ব্রেকিং:
চার বছর পর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গে প্রবাসীর মৃত্যু! লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে করোনা রোগী ৩৭ জন : নতুন করে শিশুসহ আক্রান্ত ৩ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের মারা যাওয়া তরুণের করোনা নেগেটিভ, তিন ভাই বোনের পজেটিভ লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল এডভোকেট নয়ন লক্ষ্মীপুরে ত্রাণের সাথে ঘরও পেল লুজি মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ সুপারের ভিডিও কনফারেন্স লক্ষ্মীপুরে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? লক্ষ্মীপুরে ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ লক্ষ্মীপুরে ২০০০ পরিবার পেল উপহার সামগ্রী
  • শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

রাবিতে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে অতিথি পাখি

আলোকিত লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯  

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। সারা বছরই এ ক্যাম্পাস সেজে থাকে নানা রূপে। আর শীত আসলে সে রূপ বেড়ে যায় বহুগুণ। এসময় অতিথি পাখিদের আগমণে যেনো প্রাণে ছোঁয়া লাগে পুরো ক্যাম্পাসে। জলাশয়গুলো হয়ে উঠে অতিথি পাখিদের নিরাপদ বিচরণ কেন্দ্র।

খালেদা জিয়া, তাপসী রাবেয়া, রহমতুন্নেছা হলের পেছনের চামপঁচা, শামসুজ্জোহা হলের পাশের পুকুরসহ বেশ কয়েকটি জলাশয়ে বসেছে কিচিরমিচির আসর। রাবির আকাশ জুড়ে তারা উড়ে বেড়াচ্ছে, জলকেলিতে মেতে উঠছে। পাখিদের কলকাকলি, ঝাঁকে ঝাঁকে বিচরণ আর খুনসুটিতে যেনো মুখর হয়ে উঠেছে পুরো ক্যাম্পাস।

কিছু পাখি ডুবসাঁতার খেলছে, কিছু উড়ে যাচ্ছে আকাশে, এ ডাল থেকে ও ডাল ঘুরে আবার নেমে আসছে পুকুরে। কিছু আবার পালকের ভেতর মুখ গুঁজে রোদ পোহাচ্ছে। মাছ ধরার প্রতিযোগিতায় নামছে কিছু পাখি। সব মিলিয়ে যেনো পাখিদের মেলা বসেছে এখানে।

প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসে হিমালয়ের উত্তরে প্রচণ্ড শীত নামতে শুরু করে। ফলে উত্তরের শীতপ্রধান অঞ্চল সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া, চীন, নেপাল ও ভারতে প্রচুর তুষারপাত হয়। তুষারপাতের ধকল সইতে না পেরে পাখিরা উষ্ণতার খোঁজে পাড়ি জমায় বিভিন্ন নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে। এ সময় হাজার হাজার পরিযায়ী পাখি দক্ষিণ এশিয়ার নাতিশীতোষ্ণ দেশ বাংলাদেশে আসে। দেশের যেসব এলাকায় এসব পাখি আসে সেসবের মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম।

দুই ধরনের পাখির আগমন ঘটে এ ক্যাম্পাসে। এক ধরনের পাখি থাকে ডাঙায় বা ডালে। আরেক ধরনের পাখি থাকে পানিতে। তবে রাবির জলাশয়গুলোতে আসা বেশির ভাগ পাখিই হাঁস জাতীয়।

এদর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পাখিই ছোট সরালি। আর বাকিদের মধ্যে রয়েছে বড় সরালি, ল্যাঞ্জা হাঁস, খুন্তে হাঁস, ভূতি হাঁস ও ঝুঁটি হাঁস ইত্যাদি। যেহেতু শীত মৌসুমে পরিযায়ী পাখিরা আসে, তাই এসময় নৈস্বর্গীক প্রকৃতির রাবি ক্যাম্পাস অপেক্ষা করতে থাকে তাদের জন্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এসব অতিথি পাখি দেখে উচ্ছোসিত হন। বাইরে থেকেও অনেকে আসেন অতিথি পাখি দেখতে।

সকালবেলা শীতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে অনেকে হাটতে বের হন ক্যাম্পাসে। এসময় পাখিদের কলকাকলি আর জলকেলি মুগ্ধ করে তাদের। কথা হয় এমন একজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে। 

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মৌসুমী আক্তার বলেন, সকাল বেলা হাটতে বের হলে অন্য রকম ভালোলাগা কাজ করে। আর শীতকালে অতিথি পাখিদের ডুবসাঁতার দেখার মজাই আলাদা। অতিথি পাখিরা আসাতে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য যেনো আরো বেড়ে গেছে।

আরেক শিক্ষার্থী হীরা আক্তার প্রীতি বলেন, আমার হলটি পুকুরের একেবারে কাছে হওয়াতে অতিথি পাখিদের কলকাকলিতেই ঘুম ভাঙে প্রতিদিন। পাখিদের কলকাকলি কখনোই বিরক্তিকর মনে হয় না। আকাশ, জলে পাখিদের উড়াউড়ি আর জলকেলি অসম্ভব সুন্দর দৃশ্য। এমন দৃশ্য দেখলে মনটাও আপনা আপনি ভালো হয়ে যায়।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নুর আলম বলেন, অতিথি পাখি ক্যাম্পাসের জলাশয়গুলোকে মাতিয়ে রেখেছে। পাখিদের কলরবে মেতে আছে পুরো ক্যাম্পাস। অনেকেই অতিথি পাখি দেখে মুগ্ধ হচ্ছে। বাইরে থেকেও অনেকে দেখতে আসছে।

বাইরে থেকে ঘুরতে আসা এক দর্শনার্থী বলেন, অতিথি পাখি এতোদিন শুধু টিভিতেই দেখতাম। আজ রাবি ক্যাম্পাসে এসে সামনাসমনি দেখছি। এতো এতো অচেনা পাখি দেখার সুযোগ হলো। খুব ভালো লাগছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আমিনুজ্জামান মো. সালেহ্ রেজা বলেন, রাবি ক্যাম্পাস পাখিদের জন্য উপযুক্ত। এখানে পাখিদের কেউ বিরক্ত করে না। প্রতি বছর শীত আসলেই অতিথি পাখিরা চলে আসে। পরিয়ায়ী পাখিরা ক্যম্পাসে আসতে শুরু করে সাধারণত অক্টোবরের দিকে। তারা মার্চ পর্যন্ত থাকে এসব জলাশয়ে। কালো মানিক জোড়, ধলা মানিক জোড়, সরালি পাখিই বেশি আসে রাবি ক্যাম্পাসে। বাইরের দেশের প্রচন্ড শীত সইতে না পেরে পাখিরা আমাদের দেশে আসে। রাবি ক্যাম্পাসে আসার পেছনে আরো কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার ও প্রজনন ব্যবস্থা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, বিভিন্ন  সময়ে পাখিদেরন আগমন ঘটে রাবি ক্যম্পাসে। পাখিদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার ও প্রজননের ব্যবস্থা থাকায় বছরের বিভিন্ন সময়ে পাখিরা ক্যম্পাসে আসে। পাখিদের সুরক্ষা দেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বদা সতর্ক আছে।

আলোকিত লক্ষ্মীপুর
আলোকিত লক্ষ্মীপুর
//