ব্রেকিং:
চার বছর পর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গে প্রবাসীর মৃত্যু! লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে করোনা রোগী ৩৭ জন : নতুন করে শিশুসহ আক্রান্ত ৩ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের মারা যাওয়া তরুণের করোনা নেগেটিভ, তিন ভাই বোনের পজেটিভ লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল এডভোকেট নয়ন লক্ষ্মীপুরে ত্রাণের সাথে ঘরও পেল লুজি মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ সুপারের ভিডিও কনফারেন্স লক্ষ্মীপুরে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? লক্ষ্মীপুরে ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ লক্ষ্মীপুরে ২০০০ পরিবার পেল উপহার সামগ্রী
  • বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ফরিদপুরে পদ্মা তীর রক্ষাবাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু

আলোকিত লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০১৯  

৪০ বছর পর পদ্মা নদীর তীর রক্ষাবাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। পদ্মার কড়াল গ্রাসে গত ৪০ বছরে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের ২৫টি গ্রামের লাখো মানুষ ভিটে বাড়ি হারিয়েছে। মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে পুরো উপজেলার মানুষ।

বাঁধ ভাঙনে শেষ সম্বল হারিয়ে অসহায় মানুষগুলো দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পালা এবার বুঝি শেষ হতে যাচ্ছে।

ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড চরভদ্রাসনের পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙন কবলিত এমপিডাঙ্গী, চরহাজীগঞ্জ ও চরহোসেনপুরের সাড়ে তিন কিলোমিটার নদী শাসনের কাজ শুরু করেছে। এরই মধ্যে প্রথম পর্যায়ে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ দিয়ে প্রাথমিক প্রটেকশনের কাজ শুরু হয়েছে। আর তাতেই আশায় বুক বেঁধেছে উপজেলাবাসী।

এমপিডাঙ্গীর জরিনা বেগমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানিয়েছে, গত ১০ থেকে ১২ বছরে নদীর পাড় ভাঙতে ভাঙতে এখন আমার ঘরের কাছে এসে ঠেকেছে। এবছর যদি ভাঙন ঠেকানো না যায় তয় মরে যাবো। আমার সব শেষ হয়ে যাবে। আমরা পোলাপান নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই।

 

 

ভাঙনরোধে সরকারি উদ্যোগের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ভাবছিলাম এবার ভিটে বাড়ি ভেঙে যাবে। কিন্তু যে কাজ হইতেছে তাতে আশা করতেছি রক্ষা পাবো।    

স্থানীয় বাসিন্দা শেখ হারুন বলেন, গত ৩০ বছরে দুই থেকে তিন বার ভাঙনের শিকার হয়েছি। এবার ভাঙলে আর যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। ‘অনেকদিন পর হলেও সরকার যে কাজের উদ্যোগ নিয়েছে তাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জনাই। তবে যে কাজ হইতেছে তা যেন সঠিকভাবে করে এই দাবি জানাই।

সর্বনাশা পদ্মার ভাঙন সম্পর্কে শেখ সামছুল ইসলাম নামে আরেক এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ভাঙতে ভাঙতে মানুষের আর কিছু নেই। স্কুল, মসজিদ, মাদরাসা, রাস্তা, ঘাট সবই গেছে। গতবার ফরিদপুর জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগের রাস্তার অংশ ভেঙেছে। যদি এবার কাজ না করা হতো তবে শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতো।

তিনি বলেন, এই যে কাজ হচ্ছে তা এই উপজেলাবাসীর আন্দোলনের ফসল। উপজেলার মানুষ বার বার দাবি তোলায় স্থানীয় এমপি মুজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সন এগিয়ে এসে এই প্রকল্পের ব্যবস্থা করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।

স্থানীয় সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ওবায়দুল বারী দিপু বলেন, গত কয়েক বছরের ভাঙনে তিন থেকে চার কিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে চলে গেছে। চলমান এই কাজের ফলে এই এলাকার মানুষের ভিটে মাটি রক্ষা পাবে।

কাজের মান নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অন্যান্য বারের তুলনায় কাজ ভালো হচ্ছে। কারণ কেন্দ্রীয়ভাবে ট্রান্সফোর্স টিম গঠন করে কাজ তদারকি করা হচ্ছে। প্রতি সাত দিন পর পর নতুন প্রকৌশলী আসছেন এবং কাজের মান পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন।

 

 

কাজের তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত ট্রান্সফোর্স সদস্য প্রকৌশলী শাহ মমিনুল ইসলাম মমিন বলেন, বালুর কোয়ালিটি, বালুর ওজন, ডাপিং এর সংখ্যা, ডাপিং এর স্থান এগুলো তদারকি করছি। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ডাপিং করাচ্ছি। কোনো সমস্যা মনে করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছি।

তিনি বলেন, যদি ভুল ডাপিং হয় সে বস্তা হিসেব থেকে বাদ দিয়ে দিচ্ছি। আবার কোনো বস্তার ওজনে কম পেলে তাও বাদ দেয়া হচ্ছে। ফলে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।

ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, দুই বছর মেয়াদে ৭টি গ্রুপে ৩টি ঠিকাদরি প্রতিষ্ঠান ডলি কনস্ট্রাকসন, আমিন অ্যান্ড কোং ও খন্দকার শাহীন লিমিটেড কাজ করছে। একাজের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। কাজের প্রথম পর্যায়ে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ডাপিং করা হবে। পরবর্তীতে শুকনো মৌসুমে সিসি বল্ক দিয়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে।

তিনি বলেন, ওই এলাকার মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল এই বাঁধ নির্মাণ। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। কাজটি পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন হলে চরভদ্রাসন উপজেলার প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষ নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে।

আলোকিত লক্ষ্মীপুর
আলোকিত লক্ষ্মীপুর
//