ব্রেকিং:
চার বছর পর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গে প্রবাসীর মৃত্যু! লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে করোনা রোগী ৩৭ জন : নতুন করে শিশুসহ আক্রান্ত ৩ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের মারা যাওয়া তরুণের করোনা নেগেটিভ, তিন ভাই বোনের পজেটিভ লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল এডভোকেট নয়ন লক্ষ্মীপুরে ত্রাণের সাথে ঘরও পেল লুজি মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ সুপারের ভিডিও কনফারেন্স লক্ষ্মীপুরে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? লক্ষ্মীপুরে ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ লক্ষ্মীপুরে ২০০০ পরিবার পেল উপহার সামগ্রী
  • বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

  • || ০৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

একজন লোক দিয়ে চলছে উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের কার্যক্রম!

আলোকিত লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা সৃষ্টির পর থেকে মাত্র একজন লোক দিয়ে চলছে উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের কার্যক্রম। এতে করে সেবা গ্রহিতারা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস একটি জনগুরুত্বপূর্ণ অফিস। প্রতিদিন শত শত লোক তাদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য বিল অনুমোদনসহ বিভিন্ন কাজে এ অফিসে আসতে হয়। এ অফিসে ৭ জন লোক থাকার কথা কাগজে কলমে থাকলেও মাত্র একজন অডিটর দিয়ে চলছে জনগুরুত্বপূর্ণ এ অফিসের কার্যক্রম। তিনি এসব বিল প্রস্তুত ও ছাড় করতে চরম হিমশিম খেতে হচ্ছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আবার বিভিন্ন সময়ে বন্ধের দিনেও তাকে কাজ করতে দেখা যচ্ছে। এর পরও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সেবা গ্রহিতারা এবং ব্যাহত হচ্ছে নানামূখী সেবা।

জানা যায়, উপজেলার এ অফিসে হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা একজন, অডিটর একজন, জুনিয়র অডিটর দুইজন, কম্পিউটার অপারেটর একজন, সুপার এস এ এস একজন  ও অফিস সহায়ক একজনের পদ রয়েছে। হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা অছেন অতিরিক্ত দায়িত্বে। জেলা একাউন্ট অফিসের মূল দায়িত্বে আছেন তিনি। মাঝে মধ্যে তিনি সময় পেলে আসেন। আর অডিটর মো. মহিউদ্দিন একাই সকল কার্যক্রম করতে হচ্ছে। সকল পদের কাজ তিনি একাই সমাধান করতে হয়। উপজেলার হিসাবরক্ষনের সকল কাজ সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না একজন অডিটর দিয়ে। ফলে তিনি চরম হিমশিম খাচ্ছেন সেবা গ্রহিতাদের সেবা নিশ্চিত করতে।

এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. কামরুল ইসলাম বলেন, বিল সংক্রান্ত ফাইল হিসাব রক্ষণ অফিসে নিয়ে গেলে ওই অফিসে লোকবল সংকটের কারনে একদিনে বিল উত্তোলন করা সম্ভব হয় না। ফলে দিনের পর দিন আমাদের দাপ্তরিক কাজ ফেলে রেখে ফাইলের পিছনে ঘুরতে হয়। এটা আমাদের জন্য খুবই পিড়াদায়ক।

এ ব্যাপারে উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের অডিটর মো. মহিউদ্দিন আহমেদ জানান , ৬ জনের কাজ আমার একা করতে হয়। শত কষ্টের পরও গ্রাহকদের যেন ভোগান্তি পোহাতে না হয় এ জন্য অবিরাম পরিশ্রম করে যাচ্ছি এবং সকলের বিল ফাইল যত দ্রুত সম্ভব ছাড় দেয়ার চেষ্টা করি।

কমলনগর উপজেলা একাউন্ট কর্মকর্তা (অ:দা) গোলাম হায়দর ভূঁইয়া বলেন, প্রতি মাসে জনবল সংকটের রিপোর্ট আমারা উর্ধ্বতন মহলকে অবহিত করি। তারপরও জনবল সংকটের কোন সমাধান হয়না। লোকজন কম হলেও জনগনের সেবা দিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি প্রতিনিয়িত।

কমলনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দীন আহমেদ বাপ্পী জানান, উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ হলো এ একাউন্ট অফিস। এ অফিসের জনবল সংকট দীর্ঘদিনের। এ বিষয়ে উপজেলার সমন্বয় মিটিংয়ে আলোচনা হলেও কোন সমাধান হয়না। জনবল সংকট নিরসনে উর্ধ্বতন মহল দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

জনগুরুত্বপূর্ণ এ অফিসে দ্রুত শূন্যপদগুলোতে লোকবল নিয়োগ দিয়ে জনদুর্ভোগ লাঘবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।

আলোকিত লক্ষ্মীপুর
আলোকিত লক্ষ্মীপুর
//