ব্রেকিং:
চার বছর পর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গে প্রবাসীর মৃত্যু! লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে করোনা রোগী ৩৭ জন : নতুন করে শিশুসহ আক্রান্ত ৩ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের মারা যাওয়া তরুণের করোনা নেগেটিভ, তিন ভাই বোনের পজেটিভ লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল এডভোকেট নয়ন লক্ষ্মীপুরে ত্রাণের সাথে ঘরও পেল লুজি মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ সুপারের ভিডিও কনফারেন্স লক্ষ্মীপুরে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? লক্ষ্মীপুরে ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ লক্ষ্মীপুরে ২০০০ পরিবার পেল উপহার সামগ্রী
  • বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

হাঁসে হাসি-খুশির সংসার

আলোকিত লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০১৯  

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌর এলাকার উত্তর কলেজপাড়ার আশরাফ হোসেন। যার সংসারে অভাব ছিল নিত্যসঙ্গী। হঠাৎ একদিন টিভির পর্দায় এক বেকার যুবকের সফলতা দেখে তিনি হাঁস পালন শুরু করেন। এ হাঁস পালনেই এখন তার অভাব দূর হয়েছে।
আশরাফ আলী বলেন, সাইদুর ও রাকিব নামে দুই ছেলে রয়েছে। তারা মাধ্যমিকে লেখাপড়া করে। আর মেয়ে সোনিয়ার বিয়ে দিয়েছি। প্রায় ৩০ বছর ধরে মালামালের বস্তা গাড়িতে ওঠা-নামার কাজ করে সংসার চালিয়েছি। কিন্তু বয়স বেড়ে যাওয়ায় বোঝা বহনের কাজ করতে খুব কষ্ট হতো। তাই সব সময় পেশা পরিবর্তনের কথা ভাবতাম। টেলিভিশনে একদিন এক হাঁস খামারির সফলতার গল্প শুনে উৎসাহিত হই। পরে নিজেই হাঁসের খামার করি। প্রতিদিন যে ডিম পাচ্ছি তা বিক্রি করে সংসার চালাই।

তিনি আরো বলেন, আমার বসতবাড়ির পাশেই রয়েছে নিচু জমির ঝিল। সেখানে কোনো ফসলই ভালো হয় না। তবে হাঁস ঘুরে বেড়ানোর মত উপযুক্ত স্থান। এটা মাথায় রেখেই জমির মালিকদের সঙ্গে কথা বলি। তাদের প্রতি বছর বিঘা প্রতি সাত হাজার টাকার চুক্তিতে পাঁচ বছরের জন্য ৮ বিঘা জমি বর্গা নেই। এরপর  প্রায় ৭০ হাজার টাকা খরচ করে ২০১৬ সালের নভেম্বরে বাসা বাড়ির সামনে বাঁশের মাচা এবং গোলপাতার ছাউনির দুটি লম্বা ঘর নির্মাণ করি। ২০১৭ সালের প্রথম দিকে ১০০ টাকা দরে ৩শ বেলজিয়াম জাতের হাঁসের বাচ্চা কিনি।

তিনি বলেন, এর আড়াই মাস পর পাবনার চাটমোহল হ্যাচারি থেকে ৩০ টাকা দরে আরো ৪শ খাকি ক্যাম্বেল জাতের হাঁসের বাচ্চা কিনি। বিভিন্ন সময়ে রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় শতাধিক হাঁস মারা গেছে। বর্তমানে হাঁসগুলো ডিম দিচ্ছে। প্রতিদিন সাড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ ডিম পাচ্ছি।

আশরাফ আরো বলেন, এখন আমার ছোট-বড় মিলে প্রায় ৯শ’ হাঁস রয়েছে। প্রতিদিন খাবার বাবদ ১ হাজার আর ওষুধ বাবদ ২শ’ টাকা খরচ হচ্ছে। ডিম পাচ্ছি সাড়ে তিনশ বা চারশ। বাজারে প্রতি ডিম ১০ টাকায় বিক্রি করি। এ পর্যন্ত প্রায় ৭ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ডিম বিক্রি করেছি কমপক্ষে ১২ লাখ টাকার।

আশরাফের স্ত্রী নারগিছ বেগম বলেন, হাঁস বর্ষা মৌসুমে একটু বেশি জায়গা নোংরা করে। আর রোগে যখন মারা যায় তখন মন কাঁদে। তাছাড়া হাঁস পালন করা কঠিন কোনো কাজ নয়। মনের একটা সখও পূরণ করা যায়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আতিকুজ্জামান বলেন, আশরাফের হাঁসের খামার পরিদর্শন করেছি। তিনি খুব পরিশ্রমী ও আশাবাদী। আশরাফ যখন আমার কাছে আসেন সাধ্যমতো তার সমস্যা সমধানের চেষ্টা করি।

আলোকিত লক্ষ্মীপুর
আলোকিত লক্ষ্মীপুর
//