ব্রেকিং:
চার বছর পর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গে প্রবাসীর মৃত্যু! লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে করোনা রোগী ৩৭ জন : নতুন করে শিশুসহ আক্রান্ত ৩ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের মারা যাওয়া তরুণের করোনা নেগেটিভ, তিন ভাই বোনের পজেটিভ লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল এডভোকেট নয়ন লক্ষ্মীপুরে ত্রাণের সাথে ঘরও পেল লুজি মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ সুপারের ভিডিও কনফারেন্স লক্ষ্মীপুরে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? লক্ষ্মীপুরে ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ লক্ষ্মীপুরে ২০০০ পরিবার পেল উপহার সামগ্রী
  • শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চীন থেকেই চালু হয় হারেমে একাধিক রক্ষিতা রাখার প্রথা!

আলোকিত লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ৬ এপ্রিল ২০২০  

প্রাচীনকালের রাজা বাদশাদের জীবনধারণ সম্পর্কে জানার আগ্রহ সবার মধ্যেই রয়েছে। বিশেষ করে তাদের হারেম নিয়ে। হারেম একটি আরবি শব্দ যার অর্থ অন্তঃপুর, অন্দরমহল, জেনানামহল, নিষিদ্ধ বা পবিত্র স্থান। হারেম হচ্ছে নারীদের জন্য নির্ধারিত পবিত্র স্থান যেখানে রাজা বা রাজপুত্র ছাড়া অন্য কোনো পুরুষের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ। 

হারেমে অবস্থান করতেন রাজা, সুলতান বা সম্রাটের স্ত্রীরা, উপপত্নীরা, অপ্রাপ্ত বয়স্ক পুত্র, অবিবাহিত কন্যা, মহিলা আত্মীয় এবং দাসীরা। এছাড়া হারেমে রাজা বা রাজপুত্রদের বিনোদনের জন্য থাকত শত শত, হাজার হাজার যুবতী নারীরা। যে রাজা যত বেশি অভিজাত, ক্ষমতাশালী ও অর্থবিত্তের অধিকারী তার হারেমে নারীর সংখ্যাও তত বেশি থাকত।

তখনকার রাজা বাদশাহদের আমলে যুদ্ধবিগ্রহ কম-বেশি লেগেই থাকত। আর যুদ্ধে পরাজিতদের স্ত্রী কন্যাকে দাসী হিসেবে হারেমে নিয়ে আসা হতো। কখনো বিয়ে কিংবা উপঢৌকন হিসেবে কাউকে আনা হতো। আবার কাউকে দাসীরূপে ক্রয় করে আনা হতো। এরা সবাই রাজা বা সম্রাটের উপপত্নী হিসেবেই সারা জীবন কাটিয়ে দিত। তবে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে রাজার স্ত্রী হওয়ার সুযোগও পেত কেউ। 

 

অনেক সময় জোর করে নারীদের ধরে হারেমে আনা হত

অনেক সময় জোর করে নারীদের ধরে হারেমে আনা হত

অনেক প্রাচীন সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় ঐতিহ্যে, শাসক এবং সমাজের অভিজাত সদস্যদের কেবল স্ত্রীই নয় তাদের উপপত্নীও ছিল। উপপত্নী রাখার কারণ হিসেবে কয়েকটি দিক ধরা হয়। এর মধ্যে একটি যৌন আকাঙ্ক্ষা পূরণ, অনেক সন্তানের জন্ম এবং আভিজাত্য প্রকাশই ছিল প্রধান দিক। প্রাচীনকালে সম্রাটরা হাজার হাজার উপপত্নী রেখেছিলেন বলে জানা যায়। 

ধারণা করা হয়, উপপত্নী গ্রহণের অনুশীলন চীন থেকেই শুরু হয়েছিল। তবে তা একচেটিয়া নয়। উপপত্নী গ্রহণের অনুশীলন হাজারো বছর পূর্বে প্রাচীন মেসোপটেমিয়া এবং ব্যাবিলোনিয়ার সভ্যতায়ও দেখা যায়। তখনকার সময় সমাজের অনেক অভিজাত পরিবারের কন্যারাও উপপত্নী হতেন। যাদের মধ্যে অনেকে প্রথমে দাসী হিসেবে ছিলেন। পরবর্তীতে অনেকে আবার স্ত্রীর মর্যাদা পেয়েছিলেন। 

