ব্রেকিং:
চার বছর পর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গে প্রবাসীর মৃত্যু! লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে করোনা রোগী ৩৭ জন : নতুন করে শিশুসহ আক্রান্ত ৩ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের মারা যাওয়া তরুণের করোনা নেগেটিভ, তিন ভাই বোনের পজেটিভ লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল এডভোকেট নয়ন লক্ষ্মীপুরে ত্রাণের সাথে ঘরও পেল লুজি মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ সুপারের ভিডিও কনফারেন্স লক্ষ্মীপুরে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? লক্ষ্মীপুরে ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ লক্ষ্মীপুরে ২০০০ পরিবার পেল উপহার সামগ্রী
  • শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সন্তানের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে বাবা-মার করণীয়

আলোকিত লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

প্রত্যেক বাবা-মা তার সন্তানদের আত্মবিশ্বাসী দেখতে ভালোবাসেন। কারণ জীবনের সকল পদক্ষেপ সঠিক ভাবে নিতে আত্মবিশ্বাস দারুণ সহায়তা করে। আত্মবিশ্বাসী সন্তান জীবনের অনেক প্রতিকূলতা খুব সহজেই মোকাবেলা করতে পারে।

তবে সন্তানের আত্মবিশ্বাসের বুনিয়াদ শুরু হয় নিজের ঘর থেকেই। এক্ষেত্রে বাবা-মার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। তাই কিভাবে সন্তানের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো যায় সেই দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সন্তানের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে বাবা-মার করণীয়-

সন্তানের প্রতি সব সময় পজিটিভ থাকা
নিজের সন্তানের প্রতি সব সময় তার বাব-মাকে পজিটিভ থাকতে হবে। অন্যের সন্তানের সঙ্গে নিজের সন্তানের তুলনা করা যাবে না (সন্তানের সামনে তো নয়ই)। সন্তানকে সব সময় তার নিজের মত করে গড়ে তুলতে সাহায্য করতে হবে। এতে করে সন্তানরা নিজেদের প্রতি নিজেরা আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে পারবে অনায়াসে। সন্তানর প্রতি বাবা- মার আস্থা সন্তানকে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তোলে। তাই বাবা- মাকে নিজের সন্তানের প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখতে হবে।

বাবা-মার সঙ্গে সন্তানের বন্ধন তৈরি
বাবা-মার সঙ্গে সন্তানের বন্ধন বর্তমান সময়ে একটি বেশ আলোচিত একটি বিষয়। বাবা-মা হল সন্তানের প্রথম ও শেষ আশ্রয়স্থল। বাবা-মা সন্তানের বেড়ে ওঠার একমাত্র অবলম্বন। বাবা-মার সঙ্গে সুসম্পর্ক প্রতিটি শিশুর মানসিক বিকাশে অন্যতম আলেখ্য যা একটি বাচ্চাকে নিজের উপর আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে খুব সাহায্য করে থাকে। তাই প্রতিটি বাবা-মার ই উচিত ছোটবেলা থেকেই সন্তানদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক গড়ে তোলা। বাচ্চার সব প্রয়োজন সঠিক ভাবে পূরণ করা।

বাবা-মার আত্মবিশ্বাস বাচ্চার মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া
সন্তানকে আত্মবিশাসী হিসেবে গড়ে তুলতে হলে বাবা-মার নিজেদের আগে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। নিজের সকল কাজে এই আত্মবিশ্বাস ছড়িয়ে দিতে হবে যাতে করে বাচ্চারা তাদের বাবা-মার আত্মবিশ্বাস দেখে নিজে উৎসাহী হতে পারে। বাবা-মার নিজেদের ছোটবেলা থেকে স্মৃতি রোমন্থন করতে হবে। নিজেরা ছোটবেলায় কি কি সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে তার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেই চেষ্টা করতে হবে।

সন্তানদের সঙ্গে খেলাধূলা করা
সন্তানের সঙ্গে বাবা-মার হাজার ব্যস্ততার মাঝেও গুণগত সময় ব্যয় করতে হবে। সন্তানের সঙ্গে সময় ব্যয় না করলে সন্তানরা বাবা-মার কাছ থেকে দূরে সরে যাবে যা তাদের ভবিষ্যৎ এর জন্য খুব খারাপ হতে পারে। তাদের সঙ্গে সময় পেলেই খেলাধূলো করতে হবে। খেলাধূলার মাধ্যমে সন্তানদের অনেক কাছাকাছি আসা যায় যা তাদের সঙ্গে বাবা-মার দূরত্ব অনেক কমিয়ে ফেলে।

