ব্রেকিং:
চার বছর পর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গে প্রবাসীর মৃত্যু! লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে করোনা রোগী ৩৭ জন : নতুন করে শিশুসহ আক্রান্ত ৩ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের মারা যাওয়া তরুণের করোনা নেগেটিভ, তিন ভাই বোনের পজেটিভ লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল এডভোকেট নয়ন লক্ষ্মীপুরে ত্রাণের সাথে ঘরও পেল লুজি মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ সুপারের ভিডিও কনফারেন্স লক্ষ্মীপুরে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? লক্ষ্মীপুরে ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ লক্ষ্মীপুরে ২০০০ পরিবার পেল উপহার সামগ্রী
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রায়পুরে বিলুপ্তির পথে দেশীয় প্রজাতির মাছ

আলোকিত লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ৪ জানুয়ারি ২০২০  

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার নদী, খাল, বিল ও ডোবা-জলাশয় থেকে দেশীয় প্রজাতির অনেক মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। প্রায় ৫০ থেকে ৬০ প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পথে। 
কৃষিজমিতে অনিয়ন্ত্রিত কীটনাশক ও অবৈধ কারেন্ট জালের ব্যবহার, খাল-বিল-ডোবা ভরাট, উন্মুক্ত জলাশয়ে সেচে ও বাঁধ নির্মাণসহ মাছের বিচরণক্ষেত্রের প্রতিকুল পরিবর্তনের কারণে এটি হচ্ছে।

রায়পুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এক যুগ আগেও এ অঞ্চলে প্রায় ৬০ প্রজাতির দেশীয় মাছ পাওয়া গেলেও বর্তমানে ৫০ প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পথে।

মৎস্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, রায়পুর মেঘনা, ডাকাতিয়া, সরকারি ১২ ফিট খালসহ বেশ কিছু নদী ও ছোট খাল-বিল মাছের প্রধান উৎস। এসব জলাশয়ের মাছ এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় সরবরাহ করা হয়। 

একসময় জলাভূমিতে দেশীয় মাছের প্রাচুর্য ছিল। কিন্তু এখন বেশ কিছু প্রজাতির মাছ তেমন দেখা যায় না। দেশীয় প্রজাতির অনেক মাছ বিলুপ্তির কারণে স্থানীয় জেলেদের দুর্দিন যাচ্ছে।

সূত্র জানায়, বর্ষা মৌসুমে মা মাছগুলো ডিম ছাড়ে। ওই সময় এক শ্রেণির মৎস্য শিকারি এগুলো ধরে ফেলে। এতে দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রজনন হয় না। তা ছাড়া কতিপয় মাছ চাষি বিভিন্ন দিঘি, পুকুর ইত্যাদি জলাশয় ইজারা নিয়ে বা ফসলি জমিতে মাছের ঘের তৈরি করে। এসব জলাশয় ও ঘের ফিল্টারিংয়ের নামে হিলটন নামের ওষুধসহ বিভিন্ন রাসায়নিকদ্রব্য ব্যবহার করে দেশীয় প্রজাতির মাছ ধ্বংস করে ফেলছে। 

এ ছাড়া কৃষিজমি থেকে রাসায়নিক পদার্থ বর্ষার সময় ও বিভিন্ন কারখানার বর্জ্য খালের মাধ্যমে নদী ও জলাশয়ে পড়ে পানি দূষিত করছে। ফলে দেশি প্রজাতির মাছ দিন দিন কমে অনেকটা বিলুপ্তির পথে।

রায়পুর উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্র জানায়, আগে দেশীয় প্রজাতির যেসব মাছ দেখা যেত, তার অনেকটা এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বিলুপ্ত প্রজাতির মাছের মধ্যে রয়েছে নানদিয়া, রিটা, বাচা, ছেনুয়া, গাওড়া, নাপতিনী, বুইতা ইত্যাদি। 

এ ছাড়া বাঘাইড়, গোলসা, পাবদা, আইড়, নামাচান্দা, তারা বাইম, বড় বাইম, কালবাউশ, দাড়কিনাসহ প্রায় ৫০ প্রজাতির মাছ বিপন্ন। 

জলাশয়-ডোবা ভরাট, খালগুলোতে পানি সেচে ফেলা, অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরা, জমিতে কীটনাশকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারসহ মাছের অনুকূল পরিবেশ তৈরি না হওয়ায় অনেক মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

রায়পুর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার বেলায়েত হোসেন বলেন, খাল-বিল, ডোবা-জলাশয়গুলোর শ্রেণি পরিবর্তন করে ইজারা না দেয়া এবং নদী, খাল-বিল, জলাশয়ে অভয়াশ্রম সৃষ্টি করে প্রজননের সুযোগ তৈরি করা প্রয়োজন। 

তবে রায়পুরে দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রজননের সুযোগ তৈরির জন্য ডাকাতিয়া নদীতে দুটি স্থানে অভয়াশ্রম করার প্রস্তাব দিয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তারা চিঠি পাঠিয়েছেন। প্রস্তাব অনুমোদিত হলে কাজ শুরু করবেন।

এই কর্মকর্তা আরো বলেন, গণসচেতনতা তৈরি করে কৃষিজমিতে অনিয়ন্ত্রিত কীটনাশকের ব্যবহার রোধ এবং মৎস্য আইনের যথাযথ প্রয়োগ না করা গেলে বিপন্ন প্রজাতির এসব মাছ টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না।

আলোকিত লক্ষ্মীপুর
আলোকিত লক্ষ্মীপুর
//