ব্রেকিং:
চার বছর পর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গে প্রবাসীর মৃত্যু! লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে করোনা রোগী ৩৭ জন : নতুন করে শিশুসহ আক্রান্ত ৩ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের মারা যাওয়া তরুণের করোনা নেগেটিভ, তিন ভাই বোনের পজেটিভ লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল এডভোকেট নয়ন লক্ষ্মীপুরে ত্রাণের সাথে ঘরও পেল লুজি মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ সুপারের ভিডিও কনফারেন্স লক্ষ্মীপুরে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? লক্ষ্মীপুরে ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ লক্ষ্মীপুরে ২০০০ পরিবার পেল উপহার সামগ্রী
  • বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

লক্ষ্মীপুরে নিষিদ্ধ গাইড বই কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের

আলোকিত লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

লক্ষ্মীপুরে নিষিদ্ধ গাইড বই কিনতে বাধ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। সরকারিভাবে প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করা হলেও অবৈধ নোট-গাইড বইয়ের রমরমা বাণিজ্য চলছে । লক্ষ্মীপুর জেলা জুড়ে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কিছু অসাধু শিক্ষক এসব অবৈধ গাইড বই বাজার জাত ও শিক্ষার্থীদের কিনতে বাধ্য করার মাধ্যমে বাণিজ্যিক সুবিধা আদায় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষক আর পুস্তক বিক্রেতাদের সিন্ডিকেট চড়া দামে এসব বই বিক্রি করছে বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ক্লাসে বুকলিস্ট দিয়ে নির্দিষ্ট প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের নোট, গাইড, গ্রামার, ব্যাকরণ বই কিনতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করছেন তারা। এতে শিক্ষার্থীদের বাড়তি পড়ার চাপেও পড়তে হচ্ছে। অভিভাবকদের ব্যয় করতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েক বছর ধরে নতুন বছর শুরুর আগেই লক্ষ্মীপুরের কিছু বড় বড় পুস্তক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান জেলার মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন, মাদ্রাসা, প্রাইভেট স্কুল এবং স্থানীয় শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে নির্দিষ্ট কিছু প্রকাশনা শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক বই নির্বাচন করে দেওয়ার লক্ষ্যে মোটা অঙ্কের ঘুষ লেনদেন করে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যার ওপর নির্ভর করে এই ঘুষের পরিমাণ। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানায়, নোট-গাইড ও অন্যান্য বই চড়া দামে কেনার জন্য শিক্ষার্থীদের হাতে একটি করে বইয়ের তালিকা (বুক লিস্ট) ধরিয়ে দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সরাসরি বিদ্যালয়ের নামে ছাপানো ওই তালিকায় ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি শ্রেণির জন্য অন্তত পাঁচ-ছয়টি করে অতিরিক্ত বইয়ের নাম উল্লেখ থাকে।
বই বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান বা লাইব্রেরির নামও উল্লেখ থাকে তালিকায়। তালিকাগুলো লাইব্রেরি বা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান থেকে নিজ খরচে ছাপিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীর অভিভাবক জানান, নিষিদ্ধ নিম্নমানের গাইডকে পাঠ্যবই হিসেবে কিনতে বাধ্য করছে স্কুলের শিক্ষকরা। সরকার এসব গাইড বই দ্রুত জব্দ করা প্রয়োজন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক বলেন, নিষিদ্ধ এসব গাইড বই ছাত্রছাত্রীর হাতে পৌঁছানোর আগেই প্রশাসনের উচিত এ গুলো জব্দ করা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যরা লাইব্রেরির কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিম্নমানের গাইডকে পাঠ্যবই হিসেবে শিক্ষার্থীদের কিনতে বাধ্য করছেন। জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে গাইড বইয়ের স্লীপ।কিনতে বাধ্য করছে গাইড বই। দেশের শিক্ষার উন্নয়নে সরকার নিরলস ভাবে কাজ করছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন হচ্ছে যথাযথ ভাবে। লক্ষ্মীপুর জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো গত উন্নয়ন হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দুর্নীতি অবহেলা ও অবজ্ঞায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সু-শিক্ষায় শিক্ষিত না হয়ে নামে মাত্র সার্টিফিকেট লাভ করছে। ফলে ভবিষ্যৎ প্রজেন্ম অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয় অভিজ্ঞ মহল।

আলোকিত লক্ষ্মীপুর
আলোকিত লক্ষ্মীপুর
//