সফল খামারী বিল্লাল এখন বহুতল বাড়ীর মালিক

জেলার রামগঞ্জের ব্রম্মপাড়া গ্রামের সফল খামারী খন্দকার বিল্লাল হোসেন স্থানীয় যুবসমাজের নিকট আইডলে পরিনত হয়েছেন। নিজের শ্রম-ঘাম-মেধা খাটিয়ে পরিবারের সদস্যদের সহযোগীতায় পৈত্রিক সম্পত্তির সঠিক ব্যবহারের মধ্য দিয়ে বিল্লাল স্বল্প সময়ে উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের আলোকিত ব্যক্তিত্বে পরিনত হয়েছেন। যুব সমাজ বর্তমানে তার সফলতায় নিজেকে তৈরি করতেও প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সরজমিনে পরিদর্শনকালে ব্রম্মপাড়া গ্রামের খন্দকার বাড়ীর মো: ছেফায়েত উল্যা (৬৭), মো: আনোয়ার উল্যা (৬৩), আব্দুর রব (৭০) জানান, তাদের ৬৫-৭০ জনের পরিবারের একজন সদস্য হলেন খন্দকার বিল্লাল হোসেন।
গর্ভকালীন অবস্থায় মায়ের কথা রাখতে গিয়ে মো: আব্দুল লতিফ খন্দকার বিল্লালকে তার নিঃসন্তান ভাই মো: ইছমাইল হোসেন খন্দকারকে দত্তক প্রদান করেন। সরকারী চাকুরে ইসমাইল বিগত ৯ বছর পূর্বে মৃত্যু বরন করেন। এতে বিল্লাল পালিত বাবার রেখে যাওয়া দেড় একর সম্পত্তি এবং পিতার অবসরের সমুদয় টাকা, পোষ্ট অফিসে রাখা টাকাসহ পালিত বাবার কল্যান তহবিল থেকে পাওয়া অর্থ-কড়ির মালিক হয়ে ঐ সম্পদ এবং অর্থ কাজে লাগিয়ে একটি সিএনজিসহ ৪ টি গরু নিয়ে একটি খামার গড়ে তোলেন। এসময় বিল্লাল তার এ প্রচেষ্টার সাথে পরিবারের সদস্যদের অর্ন্তভূক্ত করেন। ফলে সহজেই তার সফলতা আসতে থাকে।
বিল্লাল হোসেন জানান, বর্তমানে তার সিএনজি গাড়ীর সংখ্যা ৫টি, গরুর খামার ২টি এবং মাছের খামার ৫টি। এছাড়াও বিল্লাল যৌথভাবে রড-সিমেন্ট, মুদি মালের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। একই সাথে বিল্লাল স্থানীয় সিটি ব্যাংক থেকে ৬০ লাখ টাকা লোন নিয়ে এবং আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে সহযোগীতা নিয়ে ২০১৪ইং সনে হাজীগঞ্জের মুকিমাবাদে ৫ শতক সম্পত্তি ক্রয় করে বহুতল ফ্ল্যাট-বাড়ী নির্মান করেন। যার মধ্যে ২টি ফ্ল্যাট বিক্রয়করে ধার-দেনা পরিশোধ করেছেন তিনি।
রামগঞ্জের উত্তরাঞ্চলের একজন সফল খামারী ও ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন বর্তমানে যুবসমাজের কাছে একটি আলোচিত নাম। এত কিছুর পাশাপাশি বিল্লাল একজন চাকুরীজীবীও। মায়ের জন্য বাবার পেনশন তুলছেন প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা হারে। সব মিলিয়ে বিল্লাল একজন সফল সুখি-মানুষ। আত্মীয়-স্বজনসহ প্রতিবেশীদের সুখে-দুখে পাশে গিয়ে দাড়াচ্ছেন। বিল্লালের মতে-পারিবারিক সদস্যদের সহযোগীতা এবং সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহারের মাধ্যমেই এ সফলতার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পেরেছেন তিনি।