ব্রেকিং:
চার বছর পর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গে প্রবাসীর মৃত্যু! লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে করোনা রোগী ৩৭ জন : নতুন করে শিশুসহ আক্রান্ত ৩ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের মারা যাওয়া তরুণের করোনা নেগেটিভ, তিন ভাই বোনের পজেটিভ লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল এডভোকেট নয়ন লক্ষ্মীপুরে ত্রাণের সাথে ঘরও পেল লুজি মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ সুপারের ভিডিও কনফারেন্স লক্ষ্মীপুরে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? লক্ষ্মীপুরে ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ লক্ষ্মীপুরে ২০০০ পরিবার পেল উপহার সামগ্রী
  • শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও মিলেনি মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হকের স্বীকৃতি

আলোকিত লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ১ মার্চ ২০২০  

স্বাধীনতা সংগ্রামে মুক্তিযুদ্ধে ছেলের অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করে কেঁদে ফেলেন সরকারী সুবিধা বঞ্চিত একজন মুক্তিযোদ্ধার মা মাহমুদা খাতুন। ছেলে হারা মায়ের আকুতি স্বাধীনতার ৪৮ বছর পার হয়ে গেলেও অধ্যাবদি তার ছেলে নুরুল হকের ভাগ্যে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি মিলেনি। অথছ নুরুল হক স্বাধীনতা যুদ্ধে রেখেছেন অসামান্য অবদান।
মাহমুদা খাতুন রামগঞ্জ উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের দক্ষিন জয়দেবপুর গ্রামের হাসান আলী পাটোয়ারী বাড়ির মরহুম ছৈয়দ আহম্মদের স্ত্রী।
মায়ের আকুতি স্বাধীনতা চলাকালে বঙ্গবন্ধুর আহবানে ২৬শে মার্চ রাত থেকে তার ছেলে নূরুল হক খোকা পাটোয়ারী মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন।
যুদ্ধকালীন সময়ে পাকবাহিনীর বুলেট ছেলের পায়ে বিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন নুরুল হক। বাড়ীতে খবর আসে নুরুল হক পাকবাহিনীর বুলেটে শহীদ হয়েছেন। এমন সংবাদে নুরুল হকের পুরো বাড়িতে কান্নার রোল দেখা দেয়।
পরের দিনেই পাকবাহিনী শাহরাস্তি উপজেলার নরিংপুর হয়ে নুরুল হকে গ্রামের বাড়িতে হানা দেয়।
পাকবাহিনীর গোলাগুলির শব্দ আর আতংকে ছোট সন্তানদের বুকে নিয়ে বাড়ির পাশ্বে একটি বিলে কচুরিপানার আড়ালে থাকেন। কয়েক ঘন্টা চেষ্টার পরে ধান খেতে পানিতে ভেসে পাশ্ববর্তী রামসিংপুরে চলে যান।
যুদ্ধকালীন পুরো সময়ে মুক্তিবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্প ছিল তার বাড়িতে। পাকবাহিনী জানতে পারেন ওই বাড়িতে মুক্তিবাহিনী অবস্থান করছে। বেশ কয়েকবার পাকবাহিনী সাথে নিজ বাড়িতে অবস্থানরত মুক্তিবাহিনী গোলাগুলির হয়। ওই সময়ে তার স্বামী মুক্তিবাহিনীদেরকে যাতায়াতের জন্য নৌকায় বহন করতেন। মেজো ছেলে দেলোয়ার হোসেন মুক্তি বাহিনীর রান্নার কাজ করতেন। মাঝে মধ্যে নৌকায় বহন করতেন মুক্তিবাহিনীদেরকে।
কিছুদিন পর জানতে পারেন গুলিবিদ্ধ হলেও তার ছেলে নুরুল হক বেচেঁ আছেন পায়ের আঘাত নিয়ে।
তিনি আরো জানান, স্বাধীনতা সংগ্রামের ৪৮ বছর পার হয়ে গেলেও তার ছেলে নূরুল হক পাটোযারী মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি আজও পায়নি।
তিনি কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে স্বামী, দুই ছেলেসহ পুরোবাড়ির লোকজনের অসামান্য অবদান থাকার পরেও কেউ পায়নি মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃতি। ১৯৮৬ সালে তার স্বামীর ইন্তেকালের পর বড় ছেলে খুলনা একটি দোকানে বাইন্ডিং কাজ করতেন। নিত্য অভাব অনঠনে জীবন-যাপন করতেন। টাকা না থাকায় চিকিৎসার অভাবে খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে নুরুল হকের মৃত্যু ঘটে।
২০১৫ সালে নূরুল হক জীবদ্দশায় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয় মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য আবেদন করেন।
কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করার জন্য রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসে প্রেরণ করা হয়। ওই তালিকায় ৩৫৮ নং ক্রমিকে নুরুল হকের নাম রয়েছে।
তালিকা আসার পর অনলাইনে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয় আবেদনও করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসে যাছাই বাছাই পরীক্ষা দেন। যাচাই-বাছাইয়ের দ্বিতীয় দিনে যাচাই বাছাই কমিটির বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করা হলেও তা স্থগিত হয়ে পড়ে।
নূরুল হকের কাগজপত্রে দেখা যায় তিনি যুদ্ধকালীন সময়ে ২ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন। যুদ্ধকালীন সময়ে তার কমান্ডার ছিলেন ছিলেন মেজর খালেদ মোশাররফ হোসেন, অধিনায়ক ছিলেন মেজর জহুরুল হক পাঠান।
তার গ্রুপ/ প্লাটুন কমান্ডার ছিলেন সুবেদার এছাহাক মিয়া। যুদ্ধকালীন সময়ে উত্তাল ২৬শে মার্চ মাসে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। পানিয়ালা ক্যাম্পে তিনি প্রশিক্ষন নেন।
তার স্ত্রী আঞ্জু আরা বেবী জানান যুদ্ধের পরেই তার কাছে রক্ষিত কাগজগুলো হারিয়ে যায়।
অনলাইনে আবেদনে নুরুল হক পাটোযারীকে সহযোগী গ্রেজেটভুক্ত মোশ শাহাজান মাষ্টার গ্রেজেট নং- ৯৫৪, সাবেক কমান্ডার সালেহ আহমদ গ্রেজেট নং ৫৭৮, জয়নাল আবেদিন গ্রেজেট নং-৬৯২।
নুরুল হকের বৃদ্ধা মায়ের আকুতি তার মৃত্যু আগে যেন মৃত ছেলে নুরুল হকের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেখেন।

আলোকিত লক্ষ্মীপুর
আলোকিত লক্ষ্মীপুর
//