জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে মারামারি ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

কমলনগরে জুয়ার দাণে হেরে গিয়ে ঝগড়া পরবর্তী দস্তাদস্তির তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই যুবককে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো অভিযোগ উঠেছে।
গত ৪ অক্টোবর শনিবার রাতে উপজেলার তোরাবগন্জ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা নুর করিমের বাড়ি নিকটবর্তি হাবিব রোডে এই ঘটনা ঘটে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, গত দুই মাস ধরে স্থানীয় কয়েকজন যুবক হাবিব রোডের নির্জন একটি যায়গায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে গোপনে জুয়া খেলে আসছিল। এতে নিয়মিত জুয়া খেলতো এলাকায় জুয়ারী নামেই পরিচিত স্থানীয় নুর ইসলামের ছেলে মোঃ হেলাল, শাহজানের ছেলে মোঃ ফয়েজ , আনারল হকের ছেলে জাহের, আবুল কাশেমের ছেলে মোঃ আকরাম, আহমেদ পাটারীর ছেলে মোঃ সুমন, সেরাজ আহম্মদের ছেলে মোঃ ফয়সাল। আর এ জুয়ার আসর পরিচালনা করতো স্থানীয় চা দোকানদার শিপণ, পাহারাদার হিসেবে দায়ীত্বপালণ করতো ছৈয়দ আহাম্মদের ছেলে গিয়াস উদ্দিন।
ঘটনার দিন রাত দশটার দিকে পূর্বের মতো জুয়া খেলায় মত্ব ছিল তারা (জুয়ারীরা)। এসময় এক হাজার টাকার জুয়ার দাণ নিয়ে হেলালের সাথে অন্যান্যদের কথা কাটাকাটি হয়, এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে দস্তাদস্তি শুরু হলে পার্শ্ববর্তী ফসলি জমির কিছুটা ধানের ক্ষয়ক্ষতি হয়।
পরের দিন গল্প সাজিয়ে নিয়মিত জুয়া খেলার দুই পার্টনার ফয়েজ ও জাহেরের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মিথ্যা অবিযোগ তুলে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল মেজিষ্ট্রেট কোর্টে একটি মামলা দায়ের করে হেলাল।
পাশাপাশি গণমাধ্যমকে বানোয়াট তথ্য দিয়ে উদ্দেশ্যমুলক মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করায় সে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ফয়েজ জানায়, প্রতিদিনের মতো ঘটনার দিনও জুয়া খেলায় আসক্ত ছিল তারা। এক হাজার টাকার জুয়ার দাণ নিয়ে হেলালের সাথে সামান্য কথা কাটাকাটি হয় তার।এতে উভয়ের মধ্যে দস্তাদস্তির ঘটনাও ঘটে।পরে যে যার মতো বাড়িতে চলে যায় তারা।
পরের দিন ওই দস্তাদস্তিকে কেন্দ্র করে একটি স্বার্থান্বেষী মহলের কুপরামর্শে অসুস্থতার ভাণ করে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আমাকে সহ জাহেরকে আসামী করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে হেলাল।
তবে পারিবারিক পূর্ব শত্রুতা ও হীনস্বার্থ হাসিল করার উদ্দেশ্যে এলাকার বিশেষ একটি মহল হেলালকে দিয়ে এ মিথ্যা মামলাটি করিয়েছে বলে দাবী করে ফয়েজ আরো বলেন, হেলালের দেয়া মিথ্যা তথ্যের উপর ভিত্তি করে স্থানীয় একটি পত্রিকায় উল্লেখ করা হয় হেলাল চট্টগ্রামের একটি হোটেলে চাকুরী করতেন।
ঘটনার দিন রাত দেড়টায় বাসযোগে এসে স্থানীয় লরেন্স বাজারে নামে সে।কথাটি ডায়া মিথ্যা,যার প্রমাণ হলো ওইদিন সন্ধায় শতশত মানুষ তাকে এলাকায় গুরতে ফিরতে দেখেছে।আর রাত দশটার দিকে আমাদের সাথে খেলার মধ্যে ঝগড়া হয় তার। তাছাড়া হেলাল স্থানীয় একটি ইটভাটায় নিয়মিত লেবার হিসেবে কাজ করে। সুতারাং পুরো ঘটনাটাই সাজানো একটি নাটক এতে কোন সন্ধেহের অবকাশ নেই বলে জানান ফয়েজ।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্ত দিয়ে একাধিক বেক্তি বলেন,এরা প্রশাসনের চোখের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় জুয়া খেলছে বিষয়টি কমবেশি অনেকেই জানেন। ঘটনার দিন রাতে জুয়াখেলায় উভয়ের মধ্যে দস্তাদস্তির কথাটি সত্য তবে হেলালকে হত্যাচেষ্টার কথাটি মোটেও সত্য নয় বলেও জানান তারা।