কেন্দ্রীয় নেতাদের ঘুম ভাঙেনি, বিএনপির বিক্ষোভ বাতিল

মাঘ পেরিয়ে ফাল্গুন এলেও এখনো শীতের আমেজ কাটেনি বিএনপি নেতাকর্মীদের। এ কারণে ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীসহ সারা দেশে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ হওয়ার প্রতিবাদে দলের ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেতাকর্মীরা হাজির হননি। নেতারা বলছেন, বাধ্য হয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি বাতিল করতে হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজের প্রতিবাদে সারা দেশের জেলা শহরসহ রাজধানীতে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেয় বিএনপি। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কেউ কেউ এর সমর্থনে অল্প সময়ের জন্য রাজপথে নামলেও রাজধানীর চিত্র পুরোটা উল্টো। অধিকাংশ নেতকর্মীরাই রাজপথে না নেমে বরং গায়ে কাঁথা টেনে ঘুমিয়েছেন। এতে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত জ্যেষ্ঠ নেতারা বাধ্য হয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি বাতিল করে পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেছেন ১ মার্চ। অথচ ১ মার্চ জাতীয় জীবনের একটি বিশেষ দিন। ১৯৬০ সালের এই দিনে তৎকালীন আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগদান করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ দিনটিকে স্মরণ করে গত ১৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত মন্ত্রীপরিষদ সভায় সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত ১ মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এ লক্ষ্যে নেয়া হয়েছে নানা কর্মসূচিও। অথচ এই দিনে বিএনপি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ঢাকা মহানগরের থানায় থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। যা নিয়ে সচেতন মহলে সমালোচনার ঝড় বইছে।

এ ব্যাপারে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজের প্রতিবাদে পূর্বঘোষিত নয়াপল্টনের বিক্ষোভ সমাবেশ আজ বিশেষ কারণ বশত হচ্ছে না। এর পরিবর্তে রোববার (১ মার্চ) ঢাকা মহানগরের থানায় থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি হবে। তবে আমরা অন্যকোনো উদ্দেশ্য নিয়ে এমনটা করিনি। তবুও আমাদেরকে দোষারোপ করা হচ্ছে।

রাজনৈতিক বিশিষ্টজনরা বলছেন, বিএনপি বরাবরই এমন সব কর্মসূচি ঘোষণা করে- যা থেকে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এর আগে জাতীয় শোক দিবসে খালেদা জিয়া প্রহসনের জন্মদিন পালন করে সমালোচনা সৃষ্টি করেন। তারই ধারাবাহিকতায় দলটি এখন বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত দিন ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবসে ঘোষণা করেছে বিক্ষোভ কর্মসূচি।