ব্রেকিং:
চার বছর পর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গে প্রবাসীর মৃত্যু! লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে করোনা রোগী ৩৭ জন : নতুন করে শিশুসহ আক্রান্ত ৩ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের মারা যাওয়া তরুণের করোনা নেগেটিভ, তিন ভাই বোনের পজেটিভ লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল এডভোকেট নয়ন লক্ষ্মীপুরে ত্রাণের সাথে ঘরও পেল লুজি মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ সুপারের ভিডিও কনফারেন্স লক্ষ্মীপুরে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? লক্ষ্মীপুরে ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ লক্ষ্মীপুরে ২০০০ পরিবার পেল উপহার সামগ্রী
  • বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

বাংলাদেশের প্রথম নোট

আলোকিত লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২০  

কথায় কথায় অনেকেই বলেন- ‘টাকা ছাড়া দুনিয়া চলে না’। আসলেই তাই, এ একটা জিনিস না থাকলে রাস্তা-ঘাটে চলাফেরাও যেন মুশকিল। সংস্কৃত ‘টঙ্ক’ শব্দটিই বহু যুগ আগে মুদ্রা অর্থে বাংলার মানুষের কাছে হয়ে গেছে—টাকা। অনেকে তো এর অর্থও জানেন না; রৌপ্যমুদ্রা। দেশে টাকার বেশ কয়েক ধরনের নোট রয়েছে। ২, ৫, দশ, বিশ, পঞ্চাশ, একশ, পাঁচশ ও হাজার টাকার নোট। কিন্তু বাংলাদেশের প্রথম নোট সম্পর্কে জানেন কি?

উপরে যে ছবিটি দেখছেন সেটিই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম কাগুজে নোট। এটি ছিল এক টাকার নোট। ১৯৭২ সালের ৪ মার্চ এ নোট প্রচলনের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম নিজস্ব কাগুজে মুদ্রা চালু হয়। সেই নোট বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত ছিল। যেদিন এ নোট দেশের বাজারে ছাড়া হয় সেদিনই বাংলাদেশি কারেন্সিকে ‘টাকা’ হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়।

এক টাকার ওই নোট ছাপা হয় ইন্ডিয়ান সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেসে। তবে দ্বিতীয় সিরিজে নোট মুদ্রণ করা হয় যুক্তরাজ্য থেকে। যার ডিজাইন অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য ছিলেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, পটুয়া কামরুল হাসান, কে জি মুস্তফা, শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী ও শিক্ষাবিদ নীলিমা ইব্রাহিম।

 

১৯৮২ সালে ছাপানো ১ টাকার নোট

১৯৮২ সালে ছাপানো ১ টাকার নোট

জয়নুল আবেদিন ও কামরুল হাসানের পরামর্শে মুস্​তাফা হাত দিলেন ১ টাকার নোট নকশায়। দুটি নকশা করলেন। প্রতিটি নকশাই পেল দশে-দশ। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ তো প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে যখন নকশাগুলো নিয়ে যাওয়া হলো, তখন জানতে চাইলেন, ‘এগুলা কি বিলেত থেকে নকশা করায়া আনা হইছে?’ যখন বঙ্গবন্ধু শুনলে নকশাকার বাংলাদেশেরই, তখন তিনি মহাখুশি হয়ে গেলেন। বললেন, ‘ওকে আমার কাছে নিয়া আসলা না ক্যান?’

দ্বিতীয় সিরিজে এক টাকার নোট ইস্যু করা হয় ১৯৭৩ সালের ২ মার্চ। ৫ টাকা ১৯৭২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর এবং ১০ ও ১০০ টাকার নোট যথাক্রমে ওই বছরের ২ জুন ও ১ সেপ্টেম্বর ইস্যু করা হয়। তবে বাংলা সিরিয়ালযুক্ত নোট প্রথম চালু হয় ১৯৭৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। সেসময় বাংলা সিরিয়ালযুক্ত ১০ টাকার নোট ছাপা হয়।

 

১৯৭২ সালে ছাপানো ৫ টাকার নোট

১৯৭২ সালে ছাপানো ৫ টাকার নোট

দেশে প্রথমবারের মতো নোট ছাপা হয় ১৯৮৮ সালে টাকশাল স্থাপিত হওয়ার পর। টাকশাল স্থাপিত হওয়ার পর থেকে দেশেই সব ধরনের কাগুজে মুদ্রা ছাপা হচ্ছে। তবে ধাতব মুদ্রা এখনও বিদেশ থেকেই আনা হয়। এর আগে সুইজ্যারল্যান্ড, কোরিয়া, জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়া থেকেও বাংলাদেশের নোট ছাপা হতো।

দেশে দুই টাকার নোট চালু হয় ২৯ ডিসেম্বর ১৯৮৮ সালে। ১৯৭৬ সালের ১ মার্চ ৫০ টাকার নোট চালু করা হয়। আর একই বছর ১৫ ডিসেম্বর বাজারে ছাড়া হয় ৫০০ টাকার নোট। ২০ টাকার নোট প্রথম বাজারে আসে ১৯৭৯ সালের ২০ আগস্ট। ২০০৯ সালের ১৭ জুলাই বাজারে আসে এক হাজার টাকার নোট।

আলোকিত লক্ষ্মীপুর
আলোকিত লক্ষ্মীপুর
//