ব্রেকিং:
চার বছর পর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গে প্রবাসীর মৃত্যু! লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে করোনা রোগী ৩৭ জন : নতুন করে শিশুসহ আক্রান্ত ৩ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের মারা যাওয়া তরুণের করোনা নেগেটিভ, তিন ভাই বোনের পজেটিভ লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল এডভোকেট নয়ন লক্ষ্মীপুরে ত্রাণের সাথে ঘরও পেল লুজি মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ সুপারের ভিডিও কনফারেন্স লক্ষ্মীপুরে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? লক্ষ্মীপুরে ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ লক্ষ্মীপুরে ২০০০ পরিবার পেল উপহার সামগ্রী
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের তৈরি রোবট জানাবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস

আলোকিত লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০১৯  

রোবট মিরাই জানাবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস। শুধু তাই নয়, ইমেইল সেন্ড করা, ফেসবুকের নোটিফিকেশন চেকসহ পছন্দের গান বাজাবে। প্রতিদিনের নির্দিষ্ট কাজের কথা, দিন-তারিখ সবই জানাবে। এসব কিছুর জন্য স্মার্টফোন-ল্যাপটপের প্রয়োজন হবে না।

এই রোবটটি উদ্ভাবন করেছে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের একটি দল। সবাই কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।   

তাদের দলনেতা হলেন মোহাম্মদ রিফাত। দলে আরো ছিলেন মাহতাবুর রহমান সবুজ, মাহমুদা আক্তার নিঝুম, মারুফ হোসেন, সাফিক হাসান, শারমিন নাহার তোহফা।

এই রোবট সম্পর্কে জানতে চাইলে দলনেতা হলেন মোহাম্মদ রিফাত বলেন, রোবটটির প্রধান ফিচার হচ্ছে এটি পোর্টেবল এবং অটোমেটেড সব কাজ করতে পারবে। অনেকটা মানুষের আকৃতির রোবট এটি। তাই রোবটটি তৈরি করতে আমাদের শুধু সিএসই সম্পর্কিত জ্ঞানই যথেষ্ট ছিল না। চিকিৎসা বিজ্ঞান, হিউম্যান অ্যানাটমি নিয়েও পড়াশোনা করতে হয়েছে। এ ছাড়া মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়েও ভাবতে হয়েছে। থ্রিডি প্রিন্টার না থাকায় বিকল্প উপায়ে রোবট মিরার স্ট্রাকচার তৈরি করেছি।

দলের সদস্য মাহমুদা আক্তার নিঝুম বলেন, রোবটটি তৈরিতে মাল্টি এক্সিস মোটর ব্যবহার করা হয়েছে। যা রোবটের আঙুল, কনুই, কাঁধ, ঘাড়, মাথাসহ বিভিন্ন অঙ্গ নাড়ানোতে সাহায্য করে। এর ফলে রোবটটিকে ইন্সট্রাকশনের মাধ্যমে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করার নির্দেশ দেয়া যাবে। নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন অঙ্গ নাড়াতে পারবে এই রোবট। ব্যবহারকারীর সঙ্গে হাই ফাইভ অথবা হেন্ডশেক করতে পারবে। বিভিন্ন পোজ দিয়ে সেলফি তোলতে পারবে। কাজ করার সময় কফির কাপটি পর্যন্ত ধরে রাখবে। 

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. লাইলা পারভীন বানু বলেন, ছাত্রদের সাফল্যে গর্ববোধ করছি। তারা যাতে আরো সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। ছাত্রদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে যথাযথ পদক্ষেপ নিবো।

