ব্রেকিং:
চার বছর পর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গে প্রবাসীর মৃত্যু! লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে করোনা রোগী ৩৭ জন : নতুন করে শিশুসহ আক্রান্ত ৩ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের মারা যাওয়া তরুণের করোনা নেগেটিভ, তিন ভাই বোনের পজেটিভ লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল এডভোকেট নয়ন লক্ষ্মীপুরে ত্রাণের সাথে ঘরও পেল লুজি মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ সুপারের ভিডিও কনফারেন্স লক্ষ্মীপুরে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? লক্ষ্মীপুরে ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ লক্ষ্মীপুরে ২০০০ পরিবার পেল উপহার সামগ্রী
  • বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

লক্ষ্মীপুরে তালিকাভুক্ত যুদ্ধাপরাধীর সন্তানরা নির্বাচনে প্রার্থী!

আলোকিত লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০১৯  

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনকল্পে নির্বাচনে ৬ নং ইউনিয়নের নির্বাচনে স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশ বিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকা তথা রাজাকারের এদেশীয় সংগঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা এমন ব্যক্তিদের ছেলেরা বিভিন্ন পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, কমলনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ শফিক উদ্দিন, ডেপুটি কমান্ডার শহীদ উদ্দিন ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি একেএম নুরুল আমিন মাস্টার স্বাক্ষরিত ৬নং পাটারি হাট ইউনিয়নে রাজাকার ও সংগঠকদের তালিকায় মৃত হোসেন আহমদ মাস্টার পিতা-মৃত আব্দুল আজিজ চরফলকনকে তৎসময়ে রাজাকার সংগঠক বলে উল্লেখ করা হয়। মৃত হোসেন আহমদ মাষ্টারের মেঝো ছেলে বিল্লাহ ছায়েদ মাহমুদ গিয়াস ও ৬ নং পাটোয়ারী হাট ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। বিল্লাহ ছায়েদ মাহমুদ গিয়াসের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ৬ নং পাটোয়ারী হাট ইউনিয়ন ও আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি উপজেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক মোশারফ হোসেন সহ ১৪ জনের স্বাক্ষরিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্পাদক বরাবর দরখাস্ত প্রদান করেন। যাতে করে তারা বিল্লাহ ছায়েদ মাহমুদ গিয়াসকে আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন বা থানা কমিটির সদস্য করা না হয়। এই নিয়ে ৬ নং পাটোয়ারী ইউনিয়ন সহ কমলনগর উপজেলার সর্বত্রই চলছে ঘৃণা ও আলোচনা সমালোচনার ঝড়। ৬ নং পাটোয়ারী হাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি সরোয়ার আলম বলেন -মৃত হোসেন মাস্টার একজন তালিকাভুক্ত রাজাকার। যা কমলনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কর্তৃক রাজাকারদের তৎসময়ের আলবদর আলশামসদের সংগঠকদের তালিকায় ৫নং সিরিয়ালে তার নাম রয়েছে। তার ছেলে বিল্লাহ ছায়েদ মাহমুদ গিয়াস ৬নং পাটোয়ারী ইউনিয়নের আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করাটা লজ্জাজনক। আমি প্রয়োজনে রাজাকার ও আলবদর আলশামসদের সংগঠকদের তালিকা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তর নিয়ে যাব। আমি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করি, যেন দলে কোন রাজাকারের সন্তান না ঢুকতে পারে সেদিকে আপনারা সজাগ দৃষ্টি রাখবেন। অত্র ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার মোশারফ হোসেন বলেন মৃত হোসেন আহমেদ মাস্টার একজন রাজাকার সংগঠক। তিনি তৎসময়ে কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার মেজো ছেলে বিল্লাহ ছায়েদ মাহমুদ গিয়াস ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করাটা আমাদের জন্য বিব্রতকর। ব্যবসায়ী ও শিক্ষক আজিজুর রহমান বলেন মৃত হোসেন আহমদ মাস্টার একজন রাজাকার সংগঠক ছিলেন। এটা আমরা শুনেছি। মুক্তিযোদ্ধাদের তৈরি করা রাজাকারের তালিকায় তার নাম আছে । এ বিষয়ে বিল্লাহ ছায়েদ মাহমুদ গিয়াস বলেন- রাজাকারের তালিকা করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ভুয়া ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। মিথ্যা নাম-ধাম দিয়ে রাজাকারের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে বিল্লাহ ছায়েদ মাহমুদ গিয়াস বলেন -আমি এর প্রতিবাদ করব, আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেব। আর মৃত-হোসেন আহমদ মাস্টার যাকে আমার বাবা বলে পরিচয় করিয়ে দেয়া হচ্ছে তা আসলে আমার বাবার নাম এটা নয়। আমি ২০১৩ সাল থেকে পাটারি হাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি, একটা কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এ কে এম নুরুল আমিন রাজু বলেন- আমরা আগে জানতাম না রাজাকারের ছেলে বিল্লাহ ছায়েদ মাহমুদ গিয়াস। তবে যখন জেনেছি আমাদের নির্বাচন মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকা লোকজন বিচার-বিশ্লেষণ করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ কে এম নুরুল আমিন মাস্টার বলেন বিল্লাহ ছায়েদ মাহমুদ গিয়াস ২০১৩ থেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছেন। এতদিন এসবের কিছু শুনিনি তবে যদি এরকম কিছু হয় বাপ-দাদার দোষে ছেলেমেয়েরা দোষী হবে কিবা স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর এসে এর দায় দায়িত্ব নিতে হবে ছেলেসন্তানদের তাহলে আমরা বুঝেশুনে এর একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন -রাজাকার, সংগঠক কিবা দলে অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে উপজেলা সভাপতি ও সম্পাদকদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নিবেন। কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠলে তা তদন্ত করে যথাযথ দায়িত্ব পালন করার জন্য বলা হয়েছে।

আলোকিত লক্ষ্মীপুর
আলোকিত লক্ষ্মীপুর
//