ব্রেকিং:
চার বছর পর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গে প্রবাসীর মৃত্যু! লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে করোনা রোগী ৩৭ জন : নতুন করে শিশুসহ আক্রান্ত ৩ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের মারা যাওয়া তরুণের করোনা নেগেটিভ, তিন ভাই বোনের পজেটিভ লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল এডভোকেট নয়ন লক্ষ্মীপুরে ত্রাণের সাথে ঘরও পেল লুজি মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ সুপারের ভিডিও কনফারেন্স লক্ষ্মীপুরে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? লক্ষ্মীপুরে ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ লক্ষ্মীপুরে ২০০০ পরিবার পেল উপহার সামগ্রী
  • শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ইন্টারনেট আবিষ্কারের অজানা তথ্য

আলোকিত লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০১৮  

যতই দিন যাচ্ছে আমাদের পৃথিবী ততই আধুনিক হয়ে চলেছে। বর্তমানে কয়েক বছরের দূরত্বকে মানুষ কয় ঘন্টার মধ্যে অতিক্রম করছে। সহজ কমিউনিকেশনের জন্য পৃথিবীর আর্থিক ব্যবস্থার উন্নতি করছে দ্রুত। এই সবকিছুর কারণ একটি মাত্র নেটওয়ার্ক। যে কাজটি মানুষ হাজার বছরে করতে পারেনি আজ ওই কাজটি মানুষ নেটওয়ার্কের সাহায্যে মাত্র কয়েক দশকেই করে নিয়েছে। মানুষের উন্নত চিন্তা ভাবনা হওয়ার পরেও একে অপরের সাথে যোগাযোগ করা খুবই কঠিন ছিল। বিজ্ঞানের দ্বারা তৈরি করা এমন অনেক কিছু আছে যা পৃথিবীর রূপরেখা পরিবর্তন করে দিয়েছে। কিন্তু এমন কি আবিষ্কারও আছে যা পৃথিবী সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করে দিয়েছে? আর এর নাম হচ্ছে ইন্টারনেট।

কম্পিউটারের মতো ইন্টারনেটের শুরুটাও হয়েছে উনিশ শতকের মাঝের দিকে। মানে ১৯৫০ সালে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সোভিয়েত ইউনিয়ন আর আমেরিকার মধ্যে চলা কোল্ড ওয়ার আমেরিকাকে দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল। কারণ সোভিয়েত ইউনিয়ন আর আমেরিকা দুই দেশই পরমাণু সমৃদ্ধ। কোল্ড ওয়ারের করণে যেকোনো মুহূর্তেই হতে পারে পরমাণু যুদ্ধ। অপর দিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৫৭ সালে তারা প্রথম কৃত্তিম উপগ্রহ স্পুটনিক ওয়ান কে মহাশূন্যে সফলভাবে স্থাপন করেন। যা ছিল আমেরিকার কাছে কি লজ্জার বিষয়। কারণ আমেরিকা সব সময় তাদেরকে টেকনোলজির দিক থেকে অ্যাডভান্স মনে করত। তবে যাই হোক আমেরিকা এর পরে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে। যার কাজ ছিল টেকনোলজি নিয়ে গবেষণা করা। আর এই প্রতিষ্ঠানের নাম দেয়া হয়েছিল ডি আর পা যার মানে হলো ডিফেন্স অ্যাডভান্স রিসার্চ প্রজেক্টে এজেন্সি।

১৯৬৭ সালে জে সি আর লিকুইডার একটি নেটওয়ার্ক সংস্থা তৈরি করে। যার নাম দেয়া হয়েছিল ইন্টার গ্যালাকটিক নেটওয়ার্ক। এই নেটওয়ার্ক তৈরির মূল উদ্দেশ্য ছিল যদি সোভিয়েত ইউনিয়ন পরমাণু হামলা করে ফেলে তার পরেও যেন এই নেটওয়ার্ক কাজ করতে থেকে। সেইখান থেকেই তৈরি হয় ডি আর পা নেট। সর্ব প্রথম এর সাহায্যেই চারটি কম্পিউটারের মধ্যে তথ্য আদান প্রদান করা যেত। আর এটা তখনকার সময়ে খুব জটিল একটি কাজ ছিল। এই চারটি কম্পিউটারের থেকে ১৯৭২ মধ্যেই এই নেটওয়ার্ক বিস্তৃতি লাভ করে সম্পূর্ণ আমেরিকাতে। আর তখন থেকেই ইন্টারনেটের সূচনা হয়।