রিফাত আরো বলেন, একদিন ক্লাসের ফাঁকে বন্ধুরা মিলে ইউটিউবে যন্ত্রাংশ তৈরির ভিডিও দেখছিলাম। দেখতে দেখতেই রোবট তৈরির পরিকল্পনা এলো। এক্সট্রা অর্ডিনারি কিছু তৈরির ব্যাপারটা আমার মাঝে অনেক আগে থেকেই ছিলো। ভেবেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষে প্রতিবছর একাডেমিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ব্যতিক্রমধর্মী এবং বড়সড় একটা প্রজেক্টে কাজ করবো। আর অ্যাডভান্সড টেকনোলজি নিয়ে পড়াশুনা করার ব্যাপারে আমার আর্টিফিশ্যাল ইন্টেলিজেন্স, মেশিন লার্নিং, নিউরাল নেটওয়্যার্ক নিয়ে বেশ আগ্রহ ছিলো। 

রিফাত বলেন, উজ্জ্বল সরকার (ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বড় ভাই) ভাইকে দেখে ইলেক্ট্রনিক্স নিয়ে আগ্রহ শুরু হয়। তখন থেকেই রোবট তৈরির ব্যাপারটা মাথায় ছিলো। এরপর আমি দল গঠন করে ২০ জুলাই ২০১৯ তারিখে কাজ শুরু করি। রোবটটি তৈরিতে আমরা বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। সেগুলোর সমাধানও করতে পেরেছি। প্রধানত সমস্যা হয়েছিলো রোবটের বিভিন্ন ইন্টারনাল বিষয় যেমন রোবটের ব্রেইন (অর্থাৎ যেখানে সব ধরনের ডাটা প্রসেসিং হবে), বডি এবং পার্টস বানানোর উপাদান নিয়ে। আমরা অনেক সময় বৃষ্টিতে ভিজে, রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘোরাঘুরি করে আমাদের প্রয়োজনীয় উপাদান সংগ্রহ করেছি। রোবট তৈরির কাজে ব্যবহৃত প্লাস্টিককে তরলে রূপান্তর করতেও বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। যেহেতু আমরা একেবারে শুরু থেকে পুরো সিস্টেমের কাজ করেছি তাই প্রতি পদে পদে আমাদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। কখনো হার্ডওয়্যার কখনো বা সফটওয়্যার নিয়ে। কিন্তু সবার প্রচেষ্টায় সব সমস্যাকে জয় করতে পেরেছি।

আরেক সদস্য মারুফ হোসেন বলেন, রোবটটি জোকস শোনানো, রক পেপার সিজার খেলা ইত্যাদি কাজে সক্ষম। এছাড়া রোবটটি যাদের সঙ্গে কথা বলবে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য মনে রাখতে পারবে এবং ঐ তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তীতে কথোপকথন করতে পারবে।

এই রোবট নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনা জানতে চাইলে দলনেতা আরো বলেন, এগুলোর মধ্যে বাংলা NLP (Natural Language Processing) যুক্ত করা, ফুল টিন সাইজ অ্যান্ড মুভেবল বডি তৈরি করা যা আরো বেশি এক্সিসে নাড়াচাড়া করতে সক্ষম করবে। এছাড়া টেলি প্রেজেন্স ক্যাপাবিলিটি যুক্ত করবো যার মাধ্যমে রোবটের মালিক নিজে শারীরিকভাবে রোবটের কাছে উপস্থিত না থেকেও ভার্চুয়ালি রোবটের মধ্যে উপস্থিত থাকতে পারবে।

এই টিমের ভবিষ্যত পরিকল্পনা হচ্ছে একটা টেক স্টার্টাপ দাড় করানো। এর মাধ্যমে রোবটিক্স, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অটোমেশন, অ্যাডভান্সড টেকনোলজির সাহায্যে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে কাজ করবে।

কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান, অধ্যাপক ড.করম নেওয়াজ বলেন, শিক্ষার্থীদের এই অভাবনীয় সাফল্যে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্ববোধ করছি। এটি একটি অত্যাধুনিক রিসার্চ ওয়ার্ক। বিভাগ থেকে আমরা নিয়মিত ৮ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের গ্রুপ করে বিভিন্ন প্রজেক্টের কাজ দিয়ে থাকি। যা শিক্ষার্থীদের  ভবিষ্যতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

আলোকিত লক্ষ্মীপুর
আলোকিত লক্ষ্মীপুর
//