জয়া’র মতই প্রতিদিনের ছয়টি কাজে থামিয়ে রাখুন বয়স!

ইদানিং বয়সের আগেই অনেক নারী-পুরুষের মধ্যেই বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেখা যায়। আবার অনেকেরই অনেক বয়স হয়ে গেলেও তা দেখে বোঝার উপায় থাকে না।

প্রশ্ন থাকতে পারে, কীভাবে? উত্তরটি খুবই সহজ। নিয়মিত কিছু নিয়ম মেনে চললে আপনিও পারবেন নিজের বাড়ন্ত বয়স থামিয়ে রাখতে। নিজেদের দীর্ঘদিনের অবহেলার কারণেই ধীরে ধীরে শরীরে বার্ধক্য নেমে আসে। তাই একদম অবহেলা নয়। প্রতিদিনের ছয়টি কাজই পারে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কোন কাজগুলো আপনার বয়সের চাকা থামিয়ে রাখবে-

জয়া আহসান

প্রচুর পানি পান করুন
পানির রয়েছে অসংখ্য গুণ। শরীরে পানির ঘাটতি সমস্ত শারীরবৃত্তীয় কাজকর্মেই বাধা তৈরি করে। পানি শরীরে আর্দ্রতার ঘাটতি মেটায় এবং জমে থাকা টক্সিন দূর করে। ত্বক যত আর্দ্র থাকবে, তত বজায় থাকবে স্থিতিস্থাপকতা। এই টানটান ভাবটা কমলেই কিন্তু বলিরেখা হামলা চালাবে সবার আগে। তাই বয়স ধরে রাখতে পানি পান করুন।

প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম
শরীর সুস্থ ও সুন্দর রাখার জন্য শরীরকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিন। প্রতিদিন আট ঘণ্টা নির্বিঘ্ন ঘুম সবার ভালো থাকার জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়। মাঝরাতে উঠে মেইল বা মেসেজ চেক করার অভ্যাস থাকলে আজই বাদ দিন। মোবাইল আর কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে বিচ্ছুরিত আলো কিন্তু ত্বকের বয়স বাড়িয়ে দেয় খুব তাড়াতাড়ি। তবে বালিশের উপর মুখ উপুড় করে ঘুমোবেন না, তাতেও মুখে বলিরেখা পড়ে।

জয়া আহসান

ব্যায়াম করুন নিয়মিত
নিয়মিত ব্যায়াম করলে বা অ্যাকটিভ থাকলে আপনার শরীরের ভেতরকার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ফলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেসব সমস্যা দেখা দেয়, সেগুলো থেকে আপনি নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেন। মনে রাখবেন, শরীরের বাইরে থেকে যে মেদের পরত দেখা যাচ্ছে, তা কিন্তু ভেতরেও জমে রয়েছে। আর বাড়তি বোঝা নিয়ে চলতে গেলে সমস্যাও বাড়বে। তাছাড়া, ব্যায়াম করলে রক্ত চলাচলের হার বাড়ে, পুরো শরীরের সব কোষে পৌঁছে যায় অক্সিজেন। ফলে তা ঝলমল করে। শরীরের ভেতরে রোগ থাকলে কিন্তু ত্বক-চুল ঝলমল করার কথা নয়।

মোবাইলের দিকে দীর্ঘক্ষণ তাকাবেন না
মাথা নিচু করে কম্পিউটার বা মোবাইলের দিকে দীর্ঘক্ষণ তাকাবেন না, তাতে কিন্তু বলিরেখা পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। কম্পিউটার রাখুন চোখ বরাবর। সারাদিন ঘাড় গুঁজে মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপ নিয়ে পড়ে থাকবেন না।

জয়া আহসান

মন ভালো রাখুন
সুস্থ, সুন্দর, তরুণ থাকার সবচেয়ে সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো মনটাকে ভালো রাখা। আপনার মনের অবস্থার ছাপ পড়বে মুখে ও সারা শরীরে। স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করুন, এমন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ুন যা করতে আপনার ভালোলাগে।

স্যাচুরেটেড ফ্যাট কমান, বাড়ান ওমেগা থ্রি
ভাজাভুজি, কেক-আইসক্রিম-মিষ্টি-বিস্কুটের মাত্রা কমান বদলে বাড়ান বাদাম-সিডস-ডিম-ফুল ফ্যাট দুধের পরিমাণ। শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়াটাও খুব জরুরি। মাছ-ডিম-মুরগি চলতে পারে, লাল মাংস এড়িয়ে চলুন।