করোনায় আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে জার্মানরা

করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জন্য দ্রুত আর্থিক সহায়তা দেয়ার ব্যবস্থা করেছে জার্মান সরকার৷ বৈশ্বিক মহামারির ফলে সৃষ্ট এ সঙ্কটের ফলে সাধারণ মানুষের আর্থিক অনিশ্চয়তা কাটাতে রোববার এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে দেশটির ফেডারেল ও রাজ্য সরকাররা। তারই আওতায় করোনায় ভুক্তভোগীদের কাছে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি ইউরো পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে৷

করোনাভাইরাসের সঙ্কটের ফলে যাদের আয় বন্ধ হয়ে গেছে সেসব মানুষ ও ছোট প্রতিষ্ঠানের কাছে অর্থ হস্তান্তর করা হবে। সোমবার থেকেই রাজ্য সরকাররা তাদের বিশেষ তহবিল থেকে এ অর্থ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করবে বলে জানা গেছে।

বিশ্বের প্রায় ২০৮টি অঞ্চল ও দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। অন্যান্য দেশগুলোর ন্যায় জার্মানিতেও জনজীবন প্রায় স্তব্ধ হয়ে গেছে৷ জীবিকা নির্বাহ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে দৈনিক আয়ের ওপর নির্ভরশীল মানুষগুলো৷ এছাড়া সব ধরণের অনুষ্ঠান বাতিল হওয়ার কারণে আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে শিল্পী, কলাকুশলী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। দিশেহারা হয়ে পড়েছে ছোট আকারের কোম্পানি ও স্বনির্ভর মানুষগুলোও৷ অনুষ্ঠান বাতিলের কারণে ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে খুব কম সংখ্যাক মানুষ।

জীবিকা নির্বাহের জন্য যেসব মানুষের পক্ষে কোনোভাবেই অর্থ সংগ্রহ করা সম্ভব নয় মূলত তাদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে জার্মান সরকার৷ যেসব কোম্পানিগুলোতে কর্মীর সংখ্যা সর্বোচ্চ পাঁচ জন তাদেরকে তিন মাস পর্যন্ত ৯ হাজার ইউরো সাহায্য দেয়ার কথা জানিয়েছে দেশটির সরকার৷ যেসব কোম্পানির কর্মী সংখ্যা ১০ জন তাদেরকে ১৫ হাজার ইউরো পর্যন্ত সরকারি সহায়তা দেয়া হবে৷

জার্মানির অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী পেটার আল্টমায়ার এক বিবৃতিতে বলেন, দেশটির চাষিরাও এই আর্থিক সহায়তা পাবেন৷ বড় আকারের কোম্পানিগুলোকে সহায়তা করতে সহজ শর্তে ঋণ ও সরকারি মালিকানার সুযোগের মতো পদক্ষেপেরও ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার৷

তবে অ্যাডিডাসের মতো বহুজাতিক কোম্পানির আচরণে বিরক্তি প্রকাশ করছে জার্মান সরকার। একতরফাভাবে দোকানের ভাড়া দেয়া বন্ধ করে দেয়ার কথা জানিয়েছে অ্যাডিডাস ও এইচঅ্যান্ডএম’র মতো বহুজাতিক কোম্পানি৷ করোনা সঙ্কটের ফলে দোকানগুলো থেকে কোনো আয় হচ্ছে না বলে যুক্তি দেখিয়েছে এ কোম্পানিগুলো৷

তাদের এমন বেপরোয়া পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আবেদন জানিয়েছে জার্মানির অর্থমন্ত্রী ওলাফ শলৎস। তিনি বলেন, কোম্পানিগুলোর এমন পদক্ষেপের ফলে সম্পত্তির মালিকদের ক্ষতি হবে৷ তাই এ পদক্ষেপ না নিয়ে মালিক ও ভাড়াটিয়াদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্র খোঁজার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি৷