ব্রেকিং:
চার বছর পর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গে প্রবাসীর মৃত্যু! লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে করোনা রোগী ৩৭ জন : নতুন করে শিশুসহ আক্রান্ত ৩ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের মারা যাওয়া তরুণের করোনা নেগেটিভ, তিন ভাই বোনের পজেটিভ লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল এডভোকেট নয়ন লক্ষ্মীপুরে ত্রাণের সাথে ঘরও পেল লুজি মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ সুপারের ভিডিও কনফারেন্স লক্ষ্মীপুরে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? লক্ষ্মীপুরে ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ লক্ষ্মীপুরে ২০০০ পরিবার পেল উপহার সামগ্রী
  • সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শাবিপ্রবি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিনের অনিয়ম ও দুর্নীতির শ্বেতপত্র

আলোকিত লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির ফিরিস্তি সম্বলিত একটি শ্বেতপত্র প্রকাশিত হয়েছে।  নাম-ঠিকানা বিহীন শ্বেতপত্রটি ডাকযোগে পৌঁছানো হয়।

শ্বেতপত্রে উপাচার্যের আর্থিক দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, বিএনপি-জামায়াত তোষণ, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা, মেধাবী ছাত্রলীগকে ক্যাম্পাস থেকে বের করাসহ মোট ৫৩টি পয়েন্টে অভিযোগ আনা হয়েছে।

তবে অভিযোগকারীরা নিজেদের নাম প্রকাশ না করলেও ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার শাবির শিক্ষক ও কর্মকর্তারা’ নামে প্রচার করেছেন। ২৪ পৃষ্ঠার শ্বেতপত্রটি প্রথম কিস্তি হিসেবে প্রকাশ করে। দ্বিতীয় কিস্তি প্রকাশিত হবে বলেও দাবি করা হয়।

শ্বেতপত্রে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে উপাচার্য শাবির গ্র্যাজুয়েটের বিরুদ্ধে অবস্থান ও নিয়োগ বোর্ডে বসে আবেদনকারীদের নানাভাবে নাজেহাল ও অপমান করেন বলে দাবি করা হয়।

এছাড়া যোগ্যতা সম্পন্ন ও মেধাবীদের বাদ দিয়ে নিজ জেলা কুমিল্লার প্রার্থী, নিজের আত্মীয়স্বজন, নিজ অনুগত শিক্ষকদের সন্তানদের প্রাধান্য দিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ করা হয়।

শাবির বিভিন্ন বিভাগের প্রথম শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হওয়া শিক্ষার্থীকে বাদ দিয়ে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯তম, ৫০তম, ৬৩তম এমনকি ৭১তম শিক্ষার্থীকে শিক্ষক হিসেবে নেয়া হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট কারো নাম বা তথ্য এতে উল্লেখ করা হয়নি।

পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. হাসান জাকিরুল ইসলাম তার পছন্দের ছাত্রীর থিসিস পেপারে মার্ক বাড়িয়ে দেয়ার জন্য বিভাগের সবচেয়ে সিনিয়র শিক্ষককে চাপ প্রয়োগ করেন। বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে সত্য প্রমাণিত হলেও উল্টো অভিযোগকারীকে শাস্তি দেন।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনার পরে সত্য প্রমাণিত হলেও ওই ছাত্রীকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির জন্যে উচ্চতর ডিগ্রি, অভিজ্ঞতা ও অন্যান্য যোগ্যতাসহ কমপক্ষে আটটি গবেষণা প্রবন্ধ থাকা প্রয়োজন। কিন্তু মাত্র ছয়টি প্রকাশনা নিয়ে বাংলা বিভাগের একজন মহিলা শিক্ষক অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান।

সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, উপাচার্যের বাসভবনে রিনোভেট, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের স্বাস্থ্য বীমা চালুর মাধ্যমে চরম আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদকের মাধ্যমে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার আহবান জানানো হয়।

উপাচার্যকে ‘ভিজিটিং ভিসি’ আখ্যা দিয়ে বলা হয়, সপ্তাহে তিন দিনের বেশি ক্যাম্পাসে থাকেন না তিনি। বারবার বিমানে ঢাকায় যাওয়া-আসা করার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকা অপচয় করেন তিনি।

অন্যদিকে একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট বৈঠকে পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়ার অভিযোগ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে বিভিন্নভাবে আনা হয়েছে। গত দুই বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত কোনো দৃশ্যমান উন্নতি হয়নি এবং সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আমিনুল হক ভূঁইয়ার সময় বরাদ্দ করা ২০০ কোটি টাকার অর্থ ব্যয় করতে বর্তমান উপাচার্য অক্ষম বলে শ্বেতপত্রে উল্লেখ করা হয়।

এছাড়া প্রমোশন ও আপগ্রেডেশনের ক্ষেত্রে অনিয়ম, নিয়মবহির্ভূত কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশ পরিবর্তন, জোবাইক চালুর নামে প্রতারণা, আইসিভিসি সম্মেলনের নামে অর্থ অপচয়সহ বিভিন্ন বিষয় শ্বেতপত্রে প্রকাশিত হয়েছে।

এদিকে শ্বেতপত্রটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রসহ সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, কাপুরুষরাই নাম প্রকাশ না করে অভিযোগ তোলে। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সেরা শিক্ষক নিয়োগ দিতে চেষ্টা করেছি। দুর্নীতি কখনো আমাকে স্পর্শ করেনি এবং স্পর্শ করবেও না বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি।

আলোকিত লক্ষ্মীপুর
আলোকিত লক্ষ্মীপুর
//