সন্তানের অন্তর্নিহিত গুনাবলী খুজে বের করা
বাবা-মার সন্তানদের উদ্ভাবনী শক্তি বিকাশে সাহায্য করতে হবে। তাদের কোনো প্রতিভা থাকলে তা বাবা- মা ই প্রথম সনাক্ত করতে পারে। সেই প্রতিভাকে লালন পালন করতে বাবা-মা সব চাইতে বেশি সাহায্য করে থাকে। বাবা-মার উৎসাহ দেখে ছেলে মেয়েরা নিজেদের প্রতি আস্থাশীল হয় যা সন্তা্নের আত্ননির্ভরশীলতায় যথেষ্ট সহায়তা করে থাকে।

সন্তানের ভাল লাগা, মন্দ লাগার বিবেচনা করা
সন্তানের উপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেয়া যাবে না। সন্তানের ভাল লাগা, মন্দ লাগার মূল্য দিতে হবে। সন্তান কি চায়, কিসে তারা অধিক আগ্রহ খুঁজে পায় তার ব্যবস্থা বাবা মায়েরই করতে হবে। বাবা-মায়ের নিজেদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, চাওয়া-পাওয়া সন্তানের মধ্যে প্রতিফলিত করার চেষ্টা করা যাবে না। সন্তানের নিজের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর বাবা- মার আস্থা রাখতে হবে।

সন্তানের সাফল্য ও বিফলতায় সব সময় পাশে থাকা
সন্তান ছোট থেকে বড় হওয়ার সময়টাতে অনেক বাধা বিপত্তির মধ্যে বেড়ে উঠতে হয়। এই পথ চলায় সবক্ষেত্রে তারা সফল হবে তেমন ভাবার কোনো কারন নেই। তার ছোট থেকে বড় হওয়ার এই পথ চলায় বাবা-মাকে সর্বদা তাদের সঙ্গে থাকতে হবে। সাফল্যে যেমন বাবা-মা খুশিতে আত্মহারা হবে তেমনি কোনো কাজে বিফল হলেও তাকে সান্ত্বনা দিতে হবে। তার থেকে মুখ সরিয়ে নিলে চলবে না। এরূপ ব্যবহারে সন্তানরা নিজেদের মাঝে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে এবং ভবিষ্যতের পথ চলায় অনেক বেশি আত্মপ্রত্যয়ী হবে।

সন্তানের পড়াশোনায় সাহায্য করা
পড়াশোনার সময় সন্তানরা সব সময় তার বাবা-মাকে কাছে পেতে চায়। বাবা-মা শিশুদের সঙ্গে স্কুলে যেতে পারে। তাদের পড়াশোনার খবরাখবর নিতে পারে। তার সঙ্গে স্যারদের ব্যবহার, তার প্রতি স্যারদের অভিব্যক্তি ইত্যাদি খোঁজ খবর নিতে পারে। সন্তানের পড়াশোনায় শুধু উপদেশ না দিয়ে পাশে বসে সাহায্য করতে পারে। এসব করলে সন্তান আর একা বোধ করবে না। ফলে নিজের আত্মনির্ভরশীলতাও বৃদ্ধি পাবে।

সন্তানের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলা
সন্তানের সঙ্গে সব বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলতে হবে। তারা যাতে বাবা-মার কাছে কোনো কিছু গোপন করার চেষ্টা না করে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। তারা যদি বাবা-মাকে বন্ধু ভাবতে না পারে তাহলে ভবিষ্যতে জীবনের অনেক কথা গোপন করার চেষ্টা করবে যা তাদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে এবং খারাপ সঙ্গ পেতে সাহায্য করবে। তাই বাবা-মাকে সন্তানের প্রতি সব সময় খোলাখুলি আলোচনা করতে হবে। কোনকিছুতে অহেতুক রাগ বা মন-মালিন্য ঘটানো যাবে না যা সন্তানের আত্মনির্ভরশীলতার ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে।

আলোকিত লক্ষ্মীপুর
আলোকিত লক্ষ্মীপুর
//