জাটকা রক্ষায় মেঘনা নদীতে কমলনগরের ইউএনও

ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকা রক্ষায় লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে মার্চ-এপ্রিল (দুই মাস) জাটকাসহ সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ অভিযান বাস্তবায়ন করতে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মোবারক হোসেনকে কমলনগরের মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে। 

জাটকা রক্ষার অভিযান সফল করতে রোববার (১ মার্চ) বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ইউএনও মোবারক হোসেন মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে দেখেন। এসময় মেঘনা নদীর কোথাও কোনো জেলে,জাল ও নৌকা দেখা যায়নি। এসময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবদুল কুদ্দুসসহ কোস্টগার্ডের একটি দল সঙ্গে ছিল। জাটকা রক্ষায় ইউএনও’র এমন প্রদক্ষেপ সচেতনমহল সন্তোষ প্রকাশ করেন।

শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার পর থেকেজেলেরা মেঘনা নদীতে মাছ শিকার থেকে বিরত রয়েছেন।নদীতে যাতে জেলেরা শিকারে যেতে না পারে সে জন্য কোস্টগার্ড টহল দিচ্ছে, এছাড়াও মৎস্য বিভাগ, পুলিশ ও প্রশাসনের তৎপরতা দেখা গেছে।

মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীরের রামগতি পর্যন্ত ১০০কিলোমিটার মেঘনা নদী এলাকা মাছের অভয়াশ্রাম ।দুই মাস অভয়াশ্রমে জাটকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিচরণ করবে, বেড়ে উঠবে। এমন পরিস্থিতিতে কোনো বাধা ছাড়াই মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সব ধরনের মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেন, মার্চ-এপ্রিল ২ মাস   মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ। বিকেলে নদীতে গিয়ে কোন মাছ ধরার নৌকা দেখা যায়নি। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার জন্য সকল মৎসজীবীকে ধন্যবাদ।

লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, জাটকা রক্ষা ও ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল  পর্যন্ত   মেঘনার অভয়াশ্রমে সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এসময় মাছ ধরা থেকে জেলেদের বিরত রাখতে লিপলেট বিতরণ, মাইকিং ও জেলেদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা করা হচ্ছে। আইন আমন্য করে মাছ শিকার করলে জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে। মাছ ধরা থেকে বিরত থাকা জেলে পরিবারকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে  ভিজিএফ’র চাল বিতরণ করা হবে।