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে। তারপর সফলতা সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন আসে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ড্রাগ কন্ট্রোল কমিটি থেকে। অর্থাৎ, একাধিক ধাপ বাকি থাকতেই ডা. জাফরুল্লাহ মিডিয়া ডেকে তামাশা করেছেন হস্তান্তরের নামে। এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে সকল সহায়তা পাওয়ার পরও আজকের কথাবার্তায় বুঝা যায় উনি মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। নিজেরা কোনো প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই সরকারের উপর অন্যায়ভাবে দায় চাপানোর অপচেষ্টা করছেন।

ডা. জাফরুল্লাহ দাবি করেছেন, গণস্বাস্থ্য নাকি বিদেশ থেকে সংক্রমিত স্যাম্পল এনে তা পরীক্ষা করেছে। সরকার থেকে এধরনের কোনো অনুমতি তারা নেননি। যে কাজটা ওনারা করেছেন, অর্থাৎ অনুমোদনহীনভাবে দেশের বাইরে থেকে সংক্রামক রোগের স্যাম্পল নিয়ে আসা, তা কিন্তু সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ এর ২৪ ধারা মোতাবেক আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কোনো রকম অনুমোদন ছাড়া টেস্ট কিটের প্যাকেজিংও করেছেন, যা ঔষধ নীতির পরিপন্থী।

তবে সূত্র বলছে, ডা. জাফরুল্লাহ যে টেস্টিং পদ্ধতির কথা বলছেন, তার কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন আছে শুরু থেকেই। তারপরেও জনস্বাস্থ্য প্রশ্ন জড়িত দেখে সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত তারা সর্বোচ্চ সহায়তা পেয়েছেন। সংক্রামক রোগের পরীক্ষা বা ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ কিন্তু সাধারণ না, ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। তাড়াহুড়ো করে করার মতো কাজ তো অবশ্যই না। যে প্রক্রিয়াগুলো জাফরুল্লাহ ও তার দল অনুসরণ করতে চাচ্ছেন না, তা কিন্তু জনস্বার্থেই করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্যের কথা বলে উনারা জনস্বার্থ কেন হুমকিতে ফেলতে চাচ্ছেন তা অনেকেরই বোধগম্য নয়।

প্রক্রিয়া অনুসরণ করে টেস্ট কিট তৈরি করা হলে ও সফলতা প্রমাণ হলে অবশ্যই সরকার তা লুফে নেবে। তার জন্য কাজ করতে হবে, অপরিপূর্ণ উদ্ভাবন নিয়ে স্ট্যান্টবাজি করে সাময়িক রাজনৈতিক ফায়দা হয়তো হাসিল হবে, জনগণের কোনো কাজে আসবে না।

আলোকিত লক্ষ্মীপুর
আলোকিত লক্ষ্মীপুর
//