১৯৪৭ সালে ডি আর পা এর দুই আধিকারি মিলে তৈরি করে টি সি পি। অর্থাৎ ট্রান্সমিশন কন্ট্রোল প্রটকল। আর তখন ইন্টার গ্যালাক্টিক নেটওয়ার্কের নাম চেঞ্জ করে তার নাম করে দেয় ইন্টারনেট। কিন্তু ইন্টারনেট তৈরি হওয়ার পরেও একটি কম্পিউটার থেকে ওপর কম্পিউটারের সাথে কানেক্ট করা সহজ হচ্ছিল না। ১৯৬৭ সালে ডঃ রবার্ট মিল্কাস একটি ক্যাবল তৈরি করে। যার সাহায্যে অসংখ্য কম্পিউটারকে এক সঙ্গে কানেক্ট করা সম্ভব হয়। আর যে কোনো প্রকারের তথ্যকে টান্সফার করা সম্ভব হয়। যেটাকে তিনি একটি পারটিকুলার নাম দেন আর সেটা হচ্ছে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক। এরপরে ১৯৮৩ এর ১ জানুয়ারিতে ডি আর পার চিফ মেম্বার ডি আর পা কে আর পা তে পরিবর্তন করে। আর তারা এর সঙ্গে আইপি মানে ইন্টারনেট প্রটকল তৈরি করে।

যার কারণে প্রতিটি কম্পিউটারের ইউনিক আইডি হয়ে যায়। আর এই ইন্টারনেট প্রটকলের সাহায্যে যে কোনো মেশিন ইন্টারনেট এক্সেস করতে পারত। এই সময় পর্যন্ত ইন্টারনেটে ক্যাবল ডাটা ট্রান্সফার, ক্যালকুলেটিং, টুঁ ডি গেম এর জন্যই ব্যাবহার করা যেত। ১৯৮৪ থেকে ডঃ জন পস্টাল ডমিন এক্সটেনশন এর তৈরি করেন। যেটিকে আমরা বর্তমানে ডট কম, ডট ওআরজি, ডট ইন নামে চিনে থেকি। এর সাহায্যে ওয়েবসাইট তৈরি করা হতো। কিন্তু সমস্ত ওয়েবসাইট শহরের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।

১৯৮০ সালের শেষের দিকে শুরু করে ১৯৯০ সালের শুরুর দিক পর্যন্ত বাণিজ্যিকভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু হয়ে যায়। কারণ তখন একটি ইন্টারনেটের যুগান্তকারী আবিষ্কার হয়। যেটাকে বলা হয় আইএসপি অর্থাৎ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার কোম্পানি। এর পূর্বে ইন্টার্নেট শুধুমাত্র ডিফেন্স আর গভারমেন্ট এজেন্সি পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল। এর পরে ১৯৯১ তে টিন বারনালি তিনি একজন বিজ্ঞানী ছিলেন। তিনি ইন্টারনেটের জন্য আর একটি মহত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেন। তিনি আবিষ্কার করেন ডাব্লিউ ডাব্লিউ ডাব্লিউ মানে ওয়াল্ড ওয়াইব ওয়েব। আর এটার কারনের আমার ওয়েব পেজ দেখতে পারি।

এই সম্পূর্ণ আইডিয়াটি তার একার ছিল এবং সে তার এই সুন্দর আবিস্কারকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেন। তাও একদম বিনামূল্যে। ১৯৯৫ এর দিকে ইন্টারনেটের এভারেজ স্পিড ছিল ২৮.৮ কেবিপিএস। আর ওই সময় ইন্টারনেটের ব্যবহার করা লোকের সংখ্যা ছিল ১৬ মিলিয়ন। অনুমান করা হয় ওই সময় কার জিরো পয়েন্ট টু পার্সেন্ট লোক ইন্টারনেটের ব্যবহার করত। কিন্তু বর্তমানে প্রায় ২৩ বছর পর আজ প্রায় চার বিলিয়ন লোক ইন্টারনেটের ব্যবহার করে। আর এর স্পিড ৭.২ এমবিপিএস।

ধারণা করা হয় বর্তমান পৃথিবীর প্রায় ৪০ শতাংশ লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। উনিশ নিরানব্বই সালে নেপ্সন নামের একটি লোক মাত্র ১৮ বছর বয়সে ওয়্যারলেস স্যাটেলাইত নেটওয়ার্ক তৈরি করে। যাকে আমরা বর্তমানে ওয়াইফাই নামে চিনে থাকি। আর এই অফ লাইন নেটওয়ার্ক মোবাইল আর কম্পিউটারে বিল্ড করে ইন্টারনেটকে তারবিহীনভাবে শেয়ার করা সম্ভব করে দেয়। এটা তো শুধু মাত্র একটি নেটওয়ার্কের শুরু ছিল। ইন্টারনেটের কারণে এই পৃথিবীতে অনেক কিছু আবিষ্কার হয়েছে। আজ বর্তমান পৃথিবীতে ইন্টারনেটের কোন বিকল্প নেই। ইন্টারনেট আমাদের দিয়েছে অপার স্বাধীনতা। তাই এই ইন্টারনেটের শক্তিকে ব্যবহার করতে দরকার সর্তকতা।

আলোকিত লক্ষ্মীপুর
আলোকিত লক্ষ্মীপুর
//