ব্রেকিং:
চার বছর পর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গে প্রবাসীর মৃত্যু! লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে করোনা রোগী ৩৭ জন : নতুন করে শিশুসহ আক্রান্ত ৩ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের মারা যাওয়া তরুণের করোনা নেগেটিভ, তিন ভাই বোনের পজেটিভ লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল এডভোকেট নয়ন লক্ষ্মীপুরে ত্রাণের সাথে ঘরও পেল লুজি মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ সুপারের ভিডিও কনফারেন্স লক্ষ্মীপুরে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? লক্ষ্মীপুরে ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ লক্ষ্মীপুরে ২০০০ পরিবার পেল উপহার সামগ্রী
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

আলোকিত লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০১৯  

দৈনিক আমার কাগজ পত্রিকায় গত ১৩ ও ১৪ অক্টোবর ২০১৯ খ্রি. তারিখে “ভূমিদস্যূদের সহযোগী হয়ে পরিকল্পনার ছক সাজাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন” এবং “ডিসি অঞ্জন চন্দ্র পাল রক্ষকের পরিবর্তে ভক্ষকের ভূমিকায়” শীর্ষক সংবাদ দুটি সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসন। সংবাদ দু’টিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, দালাল বাজার জমিদার বাড়ীর সম্পত্তির কিছু অংশ অর্পিত সম্পত্তি এবং কিছু অংশ দেবোত্তর সম্পত্তি, যা আত্মসাতের ফন্দিফিকির চলছে। প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, বানোয়াট, বিভ্রান্তিমূলক ও মানহানিকর বলে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসন প্রেরিত প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখ করা হয়।

নেজারত ডেপুটি কালেক্টর স্বাক্ষরিত প্রতিবাদ লিপিতে জানানো হয়, লক্ষ্মীপুর জেলাধীন সদর উপজেলার অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী দালালবাজার জমিদার বাড়ীটি লক্ষ্মীপুর জেলার অন্যতম ঐতিহাসিক নিদর্শন। উক্ত জমিদার বাড়ীর ভূমির মালিকগণ দেশ ত্যাগ করে ভারতে গমন করে আর কখনো ফিরে না আসায় জমিদার বাড়ির সম্পত্তি প্রচলিত আইনানুসারে অর্পিত ও অনিবাসী সম্পত্তি হিসেবে তালিকাভূক্ত করা হয়। একটি ভূমিগ্রাসী চক্র যোগসাজসে জমিদার বাড়ির সম্পত্তির কিছু অংশের ইজারা হাসিল করে। জমিদার বাড়ি ও তহশিল কাছারীর ভূমি লীজ হওয়ার বিষয়টি তদানিন্তন নোয়াখালী জেলার জেলা প্রশাসক মহোদয়ের গোচরীভূত হলে ২১.০১.১৯৬৭ ইং তারিখে লীজ নথি বাতিল করা হয়। উক্ত লীজ নথি বাতিলের পর উক্ত ভূমিগ্রাসী চক্রটি পুনরায় কৌশলে জমিদার বাড়ীর কিছু ভূমির লীজ হাসিল করে শুধুমাত্র ১৩৭৪ বাংলা সনের লীজমানি পরিশোধ করেন। পরবর্তীতে দীর্ঘ ৪৬ বছর ভূমিদস্যু চক্র কোন লীজমানি পরিশোধ করেনি। দীর্ঘ ৪৬ বছর লীজমানি পরিশোধ না করা, জমিদার বাড়ির পুরাকীর্তি ধ্বংস, পুরাতন দালানের লোহার বীম বিক্রয় ও মূল্যবান গাছপালা কর্তনসহ বেআইনিভাবে ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করার কারণে ও লক্ষ্মীপুর জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষার্থে সংশ্লিষ্ট ভি.পি.এস.সি নথি নং- ১৬৫/৬৭-৬৮, ভি.পি.এস.সি নথি নং- ১৭/৬৭-৬৮ বাতিলক্রমে সম্পূর্ণ জমিদার বাড়ির ভূমি সরকারের শাসন সংরক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।এ সংক্রান্তে মহামান্য হাইকোর্টে রীট পিটিশন ৬৪২৩/১৫ এবং রীট পিটিশন ৭১৪০/১৬ দায়ের করলে মহামান্য হাইকোর্ট রীট সমূহ শুনানীঅন্তে গত ২৯/০৮/২০১৯ তারিখে খারিজ করে দেন।

ইতোমধ্যে লক্ষ্মীপুর জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যমন্ডিত জমিদার বাড়ি ও খোয়াসাগর দিঘী বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক সংরক্ষণযোগ্য ভূমি হিসেবে মতামত প্রদান করা হয়। তৎপ্রেক্ষিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশ মোতাবেক ০৪.০১.২০১৮ ইং তারিখে দালাল বাজার জমিদার বাড়ী ১৯৬৮ সালের প্রত্নসম্পদ আইনের ১০ (১) উপ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ‘সংরক্ষিত প্রত্নসম্পদ’ হিসেবে ঘোষণাটি বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে সরকারি উদ্যোগে উক্ত জমিদার বাড়ীর মূল স্থাপত্য অক্ষুন্ন রেখে জংগল পরিষ্কার, ওয়াকওয়ে নির্মাণ করে উক্ত ইতিহাস ও ঐতিহ্যমন্ডিত জমিদারবাড়ীটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

প্রকাশিত সংবাদে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, “আলোচিত সম্পত্তির কিছু অংশ অর্পিত আবার কিছু অংশে দেবোত্তর হিসেবে জেলা প্রশাসক স্বীকার করেন” যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। জেলা প্রশাসক কর্তৃক এরুপ কোন বক্তব্য প্রদান করা হয়নি বলে প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখ করা হয়।

এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দালাল বাজর জমিদার বাড়ি নিয়ে প্রকৃত তথ্য সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করে বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করার জন্য গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।

 

আলোকিত লক্ষ্মীপুর
আলোকিত লক্ষ্মীপুর
//