মেসোপটেমিয়ান সংস্কৃতিতে কিছু নারী শহর বা রাজ্যে পুরোহিত হিসেবে কাজ করতেন। তারা সমাজের উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত থাকলেও তাদের কেউ বিয়ে করত না। তখনকার পুরুষরা এই নারী পুরোহিতদের পতিতার চোখে দেখত। তবে ধর্মীয় জায়গা থেকে তাদের যথাযথ সম্মান দিয়েই চলত তারা।

 

উপপত্নীরা

উপপত্নীরা

 উপপত্নী এবং ধর্ম

উপপত্নী সম্পর্কে বিভিন্ন ধর্ম এবং ধর্মগ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে। বাইবেলেও এর সম্পর্কে বলা আছে। ইসরায়েলীরা স্ত্রী ছাড়াও অনেক উপপত্নী রাখত। তারা সামাজিকভাবে স্ত্রী এবং উপপত্নীদের দুইভাবে ভাগ করত। স্ত্রীদের ভরণ-পোষণ দিতে হত। তবে উপপত্নীদের বেলায় সেই বালাই ছিল না। সে সময় সম্রাট সলোমনের (১০১১-৯৩১ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) ৭০০ স্ত্রী ছাড়াও ৩০০ উপপত্নী ছিল বলে জানা যায়। যদিও বর্তমানে খ্রিস্টান ধর্মে উপপত্নী গ্রহণযোগ্য নয়। তবে কিছু বাইবেল গবেষক মনে করেন, সেসময় বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই উপপত্নী রাখার প্রচলন হয়েছিল।   

ইহুদী ধর্মেও উপপত্নীর অনুমতি দেয়া হয়েছিল। উপপত্নীকে হিব্রু ভাষায় বলা হয় পাইলজেশ। যার অর্থ ঘরের একজন বাসিন্দা। ব্যাবিলনীয় তালমুদের মতে, একজন উপপত্নী এবং একজন পূর্ণ স্ত্রীর মধ্যে একটিই পার্থক্য ছিল। আর সেটি হলো বিবাহের চুক্তি। ইহুদি চিন্তাবিদ মাইমোনাইডস বিশ্বাস করেন, উপপত্নীদের রাজাদের জন্য কঠোরভাবে সংরক্ষিত করে রাখা হত। আবার অনেক সাধারণ মানুষের উপপত্নী রাখার অনুমতি দিতেন না রাজারা। এর কারণ হিসেবে মাইমোনাইডসের যুক্তি ছিল যে, সাধারণরা যেন বিবাহের বাইরে কোনো ধরণের যৌন সম্পর্কে জড়াতে না পারে।   

ইসলাম ধর্মেও উপপত্নী গ্রহণের অনুমতি ছিল। তবে তা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে। প্রাচীনকালে ইসলামী শাসনের অধীনে উপপত্নীদের জন্য দুটি উৎসের অনুমতি ছিল। একটি হল যুদ্ধবন্দী হিসাবে গৃহীত অমুসলিম নারী। আর ক্রীতদাস হিসেবে মূল্য দিয়ে ক্রয় করা নারী। পৌত্তলিক বা প্রাক-ইসলামিক যুগে দাসী ক্রয় বিক্রয়ের একটি সামাজিক আইন ছিল। তবে ইসলাম গ্রহণের পর সেই দাস নারীদের মুক্ত করার বা আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের অনুমতি ছিল।

 

তাদের জীবন ছিল কষ্টে ভরা

তাদের জীবন ছিল কষ্টে ভরা

বিশ্বজুড়ে উপপত্নী

প্রাচীন গ্রিসে ক্রীতদাস উপপত্নী রাখার প্রচলন খুব কম ছিল। তবে এথেনিয়ার পুরো ইতিহাস জুড়ে দেখা গেছে। তখন তাদের আইনে উপপত্নীদের সন্তানদের হত্যা করার অনুমতি ছিল। কারণ প্রাচীন গ্রিসে উপপত্নী রাখার অনুমতি থাকলেও তাদের সন্তানদের নাগরিকত্ব দিতে তারা অসম্মত ছিল। রোমান আইনে উপপত্নী রাখার ব্যাপারটি একটু ভিন্ন ছিল। সেসময় একজন রোমান পুরুষ এমন এক নারীকে উপপত্নী হিসেবে গ্রহণ করতে পারবে। যে নারী সামাজিকভাবে বিবাহের যোগ্য না। এমন নারীদেরকেই রোমান পুরুষরা আনুষ্ঠানিকভাবে উপপত্নী করে রাখতে পারত। 

