ব্রেকিং:
চার বছর পর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গে প্রবাসীর মৃত্যু! লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে করোনা রোগী ৩৭ জন : নতুন করে শিশুসহ আক্রান্ত ৩ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের মারা যাওয়া তরুণের করোনা নেগেটিভ, তিন ভাই বোনের পজেটিভ লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল এডভোকেট নয়ন লক্ষ্মীপুরে ত্রাণের সাথে ঘরও পেল লুজি মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ সুপারের ভিডিও কনফারেন্স লক্ষ্মীপুরে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? লক্ষ্মীপুরে ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ লক্ষ্মীপুরে ২০০০ পরিবার পেল উপহার সামগ্রী
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

রোহিঙ্গাদের কারণে ক্ষতি ছয়শ’ কোটি টাকা

আলোকিত লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গার কারণে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ও পরিবেশের যে ক্ষতি হয়েছে, তার জন্য মিয়ানমারের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়ার সুপারিশ এসেছে এক গবেষকের কাছ থেকে।

অস্ট্রেলিয়ার সুইনবার্ন ইউনিভার্সিটির এই গবেষক বলছেন, ২০১৭ সালের অগাস্টে রোহিঙ্গা ঢল শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৭ মাসে বাংলাদেশের সার্বিক ক্ষতির মূল্যমান ৬০০ কোটি টাকার বেশি।

মঙ্গলবার রাজধানীর কাকরাইলের আইডিইবি ভবন মিলনায়তনে ‘রোহিঙ্গা ক্রাইসিস : গ্লোবাল চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়টির জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ড. মহসিন হাবিবের পাশাপাশি ওই বিশ্ববিদ্যালয়টির অধ্যাপক ক্রিস্টিন জাবও আরেকটি সমীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন, যাতে ক্ষতির এই চিত্র ফুটে ওঠে।

অনুষ্ঠানে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেয়া বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশের উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করে এই শরণার্থীদের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে সরকার সচেষ্ট বলে জানান।

২০১৬ সালের আগ পর্যন্ত চার লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ছিল। ২০১৭ সালের অগাস্টে রাখাইনে সেনা অভিযান শুরু হলে নতুন করে দেখা দেয় রোহিঙ্গা স্রোত। কয়েক মাসেই আট লাখ রোহিঙ্গা এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এই ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের শরণার্থী শিবিরে। তাদের বসতি স্থাপনের কারণে পরিবেশ ও স্থানীয়দের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি শুরু থেকেই রয়েছে আলোচনায়।

ড. মোহসিন তার প্রবন্ধে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে এ পর্যন্ত আর্থ সামাজিক, স্থানীয় মানুষের সমস্যা এবং জলবায়ুর ওপর যে বিরূপ প্রভাব ফেলে সার্বিকভাবে যে ক্ষতি করেছে, তা ছয় বিলিয়ন (৬০০ কোটি) ডলারের বেশি। জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ১৭ মাসে বাংলাদেশের এই ক্ষতি হয়েছে।

বিপরীতে রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে রাখাইনে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাবদ মিয়ানমারের বছরে ২০০ কোটি ডলারের মুনাফার একটি হিসাব দেখান এই গবেষক। ড. মোহসিন বলেন, রোহিঙ্গাদের পালন করতে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্বের ২২ দেশ ও সংস্থার কাছ থেকে বাংলাদেশ সাহায্য পেয়েছে মাত্র ৭৩ কোটি ডলারের মতো।

এই পরিস্থিতিতে ‘শিগগিরই’ মিয়ানমারের কাছে বাংলাদেশের এই ক্ষতিপূরণ দাবি করা উচিৎ বলে মত দেন তিনি। শুধু তাই নয়, রোহিঙ্গা গণহত্যার জন্য দায়ীদের বিচারের জন্য মিয়ানমারের উপর চাপ বাড়ানোর আহ্বানও তিনি জানান।

রোহিঙ্গাদের উচ্চ জন্মহারের বিষয়টি তুলে ধরে ড. মোহসিন বলেন, রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বছরে বাড়ছে ১০ ভাগের মতো। তাই যত দ্রুত সম্ভব তাদের নিজ দেশে ফেরাতে হবে। রোহিঙ্গাদের ফেরতে মিয়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াতে বাংলাদেশকে জোর কূটনেতিক তৎপরতা চালানোর পরামর্শ দেন এই গবেষক।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, এমনিতে আমাদের দেশে লোক বেশি, আয় কম। তার উপর এই বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের চাপ আমাদের দেশের পরিস্থিতি আরো জটিল করে তুলেছে। তারা এখন আমাদের টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শরণার্থী রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করেন তিনি। কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, রোহিঙ্গারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়বে। তখন পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, মানবিক দৃষ্টিকোণ ধেকে আশ্রয় দেয়া হলেও এখন রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি বলেন, অন্য দেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেওয়ার ব্যথা আমরা বুঝি। তাই আমরা এই শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে মানবতার কাজ করেছি। এখন ঠাণ্ডা মাথায় এবং ধৈর্য ধরে মিয়ানমারের সাথে আলোচনা করে এই বিপুল শরণার্থীদের তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে শত্রুতা নয়, আমাদের সরকারের এই নীতির মাধ্যমেই রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে পারব বলে আমরা বিশ্বাস করি। মিয়ানমার এবং বাংলাদেশ লাখ বছর ধরে প্রতিবেশী রাষ্ট্র। দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র আলোচনার মাধ্যমে এ সংকট সামাধান করতে হবে।

আলোকিত লক্ষ্মীপুর
আলোকিত লক্ষ্মীপুর
//