ব্রেকিং:
চার বছর পর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গে প্রবাসীর মৃত্যু! লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে করোনা রোগী ৩৭ জন : নতুন করে শিশুসহ আক্রান্ত ৩ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের মারা যাওয়া তরুণের করোনা নেগেটিভ, তিন ভাই বোনের পজেটিভ লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল এডভোকেট নয়ন লক্ষ্মীপুরে ত্রাণের সাথে ঘরও পেল লুজি মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ সুপারের ভিডিও কনফারেন্স লক্ষ্মীপুরে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? লক্ষ্মীপুরে ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ লক্ষ্মীপুরে ২০০০ পরিবার পেল উপহার সামগ্রী
  • শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

নিবন্ধিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সয়লাব লক্ষীপুর

আলোকিত লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

লক্ষ্মীপুরের ‘স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ ও ‘কেজি স্কুল’ নামে গড়ে ওঠা বোর্ডের অনুমোদনহীন প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে অন্য স্কুল থেকে। এই সব স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও কেজি স্কুলগুলোর সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে নার্সারি থেকে পঞ্চম ও নবম শ্রেণী পর্যন্ত। অথচ কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড ও জেলা শিক্ষা অফিস কর্তৃপক্ষ বলছে এই ধরনের প্রতিষ্ঠানের কোনো অনুমোদন নেই। তবে স্কুলের ব্যাপারে সরকারি কোনো সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা না থাকায় নেতিবাচক ব্যবস্থা নিতে পারছে না শিক্ষা প্রশাসন কিংবা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ৩৪টি শর্ত পূরণ না হলে বেসরকারি কেজি স্কুলগুলো নিবন্ধন বাতিল গণ্য এবং প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার নির্দেশনা রয়েছে।

বরং অনুমোদনবিহীন এইসব স্কুলে সরকারি বই সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে জেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। নবম শ্রেণী পর্যন্ত স্কুল ছাড়াও শহরে ও গ্রামে কেজি স্কুল রয়েছে শতাধিক। এছাড়া ভর্তি হলে সমাপনী ও জেএসসিতে জিপিএ ৫ পাওয়ার শতভাগ গ্যারান্টি সহ নানা লোভনীয় অফার রাখা হয়েছে শিক্ষার্থীদের সামনে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের মনিটরিংয়ের অভাবে এই ধরনের প্রতিষ্ঠান দিন দিন বেড়েই চলছে। এদিকে অবৈধ প্রতিষ্ঠান টাকার বিনিময়ে নিবন্ধনের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জেলায় প্রায় স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও দেড় শতাধিক কেজি স্কুল কর্তৃপক্ষ সরকারের দেওয়া শর্তগুলো পূরণ করতে না পেরে অবৈধ পন্থায় নিবন্ধের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও লক্ষ্মীপুর জেলার ৫টি উপজেলায় প্রায় ৬শ অনিবন্ধিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ও ২৫৫ টি রেজিষ্টেশনকৃত কেজি স্কুলকে চলতি বছরের জানুয়ারীতে পাঠ্যবই দেওয়া হয়েছে বলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়। রায়পুরে ৬১ টি, রামগঞ্জে ৪০ টি, কমলনগরে ১৭ টি, রামগতিতে ১৬ টি ও সদরে ১২১ টি রেজিষ্ট্রেশনকৃত কেজি স্কুল রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠান গুলোকে এ বছর সরকারী বই সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহরের সরকারি কলেজে আসন সংকট এবং মানসম্পন্ন স্কুল ও কলেজে শিক্ষার্থী ধারণের স্বল্পতাকে পুঁজি করে বাসাবাড়িতে ও জমি ভাড়া নিয়ে কেজি স্কুল এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে এই ব্যবসা চলছে জমজমাট ভাবে। এই ধরনের স্কুল ও কলেজে আবার জন্ম নিয়েছে কোচিং সেন্টারের পথ ধরে। কোচিংয়ে ক্লাস নেওয়া শিক্ষকরাই আবার শিক্ষকতা করছেন এইসব স্কুল ও কলেজে। শহরের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় সাইনবোর্ড ও ব্যানার নিয়ে গড়ে ওঠা এইসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক রয়েছেন একই পরিবারের কয়েকজন। এদিকে পাঠদানের অনুমতি না থাকায় এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করানো হয় অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদেরও। এই ক্ষেত্রে সমাপনী পরীক্ষা দিতে এই স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীদের নিয়ে দ্বারস্ত হয় অনুমতি থাকা এমপিওভুক্ত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের ছাতার নিচে। অনুমতি আছে এমন স্কুলের শিক্ষার্থী হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হয় অনুমতি না থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের।

এই বিষয়ে রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ-পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. নুর আলম জানান, যেখানে-সেখানে নিয়ম বহির্ভূতভাবে কিন্ডার গার্ডেন গড়ে ওঠায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন-দিন কমে যাচ্ছে। সরকারের সুনিদিষ্ট নীতিমালা ও কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকায় এসব অবৈধ প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। এই অবৈধ স্কুল গুলোর বিষয়ে দেখার কেউ নেই ?

সদর উপজেলার ভবাণীগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজ উল্যা বলেন, সরকারী নীতি মালা যদি বাস্তবায়ন হতো তা হলে যে খানে সেখানে স্কুল এ্যান্ড কলেজ বা কেজি স্কুল নামে অবৈধ প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতো না।

রামগতি চর আলেকজান্ডার স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সফিক হোসেন জানান, লক্ষ্মীপুর জেলায় অসংখ্য রেজিষ্ট্রেশন বিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমরা ও চাই নীতিমালা অনুযায়ী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলুক।

রায়পুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. মাইনউদ্দিন জানান, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রায়পুরে অনুমোদনবিহীন রয়েছে প্রায় শতাধিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এর মধ্যে একাডেমিক পাঠদানের অনুমতি আছে প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল অ্যান্ড কলেজ সহ ৩০টি প্রতিষ্ঠানের অনুমতি আছে। অনুমোদনবিহীন এসব কেজি স্কুল ও স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তির ব্যাপারে প্রতি বছর ডিসেম্বরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বার বার সর্তক করে দেওয়া হচ্ছে। অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে এ জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাদের সন্তানদের ভর্তি করাচ্ছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুনছুর আলী চৌধুরী জানান, প্রাথমিক ও গনশিক্ষা মন্ত্রনালয় কর্তৃক অনুমোদনবিহীন কোনো স্কুল অথবা কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না। এসব স্কুলের অনুমোদনের বিষয়টি বিভাগীয় কর্মকর্তা মহোদয় দেখে থাকেন। প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। শিক্ষার হার বাড়াতে সরকার পিইসি পর্যন্ত ওই সব স্কুলের পরীক্ষা অনুমোদন করে এবং বই সরবরাহ করে থাকে। তবে জেএসসি পর্যায়ের শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে এই সব স্কুল ভিন্ন প্রক্রিয়া অবলম্বন করে ঠিক কিন্তু আমরা দেখছি যে সব স্কুল থেকে রেজিষ্ট্রেশন করছে সেই স্কুলে যাচ্ছে। তারা আমাদের কাছ থেকে তথ্য আড়াল করে এইসব কাজ করছে। এ সব স্কুলের ব্যাপারে সরকার ৩৪টি শর্তে নিবন্ধন করার জন্য নির্দেশনা রয়েছে।

আলোকিত লক্ষ্মীপুর
আলোকিত লক্ষ্মীপুর
//