করোনার টেস্ট নিয়ে যুবদল নেতার মিথ্যাচার, সমালোচনা তুঙ্গে

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করোনাভাইরাসের টেস্ট নিয়ে মিথ্যাচার করছেন যুবদল নেতা রাজু। তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাসের টেস্ট আর প্রেগন্যান্সি টেস্ট নাকি একই! অথচ, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্বাচীন না হলে তিনি এমন মন্তব্য কখনোই করতে পারতেন না। কারণ, চিকিৎসাশাস্ত্রে এমন কোন কিছুরই উল্লেখ নেই। তার এই মনগড়া কথা শুধুমাত্র দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্যই বলা। যেটা তার ভিডিও দেখে সহজেই অনুধাবন করা যায়।

এদিকে করোনা টেস্ট নিয়ে যুবদল নেতার মিথ্যাচার প্রসঙ্গে বিশিষ্টজনরা বলছেন, সরকারকে বেকায়দায় ফেলতেই বিএনপি এই পথ অনুসরণ করেছে। তবে লাভ হবে না। সাধারণ জনগণ ও সরকার উভয়ই সজাগ রয়েছে। করোনা নিয়ে বিএনপির কোন ষড়যন্ত্র সফল হবে না।

দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, যুবদল নেতা রাজু রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য করোনাভাইরাসের টেস্ট নিয়ে একটি মনগড়া ভিডিও তৈরি করে তা অনলাইনে ছড়িয়ে দেয়। মুহূর্তেই ওই গুজবকে সত্যি ভেবে সাধারণ মানুষ ভিডিওটাকে ভাইরাল করে ফেলে। ওই ভিডিও বার্তায় রাজু বলেন, মাত্র ১৫ মিনিটেই করোনাভাইরাসের টেস্ট করা যাবে এবং সেটা স্বল্পমূল্যেই। তাছাড়া এই টেস্ট প্রেগন্যান্সি টেস্টের মতোই। অথচ বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ, করোনাভাইরাসের জন্য পিসিআর টেস্ট ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন পর্যন্ত কোন পরীক্ষাকে অনুমোদন দেয়নি। তাই রাজু যে পরীক্ষার কথা ভিডিওতে উল্লেখ করেছেন, তার কোন ভিত্তি নেই।

বিশ্বস্ত সূত্রের তথ্যমতে, রাজু দুর্যোগময় এই সময়ে লন্ডনে পলাতক তারেক রহমানের নির্দেশনায় সরকারবিরোধী এই কর্মকাণ্ড করছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য, করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের চলমান নিরলস কর্মতৎপরতাকে বাঁধাগ্রস্ত করা এবং সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করা। তারই অংশ হিসেবে অনলাইনে ওই ভুয়া ভিডিওটি ছেড়ে তারা সাধারণ মানুষকে উসকে দিতে চাইছে।

এ বিষয়ে দেশের রাজনৈতিক বিশিষ্টজনরা বলছেন, জনহিতকর কাজে বিএনপির অ্যালার্জি আছে। এ কারণে তারা সরকারের কাজে ঈর্ষান্বিত হয়ে বারবার নানা ষড়যন্ত্র করছে। যারই প্রেক্ষিতে যুবদল নেতা করোনাভাইরাসের এই সংকটময় মুহূর্তেও এহেন ন্যক্কারজনক কাজ করেছেন। তাদের এই কুরুচিপূর্ণ মানসিকতাই প্রমাণ করে, বিএনপির রাজনৈতিক মতাদর্শ জনগণের জন্য কতোটা ক্ষতিকর।