ব্রেকিং:
চার বছর পর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গে প্রবাসীর মৃত্যু! লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে করোনা রোগী ৩৭ জন : নতুন করে শিশুসহ আক্রান্ত ৩ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের মারা যাওয়া তরুণের করোনা নেগেটিভ, তিন ভাই বোনের পজেটিভ লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল এডভোকেট নয়ন লক্ষ্মীপুরে ত্রাণের সাথে ঘরও পেল লুজি মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ সুপারের ভিডিও কনফারেন্স লক্ষ্মীপুরে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? লক্ষ্মীপুরে ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ লক্ষ্মীপুরে ২০০০ পরিবার পেল উপহার সামগ্রী
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

লক্ষ্মীপুরে ভুয়া এনজিও’র ফাঁদে ৪ শতাধিক গ্রাহক

আলোকিত লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

লক্ষ্মীপুরে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রকল্পের নামে ঋণ দেয়ার কথা বলে চারশতাধিক গ্রাহকের প্রায় কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে ‘পল্লী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সঞ্চয় ও ঋণদান সংস্থা। 

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে তারা স্থানীয় এসব ভুক্তভোগী গ্রাহকদের ১ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা ঋণ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লাখ প্রতি ১০ হাজার টাকা অগ্রিম আদায় করে। এভাবে চারশতাধিক গ্রাহক থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর তারা রাতারাতি উধাও হয়ে যায়। 

রোববার দুপুরে পৌর শহরের মেহের খাঁ সড়কের পাশে (আবাস ভবন) ওই ঋণদান সংস্থার কার্যালয়ে ঋণ নিতে এসে গ্রাহকরা কার্যালয়ে তালা ঝুলতে দেখে। এমনকি সংস্থার সংশ্লিষ্টদেরকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে শেষে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। দীর্ঘ অপেক্ষার এক পর্যায়ে কাউকে না পেয়ে গ্রাহকরা প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। 

সরেজমিনে পৌর শহরের মেহের খাঁ সড়কে পল্লী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে যায়, আবাস নামে একটি ভবনে পল্লী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সাইনবোর্ড ঝুলছে। কিন্তু ভবনটির মেইন গেটে তালা ঝুলছে। এ সময় শতশত গ্রাহক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।  

স্থানীয় ও গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ কার্যালয়টি ভাড়া নিয়ে দু’জন পুরষ ও একজন নারী ‘পল্লী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন’র কর্মকর্তা ও মাঠকর্মী পরিচয়ে বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের বাড়িতে বাড়িতে কেন্দ্র স্থাপন করে উঠান বৈঠক করে।

বৈঠকে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প উৎপাদনে সঞ্চয়-ঋণ দেয়ার নামে লোভনীয় কথা বলে সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউপির ৫০টি কেন্দ্রের আওতায় ২০০ জন গ্রাহক, দত্তপাড়া ইউপির ২০টি কেন্দ্রের ৫৫জন, বটতলী গ্রামে ৯টি কেন্দ্রের আওতায় ৬৫জন, আনন্দপুর গ্রামের ১০জন, শহীদপুর গ্রামের ২০জন ও রায়পুরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার চারশতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে ১০-২০ হাজার টাকা হারে প্রায় ১ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় তারা।

এ জন্য গ্রাহকদের সঞ্চয় পাসবইও দেয়া হয়। গ্রাহকদের বিশ্বাস অর্জনের জন্য পৌর শহরের মেহের খাঁ সড়কে (আবাস) একটি ভবন অফিস হিসেবে ভাড়া নেয় প্রতারকচক্র। নিয়মানুযায়ী রোববার সকালে গ্রহকদের ঋণ দেয়ার কথা। কিন্তু তার আগেই গ্রাহকদের সঞ্চয়ের ১ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে পল্লী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন নামে ভুয়া সঞ্চয় ও ঋণ দান সংস্থার লোকজন।

প্রতারণার শিকার উত্তর জয়পুর ইউপির নুরুল হুদা, সিপন-১, সিপন-২ ও লোকমান জানান, ১ লাখ টাকা ঋণ দেয়ার কথা বলে পল্লী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা রুবেল, কোষাধ্যক্ষ জামাল সিকদার ও মাঠকর্মী একজন নারী তাদের কাছ থেকে ১০ হাজার ১৫০ টাকা হারে জামানত নেন। যা ৫ হাজার টাকা হারে ৫ মাসে ২২ কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। তাদের নিয়ম অনুযায়ী আজ ঋণের টাকা দেয়ার কথা। কিন্তু টাকা নিতে এসে দেখেন কার্যালয়ে তালা ঝুলছে। পরে কর্মকর্তা রুবেলের ০১৪০৮১৫১৬৪২ নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কোনো লাভ হয়নি। 

তবে চলতি মাসের শুরুতে অফিস ভাড়ার দেয়ার কথা অস্বীকার করেন ভবনটির মালিক মো. ফারুক।

তিনি জানান, পল্লী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন একটি এনজিও সংস্থা দুইদিন আগে অফিসের জন্য ১০ হাজার টাকা ভাড়া দিয়েছেন। সোমবার তাদের সঙ্গে ভাড়ার চুক্তি হওয়ার কথা। গ্রাহকদের কাছে জানতে পারেন তার আগেই তারা উধাও হয়ে গেছে।

প্রতারণার শিকার গ্রাহকরা

প্রতারণার শিকার গ্রাহকরা

   

বটতলী গ্রামের আবদুর রহমান জানান, পল্লী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের লোকজন বটতলী কোটাবাড়ি এলাকার তিনিসহ ৪টি পরিবারকে ঋণ দেয়ার কথা বলে ৪০ হাজার টাকা নিয়েছে। কিন্তু এখন ঋণের টাকা নিতে এসে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।          

জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নুরুল ইসলাম পাটোয়ারী বলেন, পল্লী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন নামে আমাদের তালিকাভুক্ত কোনো এনজিও বা ঋণদান সংস্থা নেই। তবে গ্রাহকরা অভিযোগ করলে এসব প্রতারকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সমাজসেবার অনুমোদনকৃত কোনো সংস্থা ঋণ দিতে পারবে না। 

আলোকিত লক্ষ্মীপুর
আলোকিত লক্ষ্মীপুর
//