ব্রেকিং:
চার বছর পর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গে প্রবাসীর মৃত্যু! লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে করোনা রোগী ৩৭ জন : নতুন করে শিশুসহ আক্রান্ত ৩ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের মারা যাওয়া তরুণের করোনা নেগেটিভ, তিন ভাই বোনের পজেটিভ লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল এডভোকেট নয়ন লক্ষ্মীপুরে ত্রাণের সাথে ঘরও পেল লুজি মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ সুপারের ভিডিও কনফারেন্স লক্ষ্মীপুরে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? লক্ষ্মীপুরে ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ লক্ষ্মীপুরে ২০০০ পরিবার পেল উপহার সামগ্রী
  • শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

যেসব কারণে খালেদার মুক্তি চায় না বিএনপি!

আলোকিত লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ৮ মার্চ ২০২০  

 বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে একের পর এক নাটক করে বিএনপি এখন থেমে গেছে। হাইকোর্টে তার জামিন আবেদন বাতিলের পর এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, বিএনপিই আসলে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাচ্ছে না। খালেদা জিয়ার অসুস্থতার যে অভিযোগ তারা করছে, তার পেছনে তেমন কোনো সত্যতা নেই।

সত্যিই যদি বিএনপি খালেদার মুক্তি চাইতো তাহলে তারা অনেক কিছুই করতে পারতো। আন্দোলনের জন্য ন্যূনতম কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারতো। এমনকি সরকারের সঙ্গে আলোচনায় যেতে পারতো। আর প্যারোলের আবেদন তো রয়েছেই। কিন্তু এর কিছুই না করে কেবলমাত্র বক্তৃতা-বিবৃতি এবং কিছু দায়সারা কথাবার্তার মধ্যেই তারা খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে সীমাবদ্ধ রেখেছে। এর মাধ্যমে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েই বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইছে না। বরং খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে বিএনপি তার সাংগঠনিক এবং রাজনৈতিক অবস্থান, মেরুকরণ সুনির্দিষ্ট করতে চাইছে। তাই রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন উঠেছে যে, কেন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি বিএনপি চাচ্ছে না?

এর বিশ্লেষণ করতে গিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা যা পেয়েছে তা হলো-

তারেক জিয়ার অনাগ্রহ:

বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি তার পুত্র তারেক জিয়াই চান না। এটা মোটামুটি স্পষ্ট। বেগম জিয়ার মুক্ত নিয়ে তারেক জিয়া সাম্প্রতিক সময়ে যে কথাবার্তা বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়েছেন, তাতে স্পষ্ট হয়েছে যে, মাকে মুক্ত করতে চান না তিনি। কারণ বেগম জিয়া মুক্তি পেলে বিএনপিতে তারেকের কর্তৃত্ব নষ্ট হয়ে যাবে। বেগম জিয়া দীর্ঘদিন কারাগারে বন্দি থাকার পর যদি বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান তাহলে সেটা তারেক জিয়ার একটা ‘অ্যাসেট’ হিসেবে বিবেচিত হবে।

বিএনপির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সরকারের গোপন সম্পর্ক:

বিএনপি নেতৃবৃন্দের সঙ্গেই সরকারের গোপন সম্পর্কের কথা এখন আর গোপন কোনো বিষয় নয়। কারণ বিএনপি নেতৃবৃন্দের যারা সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখছেন তাদের মামলাগুলো স্থবির হয়ে গেছে। যেমন-ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাটি নিম্ন আদালতে চলমান থাকার পর হঠাৎ করেই থেমে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, সরকারের সাথে গোপন সম্পর্কের কারণে এ মামলা এগুচ্ছে না। একইভাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলাই থমকে আছে সরকারের সঙ্গে তার ‘সহানুভূতিশীল’ সম্পর্কের কারণে। মির্জা আব্বাসের মামলার রায় হয়ে যাবার কথা ছিল বহু আগে। কিন্তু সেই রায় আজও হয়নি। মামলায় জটে পড়ে আটকে আছে। এটা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, সরকারকে চটাতে বা সরকারের বিরাগভাজন হতে চান না বিএনপি নেতারা। এজন্যই তারা সরকারবিরোধী কোনো বড় আন্দোলনের ঝুঁকি নিতে চান না এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে তারা বড় কিছু করতে চান না।

বিএনপির মধ্যে বিভক্তি:

বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তি না চাওয়ার একটি বড় কারণ হলো, বিএনপির মধ্যে বিভক্তি ও মতোবিরোধ। দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির মধ্যে অসুস্থ এবং অক্ষম নেতাদের শীর্ষপদ থেকে সরিয়ে অপেক্ষাকৃত তরুণ এবং ত্যাগীদেরকে নেতৃত্বে বসানোর জন্য দাবি চলে আসছিল। কিন্তু এই দাবি উপেক্ষিত হয়েছে দলের যারা এখন বয়স্ক এবং অথর্ব হয়ে গেছেন, তারা নিজেদের পদ থেকেও সরে যেতে আগ্রহী নন। তারা জানেন যে, যদি খালেদা জিয়া মুক্ত হন, তাহলে তিনি প্রথম যে কাজটি করবেন সেটি হলো, দলের নেতৃত্বে বড় ধরণের পরিবর্তন করবেন। এ কারণেই বেগম জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে তাদের অনাগ্রহ রয়েছে। তারা চাইছেন না যে, বেগম জিয়া মুক্ত হয়ে দলকে পুনর্গঠন করুন।

এ সমস্ত কারণেই বেগম জিয়ার মুক্তি নিয়ে বিএনপি নেতারা শুধুমাত্র লোক দেখানো কিছু কাজ করছেন। জামিনের আবেদন করছেন এবং বিক্ষোভ-মানববন্ধনের মতো মেকি কর্মসূচি পালন করছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তৃণমূলের রোষ থেকে বাঁচার জন্য যেটুকু না করলেই নয়, কেবল ততটুকুই করছেন বিএনপি নেতারা। বাস্তবে তারা চাইছেন যে, খালেদা জিয়া আপাতত আরও কিছুদিন জেলেই থাকুক।

আলোকিত লক্ষ্মীপুর
আলোকিত লক্ষ্মীপুর
//