ব্রেকিং:
চার বছর পর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গে প্রবাসীর মৃত্যু! লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে করোনা রোগী ৩৭ জন : নতুন করে শিশুসহ আক্রান্ত ৩ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের মারা যাওয়া তরুণের করোনা নেগেটিভ, তিন ভাই বোনের পজেটিভ লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল এডভোকেট নয়ন লক্ষ্মীপুরে ত্রাণের সাথে ঘরও পেল লুজি মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ সুপারের ভিডিও কনফারেন্স লক্ষ্মীপুরে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? লক্ষ্মীপুরে ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ লক্ষ্মীপুরে ২০০০ পরিবার পেল উপহার সামগ্রী
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

লক্ষ্মীপুরকে নতুনভাবে পরিচিত করছে যে ব্যবসা

আলোকিত লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

নারিকেল, সুপারি আর সয়াবিনের পর অর্থকরী ফসলের জন্য লক্ষ্মীপুরকে নতুনভাবে খ্যাতি এনে দিচ্ছে পান। পান চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন চাষিরা। খরচের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন পান চাষে আগ্রহ বাড়ছে এ অঞ্চলের চাষিদের। অনুকূল আবহাওয়া, বৃষ্টি আর সুষম সার ব্যবহারের ফলে এবার পান উৎপাদন হয়েছে ভালো। এখানকার উৎপাদিত পান জেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। এবার উৎপাদিত পান থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আয় হবে বলে আশা জেলা কৃষি বিভাগের।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কৃষিভিত্তিক প্রয়োজনীয় ঋণ সুবিধা ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে লক্ষ্মীপুরে পান চাষে বিপ্লব ঘটবে। পাশাপাশি এ অঞ্চলের পান বিদেশে রফতানি করে জাতীয় অর্থনীতিতেও অবদান রাখা সম্ভব হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বছরজুড়ে পানের আবাদ ও ফলন হলেও আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন ও কার্তিক মাসে পানের বেশি ফলন হয়। লক্ষ্মীপুরে এবার ৫০০ হেক্টর জমিতে পানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ‘পানপল্লি হিসেবে’ খ্যাত রায়পুর উপজেলার ক্যাম্পেরহাট ও হায়দরগঞ্জ এলাকায় পানের আবাদ হয়েছে প্রায় ৪০০ হেক্টর জমিতে।

চাষিরা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে একবার আবাদকৃত একেকটি বরজ (বাগান) থেকে ৯-১০ বছর পর্যন্ত পান তোলা যায়। চলতি বছর অনুকূল আবহাওয়া থাকায় পানের উৎপাদন ভালো হয়েছে। এবার প্রতি হেক্টরে প্রায় ১৪ হাজার বিড়া পান উৎপাদন হয়েছে।

চাষিরা জানান, পান চাষ একটি লাভজনক ফসল। পান চাষাবাদে খরচের তুলনায় লাভ বেশি। এখানকার উৎপাদিত পান সুস্বাদু হওয়ায় তা জেলাবাসীর চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হচ্ছে। পানের বাজারদরও ভালো আছে। এখানে প্রতি বিড়া (৮০ পিস) পান এখন প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকায়।

পানের সবচেয়ে বড় পাইকারি হাট বসে রায়পুর উপজেলার হায়দরগঞ্জ বাজারে। সপ্তাহে দুদিন এ হাটে লাখ লাখ টাকার পান বিকিকিনি হয়। এছাড়াও পানের পাইকারি বাজার রয়েছে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ, মান্দারী, রায়পুরের নতুন বাজার, উদমারা সর্দার স্টেশন ও ক্যাম্পেরহাট বাজার।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক কিশোর কুমার মজুমদার জানান, এবার উৎপাদিত পান থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আয় হবে। পান চাষে কৃষককে কারিগরি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তবে পানচাষিদের সরকারি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় আনা গেলে কৃষক পান চাষে আরও ভালো করতেন বলে জানান এ কর্মকর্তা।

আলোকিত লক্ষ্মীপুর
আলোকিত লক্ষ্মীপুর
//