তরিকতের মনোনয়ন চান আনোয়ার

লক্ষ্মীপুর- ১ আসনে একাদশ সংসদ নির্বাচনে তরিকত ফেডারেশনের মনোনয় চান আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খান। এর আগে তিনি নৌকার মনোনয়ন ফরমও জমা দিয়েছেন।

আনোয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ঢাকার আনোয়ার খান মর্ডাণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান।

এ আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করে দীর্ঘদিন ধরে গণসংযোগ ও ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়েছেন। এবং শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন।

ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অনুদান দিয়ে সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। নৌকা প্রতীক পেতে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিলেও দলের সিনিয়র নেতাদের কাছ থেকে কোনো প্রকার গ্রিন সিগন্যাল না পেয়ে ১৮ নভেম্বর তরিকত ফেডারেশন থেকেও তিনি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। এ ঘটনায় হতবাক হয়ে পড়েন দলীয় নেতাকর্মী সমর্থক ও সধারণ ভোটাররা।

রোববার সন্ধ্যা থেকে আওয়ামী লীগ ও তরিকতের মনোনয়ন সংগ্রহ কালে আনোয়ার খানের পৃথক দুটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় নির্বাচনী এলাকায় হৈ-চৈ পড়ে যায়। এতে করে তার অনুসারী ও স্থানীয় তরিকতের নেতা-কর্মীদের অনেকেই বিব্রত হন।

এ ব্যাপারে মনোনয়ন প্রত্যাশী রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ড. আনোয়ার হোসেন খানের মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য জানা যায়নি।

তবে মুহতাসিম বেলাল নামে তার ব্যাক্তিগত সহকারী সাংবাদিকদের বলেন, জোটগত কারণে আসনটি তরিকত ফেডারেশনের হওয়ায় তরিকতের হয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন আনোয়ার হোসেন খান।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সফিক মাহমুদ পিন্টু জানান, আমি সভাপতি হিসাবে এখনো আনোয়ার হোসেন খানের কোন পদত্যাগ পত্র পাইনি। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুর সঙ্গেও কথা বলেছি। তিনিও আনোয়ার হোসেন খানের কোনো পদত্যাগ পাননি বলেও আমাকে জানিয়েছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, আওয়ামী লীগসহ দুই দল থেকে মনোনয়ন সংগ্রহের বিষয়ে কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। তাছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্রিক যে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নেবেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা।