দুদকের হটলাইনে অভিযোগের পর অভিযান

দুদকের হটলাইন- ১০৬ এ আসা অভিযোগের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালানো হয়েছে। 

মঙ্গলবার দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাকারিয়ার নেতৃত্বে দুদক ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এ অভিযান চালানো হয়।

মো. জাকারিয়ার ডেইলি বাংলাদেশকে জানান, ওই হাসপাতালে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে আমরা সেখানে অভিযানে যাই। অভিযানে দেখা গেছে, বাইরে প্রাইভেট প্র্যাকটিস নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ডাক্তাররা যথাসময়ে হাসপাতালে আসেন না। এমনকি হাসপাতালজুড়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপক ঘাটতি দেখা গেছে। সেখানে বেশকিছু মেশিন নষ্ট অবস্থাতেও পাওয়া যায়। 

এ সময় হাসপাতালে সেবার মান উন্নয়ন এবং পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে পরামর্শ দেয় দুদক টিম। এছাড়াও পদক্ষেপ নিয়ে দুদককে অবহিত করার জন্য তিন ইউএনওকেও চিঠি দেয়া হয়েছে।

অভিযানকালে হাসপাতালের একজন দালালকে ২৮ দিনের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পারভেজ নামের ওই ব্যক্তি নিউ সান ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক ডা. হোসেন ইমামের বেতনভুক্ত দালাল। 

ডা. হোসেন ঈমাম তার স্ত্রীর নামে লাইসেন্স নিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড প্রাইভেট হাসপাতালের নামে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত এই ডাক্তারের শুধু হাসপাতাল এলাকাতেই বেশ কয়েকজন বেতন ও কমিশনভুক্ত দালাল আছে। যারা হাসপাতালে আগত রোগীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে নিউ সান ডায়াগনষ্টিক সেন্টার অ্যান্ড প্রাইভেট হাসপাতালে যেতে বাধ্য করে। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ সবাই জানে। কিন্তু কখনোই কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। 

শুধু হোসেন ইমাম না, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মোড় এলাকায় নামে বেনামে গড়ে উঠা বেশকিছু ডায়াগস্টিক সেন্টার আর প্রাইভেট হাসপাতালের দৌরাত্ম্য বেড়ে গেছে। এই হাসপাতালকে ঘিরে কেউ করছে ডায়াগনস্টিক ব্যবসা, আবার কেউ হচ্ছে ডায়াগনস্টিকের দালাল। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার অনুরোধ ভুক্তভোগীদের।