ব্রেকিং:
চার বছর পর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গে প্রবাসীর মৃত্যু! লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে করোনা রোগী ৩৭ জন : নতুন করে শিশুসহ আক্রান্ত ৩ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের মারা যাওয়া তরুণের করোনা নেগেটিভ, তিন ভাই বোনের পজেটিভ লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল এডভোকেট নয়ন লক্ষ্মীপুরে ত্রাণের সাথে ঘরও পেল লুজি মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ সুপারের ভিডিও কনফারেন্স লক্ষ্মীপুরে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? লক্ষ্মীপুরে ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ লক্ষ্মীপুরে ২০০০ পরিবার পেল উপহার সামগ্রী
  • বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

রায়ের পরও আসলামের মাথায় আইএস’র পতাকা, মুখে ‘আল্লাহু আকবর’

আলোকিত লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০১৯  

হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা মামলায় গ্রেফতারকৃত আট আসামির মধ্যে ৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার পর বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এজলাসকক্ষ থেকে আসামিদের আদালত চত্বরে থাকা প্রিজনভ্যানে নিয়ে আসা হয়। এ সময় আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ মাথায় আইএস’র কালো পতাকা বেঁধে আল্লাহু আকবর বলে চিৎকার করতে দেখা যায়। 

জানা গেছে, তিনি আদালতের লিফটে ওঠার সময় পুলিশের সামনেই আইএস’র প্রতীক চিহ্নিত কালো পতাকা ক্যাপ পরেন। এজলাসেও তার মাথায় ছিল এ ক্যাপ।

 

 

আসলামের রাজশাহীর পবার নওহাটা মথুরায়। ২০১৭ সালের ২৮ জুলাই গ্রেফতার করা হয় তাকে। হামলাকারীদের প্রশিক্ষকের কাছে পৌঁছে দেয়া এবং অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দেয়া, ঘটনাস্থল রেকি, হামলার পরিকল্পনায় অংশ নিয়ে হত্যাকাণ্ডে প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে আসলামের বিরুদ্ধে।

এদিকে, প্রিজনভ্যানে উঠার আগে উত্তেজিত হয়ে নানা ধরনের বক্তব্য দিতে থাকেন বাকিরা। সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে নানা ধরনের অকথ্য কথা বলতে থাকেন। তবে সবাই ছিলেন হাস্যোজ্জ্বল। ফাঁসির আদেশ শোনার পরও কারো মধ্যে কোনোরকম ভীতি লক্ষ্য করা যায়নি।

 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাতকাটা সোহেল মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাশেদ ইসলাম ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন। মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান।

 

আসামিদের প্রিজনভ্যানে করে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়

আসামিদের প্রিজনভ্যানে করে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়

এর আগে, সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে প্রিজনভ্যানে করে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়।

২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের ওই রেস্তোরাঁয় ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে গলাকেটে ও গুলি চালিয়ে হত্যা করে নব্য জেএমবির জঙ্গিরা। হামলা ঠেকাতে গিয়ে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। পরে কমান্ডো অভিযানে হামলাকারী হিসেবে চিহ্নিত পাঁচ তরুণের সবাই মারা যান। তারা হলেন- রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাজ ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।

এছাড়া এ মামলায় আসামিদের মধ্যে বিভিন্ন ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানে নিহত আটজন হলেন- তামিম আহমেদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ান জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান।

রায়ে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর গোলাম সারোয়ার খান (জাকির)। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন মোহাম্মাদ দেলোয়ার হোসেন। 

নব্য জেএমবি ঢাকার কূটনৈতিক এলাকায় হামলা চালিয়ে নিজেদের সামর্থ্যের জানান দেয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশে শরীয়া আইন প্রতিষ্ঠা করতে এই হামলার ছক কষেছিল বলে পুলিশের তদন্তে উঠে আসে।

 

মামলা থেকে খালাস পান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান

মামলা থেকে খালাস পান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান

দুই বছরের বেশি সময় ধরে তদন্তের পর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই হামলায় জড়িত ২১ জনকে চিহ্নিত করে তাদের মধ্যে জীবিত আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর ৩ ডিসেম্বর মামলার বাদী এসআই রিপন কুমার দাসের জবানবন্দি নেয়ার মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচার শুরু হয়েছিল। ২০০৯ সালের এই আইনে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে হত্যার অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। আলোচিত এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের এই মামলায় আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছেন।

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় নির্মমভাবে নিহত হন ২২ হন, যাদের ১৭ জনই বিদেশি। ১২ ঘণ্টা পর কমান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে সেই সংকটের রক্তাক্ত অবসান ঘটে।

আলোকিত লক্ষ্মীপুর
আলোকিত লক্ষ্মীপুর
//