‘সবার প্রেরণা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, আমাদের সবার প্রেরণা ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা হিসেবে মানি। তাই উনার দলের লোকজনের কোনো ত্রুটি থাকলে আমরা সমালোচনা করতে পারি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সমালোচনা করতে পারি না। আমরা বঙ্গবন্ধুর বিষয়ে কোনো সমালোচনা করবো না।

সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কচি-কাঁচার মেলা মিলনায়তনে জাতীয় কৃষক পার্টির সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, জেলা পর্যায়ে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সহযোগিতা করা হয় না, প্রায় সময়ে অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন থেকে অভিযোগ ওঠে। জেলার নেতারা মনে করে, এরা সেন্ট্রাল থেকে নিয়ন্ত্রিত হবে। সংগঠিত হলে আমার পক্ষে থাকবে কি থাকবে না। এ কারণে তারা আগ্রহ দেখান না। মনে রাখতে হবে হাত রুগ্ন হলে আমি ভালোভাবে কাজ করতে পারবো না। আমরা নির্দেশনা দেবো, জেলাতে কোনো সমস্যা হলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, কৃষক পার্টি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করতে পারে। কৃষকরা যেমন ধান বুনে, পরে গাছ তৈরি হয়। তেমনি কৃষকরা যদি কর্মী তৈরি করতে পারে, তাহলে জাতীয় পার্টি শক্তিশালী হবে।

তিনি বলেন, সারা পৃথিবী যদি আমাদের বর্জন করে। কিংবা আমরা যদি পৃথিবীকে বর্জন করি, তাহলে খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে পারবো। কার কারণে, কৃষকদের কারণে। তাদের কারণে আমরা স্বাবলম্বী। কিন্তু সেই কৃষকরা সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। অনেক সময় ভর্তুকি দেয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু প্রকৃত কৃষকরা এই সুবিধা পান না। খুব বেশি হলে দুই থেকে চার ভাগ কৃষক এই সুবিধা পায়। মধ্যস্বত্বভোগীরা এই সুবিধা লুটেপুটে খায়।

কাদের বলেন, কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পায় না। এই যে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। কৃষকরা কি এর থেকে লাভবান হয়েছে? হয়নি। লাভবান হলে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ১০ জন কৃষক হয়েছে। 

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, বঙ্গবন্ধু বাকশাল করেছিলেন। উনি কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে, সব দলের লোকজনকে নিয়ে দেশটাকে গড়তে চেয়েছিলেন। উদ্দেশ্য কিন্তু খারাপ ছিল না। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেখান থেকে কিন্তু সরে যায়। বিএনপি ক্ষমতায় এসে ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছিলো।

সম্মেলন শেষে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আগামী দু’বছরের জন্য জাতীয় কৃষক পার্টির জন্য সাহিদুর রহমান টেপা-কে সভাপতি ও এ বি এম লিয়াকত হোসেন চাকলাদারকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন। 

সম্মেলনে কৃষিবীদ ইসহাক জাকারিয়া ভূইয়া জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। 

জাতীয় কৃষক পার্টির সভাপতি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপার সভাপতিত্বে ও দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এ বি এম লিয়াকত হোসেন চাকলাদারের সঞ্চালনায় সভায় প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা (এমপি), এস এম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, অ্যাডভোকেট হাজি সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু ও জেলা পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন।