ব্রেকিং:
চার বছর পর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গে প্রবাসীর মৃত্যু! লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে করোনা রোগী ৩৭ জন : নতুন করে শিশুসহ আক্রান্ত ৩ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের মারা যাওয়া তরুণের করোনা নেগেটিভ, তিন ভাই বোনের পজেটিভ লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল এডভোকেট নয়ন লক্ষ্মীপুরে ত্রাণের সাথে ঘরও পেল লুজি মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ সুপারের ভিডিও কনফারেন্স লক্ষ্মীপুরে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? লক্ষ্মীপুরে ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ লক্ষ্মীপুরে ২০০০ পরিবার পেল উপহার সামগ্রী
  • রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

করোনায় থেমে নেই স্বেচ্ছাসেবীদের রক্তদান

আলোকিত লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০২০  

রাজীব হোসেন রাজু: মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব আজ স্তব্দ। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৭মার্চ থেকেই সতর্কতা জারি। বর্তমানের দেশের বেশির ভাগ জেলাই চলতে লকডাউন। রক্তদান একটি মহৎ কাজ। কিন্তু দেশের এমন অবস্থায় মানুষ যখন ঘর বন্ধি তখন সকল প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে মানবতার সেবায় রক্তদান করে যাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবীরা। তাদের স্বেচ্ছায় রক্তদান দিচ্ছে নতুন নতুন জীবন। তারা রক্তদানে এগিয়ে না আসলে হয়তো রক্তের অভাবে নিভে যেতো অনেক জীবন। প্রতিদিনই কেউ না কেউ রক্ত দিচ্ছেন। কিন্তু এ সময়ে সেচ্ছায় এমন রক্তদানে বিড়ম্বনার স্বীকারও হতে হয় তাদের। লক্ষ্মীপুরে প্রতিদিনই সিজার, থ্যালাসেমিয়া, রক্তশূন্যতা সহ বিভিন্ন রোগির জন্য প্রয়োজন হয় রক্তের। কিছু পারিবারিক লোকজন দিলেও অধিকাংশই ব্যবস্থা করতে হয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলোকে।
লক্ষ্মীপুর এসোসিয়েশন অব ব্লাড ডোনেটিং অর্গানাইজেশনস (লব্ধ) জানায়, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন লক্ষ্মীপুর সদরে ১০-১৫ ব্যাগ রক্ত প্রয়োজন হতো। করোনার কারণে কমলেও তা একদম কম নয়। এখনো প্রতিদিন ১০-১২ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়। জেলায় তো এর পরিমান আরো বেশি। অনেকের তথ্য আমাদের নজরে আসে না। জেলায় অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এ মহামারি উপেক্ষা করে মানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। তবে এসময় বিড়ম্বনার স্বীকার হতে হয় অনেক ডোনারকেই। যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় অনেক কষ্ট করে তাদের রক্ত দিতে আসতে হয়। অনেক সময় পরিবারেরও নিষেধ থাকে। সেটা উপেক্ষা করেও ডোনাররা রক্ত দিয়ে থাকেন।
এদিকে রক্তদাতাদের সুবিধার জন্য কেউ কেউ আবার অন্য ভাবেও সহযোগিতা করছেন। জেলার যে কোন জায়গা থেকে রক্তদাতাদের আসার সুবিধার্থে নিজস্ব মোটরসাইকেল বা গাড়ি দিয়ে রক্তদাতা নিয়ে আসছেন এবং বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন অনেকে। রাধাপুর উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মিল্লাত হোসেন শামীম স্বেচ্ছায় নিজ মোটরসাইকেলে আনা নেওয়া করছে রক্তদাতাদের। এছাড়াও ভবানীগঞ্জের মেহেদী হাসান সুমন ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার দিয়ে রক্তদাতাদের যাতায়াতে সহযোগিতা করছেন।
লক্ষ্মীপুর মাদারল্যান্ড হাসপাতালে সিজারের রোগিকে রক্ত দিতে কমলনগর থেকে আসা সাজ্জাদুল ইসলাম রাকিব বলেন, আমি ফেইজবুকে পোষ্ট দেখতে পেয়ে রক্ত দিতে আসছি। আমি জানি করোনা ঝুঁকি আছে এবং লকডাউনও চলছে। তারপরও আমি রক্ত দিতে কমলনগর থেকে চলে এসেছি। এটি আমার ৯ম রক্তদান। আমার ভালো লাগছে দেশের এ ক্লান্তিলগ্নেও রক্ত দিতে পেরেছি।
কমলনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রক্তশূন্যতায় ভোগা এক মহিলাকে রক্তদান করা জাহিদ হাসান তুহিন বলেন, আমরা নিয়মিত রক্ত দেই। যাদের রক্ত প্রয়োজন তারা অসহায়। তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব। আমাদের দায়িত্ব থেকেই রক্তদান করেছি।
বিকেবি ক্লাবের সভাপতি ইসমাইল খান সুজন বলেন, প্রতিদিনই রক্তের চাহিদা থাকে। দূরদূরান্ত থেকে ডোনাররা আসে দেওয়ার জন্য। তাদের আসতে কষ্ট হয় তবুও তারা আসতে স্বাচ্ছন্দবোধ করে। গত একমাসে আমাদের ক্লাব থেকেই আমরা ৪০-৫০ ব্যাগ রক্ত ব্যবস্থা করেছি। রক্তদাতারা খুব আন্তরিকতার সহিত রক্ত দিচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর এসোসিয়েশন অব ব্লাড ডোনেটিং অর্গানাইজেশনস (লব্ধ) এর সভাপতি ফারাজ রানা বলেন, আমাদের স্বেচ্ছাসেবীরা প্রতিনিয়তই কাজ করে যাচ্ছে। জেলার যে কোন জায়গায় তারা রক্ত দিতে প্রস্তুত। এ ক্ষেত্রে অনেকেই প্রতিবন্ধকতার স্বীকার হন। বিশেষ করে যাতায়াত ব্যবস্থায় তাদেরকে ভূগায়। তবুও তারা রক্তদানে আনন্দিত।

আলোকিত লক্ষ্মীপুর
আলোকিত লক্ষ্মীপুর
//