ব্রেকিং:
চার বছর পর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গে প্রবাসীর মৃত্যু! লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে করোনা রোগী ৩৭ জন : নতুন করে শিশুসহ আক্রান্ত ৩ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের মারা যাওয়া তরুণের করোনা নেগেটিভ, তিন ভাই বোনের পজেটিভ লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল এডভোকেট নয়ন লক্ষ্মীপুরে ত্রাণের সাথে ঘরও পেল লুজি মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ সুপারের ভিডিও কনফারেন্স লক্ষ্মীপুরে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? লক্ষ্মীপুরে ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ লক্ষ্মীপুরে ২০০০ পরিবার পেল উপহার সামগ্রী
  • মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩১ ১৪৩১

  • || ০৫ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মা ইলিশ রক্ষায় অভাবনীয় সফলতা

আলোকিত লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০১৯  

মা ইলিশ রক্ষায় সরকারের উদ্যোগে কোনো ঘাটতি নেই। আর সরকারের সকল উদ্যোগকে কার্যকর ও বাস্তবায়ন করতে প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও আন্তরিকতার কোনো কমতি নেই। অসাধু জেলেদের রুখতে না পেরে সর্বশেষ চলমান অভিযানের সাথে যুক্ত হয়েছে কোস্টগার্ডের বড় টহল দল এবং পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প। এই টহল দলের তৎপরতা এবং পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্পের কারণে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান এখন অনেকটা সফল বলা যায়। এখন নদীতে তেমন একটা জেলে নৌকা দেখা যাচ্ছে না। এর মধ্যেও যে সব অসাধু জেলে দুঃসাহস দেখিয়ে নদীতে জাল ও নৌকা নিয়ে নামে, তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে যায়।

৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশের প্রজনন মৌসুমে পদ্মা-মেঘনায় মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকে। এ সময়ে নদীতে জাল-নৌকা নিয়ে নামার উপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা থাকে। চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলার এই নৌ-সীমানা হচ্ছে মতলব উত্তরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার চরআলেকজান্ডার পর্যন্ত এক শত কিলোমিটার নদীসীমানা। এই বিশাল নদী অববাহিকা সুরক্ষিত রাখতে সীমিত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে খুবই হিমশিম খেতে হয়।

এদিকে এ সময়টাতে মা ইলিশ ডিম ছাড়ার জন্যে ঝাঁকে ঝাঁকে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার মিঠা পানিতে চলে আসে। তখন নদীতে মনে হয় যেনো ইলিশের স্রোত প্রবাহিত হতে থাকে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আসাদুল বাকীর ভাষ্য মতে, নদীতে আধা ঘণ্টা জাল ফেলে রাখলে সে জাল টেনে উঠাতে কষ্ট হয় মাছের ভারে। এতেই বুঝা যায় যে, কী পরিমাণ ইলিশ এখন নদীতে। আর এই ইলিশ ধরার লোভে চাঁদপুরের বাইরে থেকেও প্রচুর পরিমাণে নৌকা ঢুকে পড়ে চাঁদপুরের নদী সীমানায়। এরাই মতলব উত্তর থেকে হাইমচর পর্যন্ত নদীতে দিনে-রাতে বিচরণ করে থাকে। সব মিলিয়ে শত শত জেলে নৌকার অসাধু জেলেদের নিয়ন্ত্রণ করাটা কঠিন হয়ে পড়ছিলো চাঁদপুরের প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। আর তখনই জেলা টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্তে খুবই চমৎকার একটি উদ্যোগ নেয়া হয়। সেটি হচ্ছে ইলিশ নিধনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্পট সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ও ইব্রাহিমপুর এলাকায় পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প করা এবং কোস্টগার্ডের বড় জাহাজ কুতুবদিয়া চাঁদপুরে এনে নদীতে সর্বক্ষণ টহল দেয়া। এ বিষয়টি গত ১৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে গণমাধ্যম কর্মীদের অবহিত করা হয়।

গতকাল সোমবার চাঁদপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহেদ পারভেজ চৌধুরীর সাথে কথা হয় জেলা প্রশাসকের ওই সংবাদ সম্মেলনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে। তিনি জানান, গত শুক্রবার থেকেই রাজরাজেশ্বরে পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প বসে গেছে। সেখানে প্রায় ৫০ জন পুলিশ সদস্য রয়েছে। তাদের নেতৃত্বে রয়েছেন ইন্সপেক্টর সাহাদাত। এই ৫০ জন পুলিশ সদস্য দিনে রাতে পালাক্রমে নদীতে টহল দিয়ে থাকেন। যার কারণে এখন আর এতদ্বঞ্চলে নদীতে কোনো নৌকা দেখা যায় না।

তিনি জানান, আজ (গতকাল) নৌ পুলিশ সুপার মহোদয় রাজরাজেশ্বর এলাকায় গিয়ে নদীর পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে আমাকে ফোন করে এ উদ্যোগের জন্যে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং এটি খুবই ফলপ্রসূ উদ্যোগ বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। জাহেদ পারভেজ চৌধুরী বললেন, রাজরাজেশ্বর এলাকায় নদীতে যে বিপুল পরিমাণ নৌকা থাকতো, এতো নৌকা শুধু সে এলাকার নয়, বাইরে থেকেও প্রচুর পরিমাণে নৌকা এ সময়ে চাঁদপুরে ঢুকে পড়তো। এখন সেখানে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প করায় সব পালিয়েছে। তবে ইব্রাহিমপুর এলাকায় ক্যাম্প করা হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন।

এদিকে কোস্টগার্ডের বড় জাহাজ কুতুবদিয়া গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই চাঁদপুরে এসে টহল দেয়া শুরু করেছে। কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশন সদস্যদের পাশাপাশি কুতুবদিয়া জাহাজসহ কোস্টগার্ডের স্পেশাল টিম যুক্ত হয়ে নদীতে দিনে রাতে বিরামহীনভাবে টহল দেয়ায় এখন পুরো নদীই সুরক্ষিত বলা যায়। মৎস্য ব্যবসায়ী এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিরাই এ বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন।

চাঁদপুরবাসী প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে, সামনে জাটকা মৌসুমে দুই মাসের অভয়াশ্রমের সময়ও যাতে শুরু থেকেই এ ব্যবস্থা নেয়া হয়।

আলোকিত লক্ষ্মীপুর
আলোকিত লক্ষ্মীপুর
//