প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক প্রণোদনায় খুশি জামায়াত, বেকায়দায় বিএনপি

রাজনৈতিক কারণে যতই বিরোধিতা করুক, শেষ পর্যন্ত একজন মানবিক প্রধানমন্ত্রীর কাছে নৈতিকভাবে আত্মসমর্পণ করলো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। করোনাভাইরাসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, তাকে স্বাগত জানিয়েছে দলটি। প্রধানমন্ত্রীর এমন মানবিক ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট হয়েছেন জামায়াতের নীতি-নির্ধারকরা।

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার সোমবার (৬ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি ও বিধ্বস্ত উৎপাদনমুখী খাতগুলোকে টিকিয়ে রাখতে প্রধানমন্ত্রী যে আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন আমরা তাকে স্বাগত জানাই।

এদিকে জামায়াতের এমন সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে সংকটে পড়েছে বিএনপি। প্রধানমন্ত্রীর প্যাকেজ ঘোষণার পর সঙ্গে সঙ্গেই স্বভাবসুলভ বিরোধিতা শুরু করে দলটি। তবে এবার তাদের পরম মিত্র জামায়াত এই প্যাকেজকে স্বাগত জানানোয় বেকায়দায় পড়েছে বিএনপি।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর প্যাকেজের বিরোধিতা করায় বিএনপির রাজনৈতিক সততা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আর ২০ দলে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। জোটের অনেক দলই মনে করছে, প্রধানমন্ত্রী একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছেন। কিন্তু বিএনপির অসন্তোষের কারণে এসব দল প্রকাশ্যে মুখ খুলছে না।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সুধীজনরা বলছেন, যেখানে জামায়াতের মতো কট্টর সরকারবিরোধী একটি দলও শেষ পর্যন্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে স্বাগত না জানিয়ে পারলো না, সেখানে বিএনপির এই বিরোধিতা ভিত্তিহীন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও প্রবীণ সাংবাদিক স্বদেশ রায় বলেন, আপনি আমাকে সরকারের এমনটি কাজ দেখান, যেটাতে বিএনপি কখনো সমর্থন দিয়েছে! খালেদা জিয়ার মুক্তিতেও তারা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে কুণ্ঠাবোধ করেছে। তারা তো সরকারের ঘোষিত প্যাকেজের বিরোধিতা করবেই। অথচ অর্থনীতিবিদরা এক সময়োপযোগী পদক্ষেপ বলছেন।