রোমানরা সমকামী সম্পর্কেও বেশ আগ্রহী ছিল। তাই সেসময় রোমান পুরুষরা সমউপপত্নীও রাখতে পারত। তবে বিবাহের ক্ষেত্রে এসব কিছুই তাদের বাধা হত না। রোমানরা নারী পুরুষ সব ধরনের উপপত্নী থাকা সত্ত্বেও অন্য নারীকে বিবাহ করতে পারতেন। প্রাচীন চীনে উপপত্নী রাখার প্রচলন ছিল সবচেয়ে বেশি। চীনের রাজবংশে ২০ হাজারেরও বেশি উপপত্নী ছিল বলে জানা যায়। চীনে উপপত্নীদের সমাজের ভালো অবস্থানেই রাখা হত। চীনের সম্রাট জুয়ানজংয় স্ত্রীর পাশাপাশি উপপত্নীদের নিয়েও বাইরে বের হতেন। 

সম্রাটের উপপত্নীদের মধ্যে কনসোর্ট উক নামে একজন খুবই প্রিয় ছিল। কনসোর্ট তার সৌন্দর্যের জন্য বেশ পরিচিত ছিল। এমনকি সম্রাট তাকে বেশ উঁচু পদেই রেখেছিলেন। ৭২৪ খ্রিস্টাব্দে সম্রাটের স্ত্রীর মৃত্যুর পরে কনসোর্ট উকে প্রাসাদে বসবাসকারী সকল চাকরেরা সম্রাজ্ঞী করেন সম্রাট। তবে অন্যরা এতটা ভাগ্যবান ছিল না। কনসোর্টকে টপকে সম্রাটের কাছাকাছি যেতে পারাটা অন্যদের জন্য ছিল ভাগ্যের ব্যাপার। যদি কোনো উপপত্নী সন্তান ধারণ করতে ব্যর্থ হয় তবে তার জীবনে দুঃখ ছাড়া আর কিছুই জুটত না। তবে সম্রাটের অনুমতি ব্যতীত কেউ গর্ভধারণ করতে পারত না।  

 

হারেমে নাচছে উপপত্নীরা

হারেমে নাচছে উপপত্নীরা

সবসময় যে উপপত্নী নারীদের কিনে আনা হত তা কিন্তু নয়। অনেক সময় জোর করে ধরে এনে নারীদের উপপত্নী করা হত। আবার অনেক দরিদ্র পরিবারের বাবা-মা টাকার জন্য তাদের মেয়েদের উপপত্নী হিসেবে বিক্রি করে দিত। ভালো খাবার আর আশ্রয়ের নিশ্চয়তা ছিল সেখানে। সেই কথা ভেবেও দরিদ্র বাবা-মা তাদের মেয়েদের সম্রাটের কাছে পাঠাতেন। 

বাংলায় উপপত্নীদের প্রচলন

হারেম প্রথা সব আমলেই ছিল এমনকি প্রাচীন আমলেও। তবে মুঘল আমলে ও অটোমান আমলে তা বিকশিত হয়। মুঘল হারেমে পাঁচ হাজার থেকে সাত হাজার নারীর অবস্থান ছিল। সুলতানি আমলেও এর সংখ্যা কম ছিল না। কথিত আছে, বাংলার সুলতান সিকান্দার শাহের হারেমে ১০ হাজার নারী ছিল। রাজা বা সুলতানের মা ছিলেন হারেমের প্রধান। তাকে বলা হতো ভালিদা সুলতান (সুলতানের মা)। তারপরে ছিল বা-খাদিম এফেন্দি। তিনি হলেন সুলতান বা রাজার প্রথম সন্তানের জননী। 

উপপত্নীদের পাশাপাশি রাজাদের হেরেমে খোজাদের বেশ প্রচলন ছিল। চীনের মিং আমলে এক লাখ খোজা ছিল। মিং চীনের একটি রাজবংশ যারা (১৩৬৮-১৬৪৪) ২৭৬ বছর রাজত্ব করেছিল। অটোমান সুলতানদেরও প্রায় ছয় থেকে আট হাজার খোজা (নপুংসক পুরুষ) ছিল বলে ধারণা করে হয়। খোজারা রাজা বা রানীর ব্যক্তিগত কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করত। খোজাদের চাহিদা থাকায় দাস ব্যবসায়ীরা দাসদের, বিশেষ করে শিশু দাসদের খোজা করে বেশি দামে বিক্রি করত।

 

রক্ষিতা থেকে অনেকে আবার ভাগ্যগুণে রানি হতেন

রক্ষিতা থেকে অনেকে আবার ভাগ্যগুণে রানি হতেন

উপপত্নীর দৈনন্দিন জীবন কেমন ছিল? 

