শীতার্তদের পাশে দাঁড়াতে ভিন্ন আয়োজন জাবি শিক্ষার্থীদের

ঋতুর পালাবদলে শীত এখন ঘরে ঘরে। দিন যতই যাচ্ছে এরই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দুর্ভোগ। এ সময়ে বেশ দুর্ভোগ পোহায় হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষরা। তাদের এসব কষ্ট লাঘব করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানোর এক অভিনব পন্থায় কাজ করছে তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের প্রবেশমুখে রাখা আছে কিছু বক্স যেখানে লেখা, ‘আসুন, শীতার্তদের পাশে দাড়াই’। আর এসব বক্সে পুরনো ও অপ্রয়োজনীয় বস্ত্র রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরাও সেখানে স্বেচ্ছায় বস্ত্র রেখে যাচ্ছেন। যেখানে অন্যরা অপ্রয়োজনীয় কাপড় রেখে যাচ্ছে ঠিক সেখান থেকেই ক্যাম্পাসের রিকশাচালকসহ বিভিন্ন ছিন্নমূল মানুষেরা মনের আনন্দে এসব কাপড় নিয়ে যাচ্ছেন। 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীর গড়া সংগঠন ‘ইন্সপায়ার কেয়ার অ্যান্ড কাল্টিভেট হিউম্যান এইড’ (ইচ্ছা) এর উদ্যোগেই নেয়া হয়েছে মানবতার সেবার এই অভিনব কৌশল। এর মাধ্যমে সংগ্রহ ও বিতরণ করা হচ্ছে কারও প্রয়োজনীয় ও কারও অপ্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি আবাসিক হলে রাখা হয়েছে ইচ্ছার এই বক্স। এই সেবার ধারা যেন দেশব্যাপী ছড়িয়ে যায় তাই চান সংগঠকেরা।

এভাবে অপ্রয়োজনীয় বস্ত্র দিয়ে সাধারণ মানুষের উপকার করতে পারায় খুশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। 

তারা বলছেন, সময়ের অভাবে অপ্রয়োজনীয় অথচ ব্যবহার উপযোগী এসব কাপড় তারা অন্যদের দিতে পারেন না। তাই এমন উদ্যোগে মানুষের উপকার করার সুযোগটা পাচ্ছেন তারা।

এভাবে দেয়া-নেয়ার পরে অবশিষ্ট বস্ত্র ও আরো কিছু বস্ত্র কিনে দেশের অন্য অঞ্চলে বিতরণ করা হবে। এজন্য অর্থও সংগ্রহ করছে শিক্ষার্থীরা। আগামী মাসেই দেশের শীতবস্ত্র বিতরণের এই কার্যক্রমটি সম্পন্ন করবেন তারা।

ইচ্ছা’র আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ৪৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নুরুজ্জামান শুভ বলেন, ‘অসহায়, দরিদ্র শীতার্তদের জন্য বিভিন্ন হল থেকে শীতবস্ত্র সংগ্রহ করছি। প্রত্যেকের অপ্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র ফেলে না দিয়ে আমাদের বক্সে রাখার আহ্বান। এতে শীতার্তদের উপকার হবে। এছাড়া আমরা শীতবস্ত্র কিনেও বিতরণ করবো।

সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইংরেজি বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী স্বপ্নীল সাগর বলেন, এই তীব্র শীতে ছিন্নমূল ও শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানোটা আমাদের কর্তব্য। আরে এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা হতদরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।