উপপত্নীদের জীবন ছিল একপ্রকার বন্দি। তাদের অনেক কিছুতেই ছিল বাধ্যবাধকতা। প্রাসাদের মনোরম পরিবেশে এক প্রকার বন্দি জীবনই কাটাত এই নারীরা। অনেক নারীর মধ্যে একরাত সম্রাটের সঙ্গে কাটানোর সুযোগ পাওয়া যেন ছিল তাদের জন্য ভাগ্যের বিষয়। প্রাসাদের বাইরের বিশ্বের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ ছিল না। প্রাসাদের বাইরে যাওয়ার অনুমতি ছিল না তাদের। একসময় নিষেধাজ্ঞা এতদূর গিয়েছিল যে কোনো উপপত্নী অসুস্থ হলেও কোনো চিকিৎসকের সেখানে প্রবেশের অনুমতি মিলত না। 

অন্য দাসেরা চিকিৎসকের কাছে গিয়ে তাদের অসুস্থতার বর্ননা দিয়ে ওষুধ নিয়ে আসত। তবে কিছু পরিস্থিতি ছিল যেখানে একটি উপপত্নী প্রাসাদ ছেড়ে যেতে পারত। কারণ সে সময় সম্রাট যেমন বিদেশি শাসকের কাছ থেকে উপহার হিসাবে কোনো স্ত্রীকে গ্রহণ করতে পারতেন, তেমনি সম্রাটও তার উপপত্নীদেরকে উপহার হিসেবে বিদেশি শাসকের কাছে উপস্থাপন করতে পারতেন। 

এই বন্দি জীবন থেকে মুক্তি পেতে অনেক নারীই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। কেউ বিষ পান করে কেউবা ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। এদের অনেককে সম্রাটের পাশেই সমাহিত করা হত। আবার কাউকে নির্জন জায়গায়। ১৩৯৯ সালে চীনের সম্রাট হংকউ উপপত্নীদের অবসর নির্ধারন করেন। অবসর গ্রহণকারীদের পরবর্তীতে বিবাহ এবং পরিবার গঠনের অনুমতি দেয়া হয়। অবসরের পর তারা তাদের মতো করে সাধারণ জীবনযাপন করতে পারে। 

 

তারা নিজেদের মতোই সময় কাটাত

তারা নিজেদের মতোই সময় কাটাত

চীনের সর্বশেষ উপপত্নী

চীনের সর্বশেষ সাম্রাজ্যবাদী স্ত্রী বা উপপত্নী ছিলেন লি ইউকিন। তিনি ১৫ বছর বয়স উপপত্নী হিসেবে প্রাসাদে দাসত্ব করেছিলেন। ১৯৪৩ সালে যখন পু ইয়ের সম্রাজ্ঞী ওয়ান রং আফিমে আসক্ত হন তখন তার প্রথম উপপত্নী তাকে তালাক দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় উপপত্নীও রহস্যজনকভাবে মারা যায়। তখন প্রাসাদে সম্রাটের শুভাকাঙ্খীরা তার জন্য নতুন সঙ্গী খুঁজতে শুরু করে। স্থানীয় স্কুলছাত্রীদের ছবি থেকে সম্রাটকে সঙ্গী বাছাই করতে দেয়া হয়। তখনই সম্রাট লি ইউকিনকে দেখে পছন্দ করে। 

এরপর লি ইউকিনকে তার বাড়ি থেকে জোর করেই নিয়ে আসা হয় প্রাসাদে। তার পরিবারকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে, প্রাসাদে লি ইউকিন আচার শিখতে এবং পড়াশোনা করতে যাচ্ছেন। কিশোরী লি ইউকিন বুঝতেও পারেনি তার জন্য সামনে কি অপেক্ষা করছে। লি ইউকিন অনেকবার প্রাসাদ থেকে পালানোর চেষ্টা করেছে। তবে সেখান থেকে পালানো কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না।

১৯৯৯ সালে লি ইউকিন ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে তাকে প্রাসাদ থেকে মুক্তি দেয়া হয়। তবে তাকে পাঠানো হয় পিকিংয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনে কাজ করার জন্য। সম্রাট পু ইয়ে ছিলেন অত্যন্ত বদমেজাজি আর নিষ্ঠুর প্রকৃতির মানুষ। তবে মানুষ হিসেবে জীবনে তিনিও নানা সময় নানা ব্যথায় এবং শোকে কাটিয়েছেন ।

আলোকিত লক্ষ্মীপুর
আলোকিত লক্ষ্মীপুর
//